ধোনির চোট নিয়ে অস্বস্তি বাড়ছে চেন্নাই শিবিরে। ছবি: পিটিআই।
চেন্নাই সুপার কিংস ও জাতীয় দলের চিন্তা বাড়াচ্ছেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। ধোনি না খেললেই সিএসকে-কে ফিকে দেখাচ্ছে।
শুক্রবার জ্বরে কাবু ধোনি মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে নামতে পারেননি। হতশ্রী পারফরম্যান্স করে হারতে হয়েছে সিএসকে-কে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ম্যাচের আগে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ-এর (১৭ এপ্রিল) বিরুদ্ধেও পিঠের চোটের জন্য খেলেননি চেন্নাই অধিনায়ক। সেই ম্যাচেও চেন্নাই-এর একই পরিণতি হয়েছিল। ধোনি না থাকলেই সিএসকে-র পারফরম্যান্স গ্রাফ পড়তির দিকে। আর এটাই চিন্তা বাড়াচ্ছে চেন্নাই-ভক্তদের।
আইপিএলের ইতিহাসে ধোনিকে ছাড়া এ পর্যন্ত পাঁচটি ম্যাচ খেলেছে সিএসকে। এর মধ্যে চারটেতেই হারতে হয়েছে তাদের। ২০১০ সালের আইপিএলে ধোনিকে ছাড়া তিন ম্যাচ খেলেছে চেন্নাই। দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ জিতলেও কিংস ইলেভেন পঞ্জাব ও আরসিবি-র বিরুদ্ধে পরের দু’টি ম্যাচে হারতে হয়। এ বারের আইপিএলে ধোনিকে ছাড়া দুটো ম্যাচে নেমে জয় পায়নি আগেরবারের চ্যাম্পিয়নরা। ধোনি থাকলে সিএসকে এক রকম, তিনি না থাকলে অন্য রকম। বোঝাই যাচ্ছে ধোনিই এই দলটার নিউক্লিয়াস।
আরও খবর: বিশ্বকাপের ক্রিকেটার নির্বাচনে যে ভুলগুলো ভোগাতে পারে দলগুলিকে
আরও খবর: আউট হয়ে ফিরছেন বিখ্যাত দাদা, নাচছেন চিয়ারলিডার বোন!
চলতি আইপিএলে প্লে অফ খেলার ছাড়পত্র এক রকম পেয়ে গিয়েছে চেন্নাই। খুশির আবহে ধোনির অসুস্থতা চেন্নাই ড্রেসিং রুমে অস্বস্তির আবহ। প্লে অফের মোক্ষম সময়ে পিঠের ব্যথা যদি ধোনিকে ফের কাবু করে ফেলে, তা হলে কী হবে? ধোনি নিজেও পিঠের সমস্যা নিয়ে চিন্তিত। তিনি বলেছেন, ‘‘আমার পিঠের ব্যথা পুরোপুরি সারেনি। বিশ্বকাপ সামনে। তার আগে পিঠের ব্যথা পুরোদস্তুর সারিয়ে তুলতে হবে।’’ আইপিএলের ঠিক পরেই বিশ্বকাপ। সেখানে ধোনির অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে। কিন্তু পিঠের সমস্যার লাল চোখ যদি তখনও দেখতে হয় ধোনিকে, তা হলে তো চাপ বাড়বে বিরাট কোহালির উপরেই। কেরিয়ারের সায়াহ্নে পৌঁছে যাওয়া ধোনিকে নিয়ে ফিটনেস জনিত একটা আশঙ্কা কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।