সফল: ড্রেসিংরুমে আইপিএল ট্রফি নিয়ে যশপ্রীত বুমরা। টুইটার
দুরন্ত বোলিং করে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে আইপিএল জেতানোর পরে ম্যাচের সেরার পুরস্কার পেয়েছিলেন যশপ্রীত বুমরা। এর পাশাপাশি আরও একটা বড় ‘পুরস্কার’ পেয়ে গেলেন তিনি। সচিন তেন্ডুলকরের শংসাপত্র।
আইপিএল ফাইনালের পরে যুবরাজ সিংহকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে সচিন বলেন, ‘‘আমি একটা কথা সাফ সাফ বলে দিতে চাই। এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা বোলারের নাম যশপ্রীত বুমরা। আমি এও মনে করি, ওর সেরা খেলাটা আমরা এখনও দেখতে পাইনি। আশা করব, ভবিষ্যতে সেটা দেখতে পাব।’’
চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে চার ওভারে ১৪ রান দিয়ে দু’উইকেট নিয়েছিলেন বুমরা। তাঁর করা ১৭ এবং ১৯ নম্বর ওভারই ম্যাচ ঘুরিয়ে দেয় মুম্বইয়ের দিকে। বুমরা নিয়ে একই সুর যুবরাজের গলাতেও। যুবরাজ বলেছেন, ‘‘আমিও মনে করি বুমরা এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা বোলার। জীবনের সেরা বোলিংটা করছে ও।’’ এর পরেই সচিন প্রশ্ন করে বসেন যুবরাজকে— কী কারণে মনে হয় বুমরাকে খেলতে সমস্যায় পড়ছে ব্যাটসম্যানরা? যুবরাজের মন্তব্য, ‘‘বুমরার অদ্ভুত বোলিং অ্যাকশনের জন্য। ওর অ্যাকশন দেখে বোঝা কঠিন হয়ে যায় যে, বলটা কী গতিতে আসবে।’’
ধারাবাহিক ভাবে এই রকম বল করে যাওয়ার রহস্য কী? ম্যাচের পরে প্রশ্নটা করা হয়েছিল স্বয়ং বুমরাকে। যার জবাবে এই পেসার বলেন, ‘‘আমি এ সব নিয়ে কিছু ভাবি না। আমি শুধু যে দিনটা খেলা, সে দিনটা নিয়ে ভাবি। যে বলটা করতে যাচ্ছি, সেটা নিয়ে ভাবি। আপনি যদি অতিরিক্ত চাপ নিজের ওপর না নেন, কী করতে চলেছেন, তা নিয়ে পরিষ্কার ধারণা থাকে, তা হলে আপনি খোলা মনে খেলতে পারবেন।’’
সচিন অবশ্যও মুম্বইয়ের আরও এক জন বোলারের প্রশংসা করেছেন। তিনি লেগস্পিনার রাহুল চাহার। ফাইনালে এই লেগস্পিনার চার ওভারে ১৪ রান দিয়ে এক উইকেট নেন। যার মধ্যে রয়েছে ১৩টি ডট বল (যে বলে রান হয় না)। মুগ্ধ সচিন বলেছেন, ‘‘রাহুল বাকিদের থেকে আলাদা। ও প্রথম ম্যাচ খেলার আগেই আমি নিজের ধারণার কথা বলেছিলাম মাহেলাকে (মুম্বই কোচ মাহেলা জয়বর্ধনে)। ছয় থেকে ১৫ ওভারের মধ্যে রাহুল বল করেছে। তার উপর একটা স্লিপও ছিল। ফাইনালের মতো একটা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে অসাধারণ বল করে গেল ও।’’