নজরে: সৌরভ বনাম শাহরুখ দ্বৈরথ ছিল আইপিএলের অন্যতম সেরা আকর্ষণ। এক জনের কাজ হাসিল, অন্য জনের ভাগ্য নির্ধারণ আজ। ফাইল চিত্র
আইপিএলের প্লে-অফ টিকিট আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। শনিবার ঘরের মাঠে শেষ ম্যাচে আকর্ষণের কেন্দ্রে উঠে এলেন রিকি পন্টিং, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়দের দিল্লি ক্যাপিটালসের দুই তারকা।
প্রথম জন অভিজ্ঞ লেগস্পিনার অমিত মিশ্র। যিনি অল্পের জন্য হ্যাটট্রিক হাতছাড়া করলেন এ দিন। পরপর দুই বলে শ্রেয়স গোপাল এবং স্টুয়ার্ট বিনিকে ফেরানোর পরে তাঁর তৃতীয় বলে সহজ ক্যাচ দিয়েছিলেন কৃষ্ণাপ্পা গৌতম।
কিন্তু তা তালুবন্দি করতে পারেননি ট্রেন্ট বোল্ট। দ্বিতীয় জন ঋষভ পন্থ। যিনি বিশাল ছয় মেরে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে দলকে এনে দিলেন নবম জয়। ৩৮ বলে ৫৩ রানে অপরাজিতও রইলেন। ম্যাচের পরে ঋষভ জানিয়ে দিলেন, প্লে-অফ নিয়ে কোনও উৎকণ্ঠা নেই তাঁর এবং দিল্লি ক্যাপিটালস দলের।
তিনি বলেছেন, ‘‘সবচেয়ে বেশি আনন্দ পাই দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে পারলে। শেষ ম্যাচে সেটা করতে পারিনি। প্লে-অফে যে কোনও দলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে তৈরি।’’
আরও পড়ুন: জিতলেই প্লে অফ, মুম্বই ম্যাচে দলে কি একটি পরিবর্তন করছে কেকেআর?
অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ারও যে বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে বলেছেন, ‘‘আমাদের ড্রেসিংরুমে খোলামেলা একটা পরিবেশ তৈরি হয়েছে। প্রত্যেকে নিজেদের মতামত দিতে পারে। ম্যাচে তারই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে।’’
জটিল অঙ্কের হিসেবে প্লে-অফে খেলার অতি ক্ষীণ এক সম্ভাবনা ছিল দ্বিতীয় দফায় নেতৃত্ব ফিরে পাওয়া অজিঙ্ক রাহানেদের রাজস্থান রয়্যালস দলের সামনে। কিন্তু একপেশে ম্যাচে দিল্লির দুই অভিজ্ঞ তারকা ইশান্ত শর্মা এবং অমিত মিশ্রের সামনে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল রাজস্থানের যাবতীয় প্রতিরোধ। ইশান্ত পেলেন ৩৮ রানে তিন উইকেট। মিশ্র নিলেন ১৭ রানে তিন উইকেট। ইডেনে দুর্দান্ত ইনিংস খেলে যাওয়া অসমের ২০ বছরের রিয়ান পরাগই (৪৯ বলে ৫০) লড়াই করলেন। রাজস্থান আটকে গেল ১১৫ রানে।
১৪ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে এ দিনই মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে সরিয়ে পয়েন্ট টেবলের দুই নম্বরে উঠে এল দিল্লি। রবিবার কেকেআরের বিরুদ্ধে মুম্বই হারলে দুই নম্বরেই থেকে যাবে দিল্লি। তারই সঙ্গে প্রাপ্তি ঋষভের দু্র্দান্ত ব্যাটিং। এখনও পর্যন্ত ১৪ ম্যাচে ৪০১ রান করে ফেললেন তিনি। ম্যাচের পরে তিনি বলেছেন, ‘‘লক্ষ্য ছিল দশ ওভারের মধ্যে ম্যাচ শেষ করার। তাতে নেট রান রেট আরও বাড়ত। শুরুতে দ্রুত দুই উইকেট চলে যাওয়ায় আমরা সতর্ক হয়ে যাই। তবে কোটলায় শেষ ম্যাচ জিতে আমরা খুশি।’’