ভরসা: ভারতীয় দলের মাঝমাঠে প্রধান অস্ত্র অমরজিৎ।
প্রশ্ন: মণিপুর থেকে চণ্ডীগড় ফুটবল অ্যাকাডেমিতে যোগ দেওয়ার কাহিনিটা কী?
কিয়াম অমরজিৎ সিংহ: মণিপুরে ফুটবল সব চেয়ে জনপ্রিয় ঠিকই। কিন্তু আধুনিক অ্যাকাডেমি নেই। তাই গ্রামের এক দাদা চণ্ডীগড় অ্যাকাডেমিতে চলে গিয়েছিল। ও-ই আমাকে নিয়ে যায়।
প্র: বাবা আপত্তি করেননি?
অমরজিৎ: সংসার চালাতে কৃষির পাশাপাশি কাঠের কাজও করেন আমার বাবা। চাইতেন, আমি ওঁকে কৃষি কাজে সাহায্য করি। কিন্তু আমার স্বপ্ন ছিল ফুটবলার হওয়ার। অথচ চণ্ডীগড় অ্যাকাডেমিতে খেলার কথা বাবাকে ভয়ে বলতে পারতাম না। গ্রামের সেই দাদা অনেক কষ্টে বুঝিয়েসুঝিয়ে রাজি করায় বাবাকে। এখন অবশ্য বাবা দারুণ খুশি।
প্র: আদর্শ ফুটবলার কে?
অমরজিৎ: আন্দ্রে ইনিয়েস্তার ভক্ত আমি। সব সময় ওঁর খেলা খুব মন দিয়ে দেখি। ইনিয়েস্তার খেলা নকল করার চেষ্টা করি।
প্র: ইনিয়েস্তার কোন ব্যাপারটা সব চেয়ে ভাল লাগে?
অমরজিৎ: বলের ওপর নিয়ন্ত্রণ। ডিফেন্ডারদের কড়া ট্যাকলে মাথা ঠান্ডা রাখার মানসিকতা। আর অসাধারণ ড্রিবলিং।
প্র: অনূর্ধ্ব-১৭ ভারতীয় দলের হয়ে স্পেন সফরে গিয়ে কি ইনিয়েস্তার সঙ্গে দেখা হয়েছিল?
অমরজিৎ: না না, ইনিয়েস্তার মতো তারকার দেখা পাওয়া কি সোজা কথা? তবুও স্পেন সফর চূড়ান্ত হওয়ার পর থেকেই প্রার্থনা করতাম, ইনিয়েস্তার সঙ্গে এক বার অন্তত যেন দেখা হয়। আমার ইচ্ছে অপূর্ণ
থেকে গেল।
মহড়া: গোয়ায় শেষ পর্বের প্রস্তুতি ভারতীয় দলের। ছবি: টুইটার।
প্র: ভারতীয় দলে খেলার অভিজ্ঞতা কী রকম?
অমরজিৎ: ভারতীয় দলে সুযোগ না পেলে আন্তর্জাতিক ফুটবল সম্পর্কে কোনও ধারণাই তৈরি হতো না। গত দু’বছরে বিভিন্ন দেশ সফর করেছি। বিশ্ব ফুটবলের প্রধান শক্তিধর দেশগুলোর বিরুদ্ধে খেলে বুঝেছি, আমাদের কোথায় উন্নতি করতে হবে। শিখেছি, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই
করে যেতে হয়।
প্র: সেন্ট্রাল মিডফিল্ড পজিশনে খেলাই কি সব চেয়ে পছন্দের?
অমরজিৎ: দলের প্রয়োজনে যে কোনও পজিশনে খেলতে আমি তৈরি। সেন্ট্রাল মিডফিল্ডের পাশাপাশি, উইঙ্গার হিসেবেও খেলতে পারি। তবে সব কিছুই নির্ভর করছে কোচের ওপর। উনি আমাকে যেখানে খেলতে বলবেন, খেলব।
প্র: অধিনায়ক হিসেবে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে লক্ষ্য কী?
অমরজিৎ: এই মুহূর্তে প্রধান লক্ষ্য দ্বিতীয় রাউন্ডের যোগ্যতা অর্জন করা। তার জন্য আমরা সকলেই নিজেদের উজাড় করে দিতে তৈরি।