শক্তিমান: জিমে মারাত্মক পরিশ্রম করেই এতটা সাফল্য এবং জনপ্রিয়তা পাচ্ছেন আন্দ্রে রাসেল। ফাইল চিত্র
৯ ম্যাচে ৩৭৭ রান। গড় ৭৫.৪০। স্ট্রাইক রেট ২২০.৪৬। অশ্বমেধের ঘোড়ার গতিতে চলতি আইপিএলে ছুটছে আন্দ্রে ডোয়েন রাসেলের ব্যাট।
ক্রিকেটবিশ্বে ‘পাওয়ার হিটার’ হিসেবে আলোড়ন ফেলে দেওয়া জামাইকার অলরাউন্ডার তাঁর এই অবিশ্বাস্য রূপান্তরের সমস্ত কৃতিত্ব দিচ্ছেন তাঁর দেশেরই আর এক তারকা ক্রিস গেলকে। জানিয়েছেন, ‘ইউনিভার্স বস’-এর পরামর্শেই পাল্টে গিয়েছে তাঁর ক্রিকেট-দর্শন। আইসিসি-র ওয়েবসাইটে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কলকাতা নাইট রাইডার্স তারকা বলেছেন, ‘‘পাওয়ার হিটিং সম্পর্কে আমার ধারণা আমূল বদলে দিয়েছে গেল। ওর থেকে অনেক কিছুই আমি শিখেছি। সেটাই এখন কাজে লাগানোর চেষ্টা করছি।’’
কী ভাবে হল পরিবর্তন, সেই অজানা কাহিনি ফাঁস করে রাসেল বলেছেন, ‘‘আমি আগে হাল্কা ব্যাট ব্যবহার করতাম। কিন্তু পরে বুঝলাম বলকে আমার ইচ্ছা অনুযায়ী জায়গায় কিছুতেই পাঠাতে পারছি না।’’ সেই সময়েই কেকেআর তারকা সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন গেল। রাসেলের কথায়, ‘‘২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময়ে গেল এক দিন এসে আমাকে পরামর্শ দেয় ভারী ব্যাট ব্যবহার করতে। ও বলেছিল, রাস তুমি ব্যাটটা পাল্টে ফেললে পাওয়ার হিটিং আরও জোরালো হবে। নিজের শক্তিকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারবে। সেই পরামর্শই আমার দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন এনে দেয়।’’
সেখানেই না থেমে রাসেল আরও বলেছেন, ‘‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার পরেই আমি যেন নিজেকে নতুন ভাবে আবিষ্কার করি। আমার জীবনটাই পাল্টে গিয়েছিল। ভারতের বিরুদ্ধে ভারী ব্যাটে ৪৩ বলে ৪৮ রান করে ম্যাচটা জিতেছিলাম। তার পর থেকে ভারী ব্যাট ছাড়া আমি খেলতেই পারি না। ’’
তবে সেখানেই শেষ নয়। শক্তিকে সম্পূর্ণ ভাবে ব্যবহার করতে রাসেল ছুটে গিয়েছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও। সেখানে ন্যাশনাল ফুটবল লিগের (এনএফএল) খেলোয়াড়দের ভাল করে পর্যবেক্ষণ করে নিজেকে আরও শক্তিশালী করে তোলার ইচ্ছেটা বেড়ে যায়। রাসেলের কথায়, ‘‘কয়েক বছর আগে ডালাসে আমি এনএফএল খেলোয়াড়ের সঙ্গে অনেকটা সময় কাটিয়েছিলাম। তখনই উপলব্ধি করি ক্রিকেটার হতে গেলে জিমে অনেক সময় ব্যয় করতে হবে।’’