পঞ্চমবার ফাইনালে পৌঁছল মুম্বই। ছবি: পিটিআই।
আইপিএলের এল ক্লাসিকো জিতে ফাইনালে পৌঁছে গেল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ফাইনালের পাসপোর্ট জোগাড় করার জন্য মহেন্দ্র সিংহ ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস আরও একটি সুযোগ পাবে।
চেন্নাই-মুম্বই ম্যাচ আইপিএলের ‘এল ক্লাসিকো’ বলে পরিচিত। ন’ বছর আগে চেন্নাইয়ের ঘরের মাঠে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে শেষ বার হারিয়েছিল সিএসকে।চলতি টুর্নামেন্টে ঘরের মাঠে ধোনির দলকে অপ্রতিরোধ্য দেখিয়েছে। মঙ্গলবারের প্লে অফের আগে চেন্নাইয়ে সাতটি ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটি ম্যাচে হার মেনেছে সিএসকে। সেটাও আবার এই মুম্বইয়ের বিরুদ্ধেই। তবে সুপার কিংসের বিরুদ্ধে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের রেকর্ড বেশ ভালই। এ বারের আইপিএলেই মুম্বই-এর কাছে দুটো ম্যাচে হার মেনেছিল ধোনির চেন্নাই। প্লে অফেও ঘুরল না চাকাটা। চেন্নাইয়ের করা ১৩১ রান মুম্বই তুলে নিল ১৮.৩ ওভারেই।
মঙ্গলবার টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় সিএসকে। চেন্নাইকে নিষ্প্রভই দেখায়। ১৩.২ ওভারে প্রথম ছক্কাটি আসে। ধোনিই হাঁকান সেই ছক্কা। সেই ওভারেরই শেষ বলে অম্বাতি রায়ুডু জয়ন্ত যাদবকে গ্যালারিতে ফেলেন। পরে আবার ১৮ ওভারের তৃতীয় ও চতুর্থ বলে পর পর দুটো ছক্কা মারেন ধোনি। সেই কারণেই চেন্নাই-এর রান ভদ্রস্থ দেখায়। ধোনি (৩৭) ও রায়ুডু (৪২)অপরাজিত থেকে যান। তার আগে চেন্নাই ব্যাটসম্যানরা শুধু এলেন আর গেলেন। ওয়াটসন, দু’ প্লেসি, রায়না, মুরলী বিজয়ের মতো মহারথীরা ব্যর্থ।
সিএসকে-র রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই দুটো উইকেট হারায় মুম্বই। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই মুম্বই ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মাকে (৪) ডাগ আউটে ফেরান দীপক চহার। অন্যদিকে হরভজন সিংহর বলে আউট হন কুইন্টন ডি’ কক (৮)। সিএসকে তখন রক্তের স্বাদ পেয়ে গিয়েছে। মুম্বইয়ের উপরে চাপ বাড়ানোর খেলা শুরু করে চেন্নাই। সেই অবস্থা থেকে মুম্বই ইনিংসের হাল ধরেন ঈষাণ কিষাণ ও সূর্যকুমার যাদব। দু’ জনে মিলে ৮০ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। তখনই ম্যাচ হাতের বাইরে চলে যায় চেন্নাইয়ের। ইমরান তাহির মরিয়া একটা চেষ্টা করেছিলেন। ঈষাণ কিষাণ (২৮) ও ক্রুনাল পাণ্ড্যকে (০) পর পর দু’ বলে আউট করেন তাহির। কিন্তু, এত কম রান নিয়ে লড়া যায় না। সূর্যকুমার যাদব শেষ পর্যন্ত ৭১ রানে অপরাজিত থেকে মুম্বইকে ফাইনালে নিয়ে যান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর—
চেন্নাই সুপার কিংস (২০ ওভার) ১৩১/৪
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (১৮.৩ ওভার) ১৩২/৪