পিচ বুঝতে পারেননি, মানছেন অধিনায়ক

ঘরের মাঠে প্রথম কোয়ালিফায়ারে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে ছয় উইকেটে হেরে হতাশ সিএসকে অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০১৯ ০৪:২১
Share:

সান্ত্বনা: ম্যাচের পরে সচিনের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন ধোনি। এপি

আইপিএলের এল ক্লাসিকোয় চিদম্বরম স্টেডিয়ামে চেন্নাই সুপার কিংসের হারের ফাঁড়া ন’বছরেও কাটল না। ধোনিদের ঘরের মাঠে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সই প্রথম কোয়ালিফায়ারে জিতে চলে গেল ফাইনালে।

Advertisement

ম্যাচ শেষে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স অধিনায়ক রোহিত শর্মা বলেই গেলেন, ‘‘এই মাঠের পরিবেশ আমরা ভাল বুঝতে পারি। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েই আমাদের দল আজ সফল।’’

অন্য দিকে, ঘরের মাঠে প্রথম কোয়ালিফায়ারে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে ছয় উইকেটে হেরে হতাশ সিএসকে অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি।

Advertisement

আরও পড়ুন: হারের হ্যাটট্রিক, মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে বার বার কেন আটকে যাচ্ছেন ধোনিরা?

দলের ব্যাটসম্যানদের সমালোচনা করে তিনি বলছেন, ‘‘খেলায় একটা দল হারবেই। কিন্তু আজ আমাদের ব্যাটিং ভাল হয়নি। চেন্নাইয়ে সাতটি ম্যাচ খেলা হয়ে গেল। এই পরিস্থিতিতে ঘরের মাঠে খেলার সুবিধা নিয়ে বিপক্ষের চেয়ে পরিবেশ দ্রুত বুঝে নিতে হত। পিচ কী রকম ব্যবহার করবে? শুকনো খটখটে রয়েছে কি না অথবা বল থমকে আসছে কি না—এই ব্যাপারগুলো কিন্তু বুঝতে পারেনি ব্যাটসম্যানরা।’’

সিএসকে অধিনায়ক সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘দলের ব্যাটিং আরও ভাল হওয়া দরকার ছিল। আমাদের দলে ভাল ব্যাটসম্যান রয়েছে। কিন্তু সঠিক সময়ে তারা জ্বলে উঠতে ব্যর্থ। অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে পারেনি। আশা করছি পরের ম্যাচে এগুলো সব ঠিকঠাক হবে। প্রথম দুইয়ে থাকায় এখনও ফাইনালে যাওয়ার একটা সুযোগ রয়েছে।’’

আজ, বুধবার এলিমিনেটরে মুখোমুখি হচ্ছে দিল্লি ক্যাপিটালস বনাম সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। সেই ম্যাচে যারা জিতবে, তাদের বিরুদ্ধে খেলতে হবে ধোনিদের। জিতলে সুযোগ থাকবে ফাইনালে যাওয়ার। ব্যাটসম্যানদের সমালোচনা করে ধোনি বলেন, ‘‘আমাদের ভাগ্যও আজ সহায় ছিল না। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বেশি কিছু ক্যাচ পড়ল। বোলিংয়ের সময় ব্যাটসম্যানদের থেকে একটু দূরে বল ফেলতে হত। বলের গতি কমিয়ে বৈচিত্র বাড়াতে হত। কিন্তু স্কোরবোর্ডে কম রান থাকায় বোলাররা সেই সাহস দেখাতে পারেনি।’’

অন্য দিকে, ফাইনালে উঠে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স অধিনায়ক বলছেন, ‘‘দারুণ লাগছে। বোলারদের উপর আস্থা ছিল। জানতাম চেন্নাইকে কম রানে আটকে রাখা যাবে। সেটা বোলাররা করে দেখিয়েছে। এই পিচে ফিঙ্গার স্পিনাররা সুবিধা পাবে। তাই জয়ন্ত যাদবকে আজ খেলিয়েছিলাম। চেন্নাইকে ১৪০ রানের কমে আটকে রাখার কৃতিত্ব আমাদের বোলিং বিভাগের।’’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘সিএসকে-কে কম রানে আটকে রাখা দরকার ছিল। কারণ ওদের দলে ভাল স্পিনার রয়েছে। তবে ব্যাটসম্যানদের উপরও আস্থা বজায় রেখেছিলাম। সূর্যকুমার এই ধরনের পিচের উপযোগী ব্যাটসম্যান। ও স্পিনটা ভালই খেলে। আসলে আমাদের দলে ভারসাম্যটা চমৎকার রয়েছে।’’

ম্যাচের সেরা সূর্যকুমারও বলছেন, ‘‘পিচ মন্থর ও স্পিন সহায়ক ছিল। এই ধরনের পিচে প্রথম তিন-চার জন ব্যাটসম্যানের মধ্যে কাউকে ম্যাচ শেষ করে আসতে হত। তাই বেশি বড় শট মারার ঝুঁকি নিইনি। সিঙ্গলস ও ডাবলস নিয়েই স্কোরবোর্ড সচল রেখেছিলাম। এই ধরনের বড় ম্যাচ জিততে গেলে পরিস্থিতি বুঝেই ইনিংসটা গড়তে হয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন