উৎকণ্ঠা: রাসেলের বাঁ হাতের কব্জিতে স্প্রে করা হচ্ছে। এপি
পেশি বনাম মগজের দ্বৈরথ দেখতে দলবল-সহ চেন্নাই উড়ে গিয়েছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের মালিক শাহরুখ খান। এম এ চিদম্বরমের বাইশ গজে তাঁর সেই ‘বাহুবলী’, আন্দ্রে রাসেল ৪৪ বলে অপরাজিত ৫০ রান করেও দিয়েছিলেন। কিন্তু দলের বাকি ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় শেষ পর্যন্ত মাঠে বসে ‘বাদশা’-কে দেখতে হল চেন্নাই সুপার কিংস অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনির মগজের জয়। ফলে পয়েন্ট টেবিলে কেকেআরকে দুই নম্বরে ঠেলে দিয়ে এক নম্বরে উঠে এল সিএসকে। ম্যাচ শেষে তাই বিষণ্ণ মুখেই মাঠ ছাড়তে হল শাহরুখদের।
ম্যাচ শেষে শাহরুখের টুইট, ‘‘চেন্নাইয়ে খুব আনন্দ হল। দারুণ খেলেছে সিএসকে। আমরাও নিজেদের সেরাটাই দিতে চেয়েছি। কিন্তু কখনও সেই চেষ্টা কাজে দেয় না।’’
সিএসকে-র বিরুদ্ধে ১৬ বল বাকি থাকতেই সাত উইকেটে হারের সঙ্গে বড় ধাক্কা রাসেলের বাঁ হাতের কব্জিতে চোট। একটা শট খেলার পরেই দেখা যায় ডান হাত দিয়ে বাঁ হাতের কব্জি চেপে ধরেছেন তিনি। এর পরেই ফিজিয়ো মাঠে ঢুকে স্প্রে করে দেন কব্জিতে। যদিও রাসেল এর পরে ব্যাটও করেন। চার-ছক্কা মেরে নাইটদের রান একশো পার করে দেন। ফিল্ডিংও করেন। সাংবাদিক বৈঠকে পীযূষ চাওলার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল রাসেলের চোটের ব্যাপারে। তিনি এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারেননি। শাহরুখ যদিও টুইটারে লেখেন, ‘‘কুলদীপ মাসাজ করে দেবে রাসেলকে। নারাইনও ওকে সাহায্য করবে।’’ হারের কারণ হিসেবে পীযূষ বলছেন, ‘‘ভুল শট নির্বাচন করে দ্রুত চারটে উইকেট চলে গিয়েছিল। ১৩৫-১৪০ রান উঠলে লড়াই হত।’’
হতাশ কেকেআর অধিনায়ক দীনেশ কার্তিকও। তিনিও বলে গেলেন, ‘‘এই ধরনের উইকেটে কত রান নিরাপদ তা বোঝা যায় না। কারণ শেষের দিকে শিশির সমস্যা করে। পাওয়ার প্লে-তেই চার উইকেট চলে যাওয়া হারের বড় কারণ। এই হার ভুলে দিল্লি ম্যাচ নিয়ে ভাবতে হবে।’’
শুরুতে ব্যাট করতে এসে ৪.৪ ওভারের মধ্যেই চার উইকেট হারায় কেকেআর। এর মধ্যে তিন জনই চেন্নাইয়ের মিডিয়াম পেসার দীপক চাহারের শিকার। চার ওভারে ২০ রানে তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা চাহার বলছেন, ‘‘চেন্নাইয়ে এ বার প্রচুর ম্যাচ খেলেছি। যেখানে স্লোয়ারটা ভাল ভাবে অনুশীলন করেছি।’’
তবে ম্যাচ জিতেও উইকেটের সমালোচনা করেছেন ধোনি। তাঁর কথায়, ‘‘এই উইকেট প্রথম ম্যাচের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছিল। আমরা সমস্যায় পড়লেও শেষ পর্যন্ত জিতে ফিরেছি। তবে এই ধরনের উইকেটে খেলতে চাইব না। রান খুব কম উঠছে।’’ ধোনিকে প্রশ্ন করা হয়েছিল তাঁর দুই স্পিনার হরভজন সিংহ ও ইমরান তাহিরকে নিয়ে। যে প্রসঙ্গে ধোনি বলে যান, ‘‘যত বয়স বাড়ছে, তত উন্নতি করছে ভাজ্জি। আর ইমরান তো যখন প্রয়োজন, তখনই উইকেট তুলে নিচ্ছে।’’