রাসেল জাদুতে ম্লান সানরাইজার্স। —ফাইল চিত্র।
ডেভিড ওয়ার্নারের মঞ্চে আলো কেড়ে নিলেন আন্দ্রে রাসেল। শেষ তিন ওভারে অসম্ভবকে সম্ভব করলেন এই ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার।
রাসেলের জন্যই কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর) ভক্তদের মুখে দিনের শেষে খেলা করল হাজার ওয়াটের আলো। ১৭ ওভারের শেষে কেকেআরের রান ছিল ৪ উইকেটে ১২৯। এর আগে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ প্রথমে ব্যাট করে তুলেছিল ১৮১ রান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি নাইটদের। শেষ তিন ওভারে অসাধ্যসাধন করা কি সম্ভব? প্রথম ম্যাচেই কি হার মানতে হবে কেকেআরকে?
আরও পড়ুন: ‘ডিআরএস’ এখন ধোনি রিভিউ সিস্টেম, প্রমাণ মিলল প্রথম ম্যাচেই
নাইট ভক্তদের মনে যখন এমনই সব প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে, তখনই শুরু হয় রাসেল ঝড়। তাঁর দাপটে ২ বল বাকি থাকতে ছ’ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় কেকেআর। ১৯ বলে ৪৯ রান করে অপরাজিত থেকে যান রাসেল। চারটি বিশাল ছক্কা ও চারটি বাউন্ডারিতে সাজানো ছিল তাঁর ইনিংস।
তাঁর জন্যই প্রত্যাবর্তনের ম্যাচ স্মরণীয় হল না ওয়ার্নারের। অথচ শুরুতে ওয়ার্নারই তো সব আলো শুষে নিয়েছিলেন। রানের গতি নিজের ইচ্ছামতো বাড়ালেন। তাঁর ৮৫ রানের ইনিংসের জন্যই সানরাইজার্স হায়দরাবাদ করে তিন উইকেটে ১৮১ রান।
৩১ বলে ব্যক্তিগত পঞ্চাশ রান করেন ওয়ার্নার। এই অজি ব্যাটসম্যানের জন্যই পাওয়ার প্লেতে পঞ্চাশ পেরোয় সানরাইজার্স। অর্ধ শতরানের পরে বাকি ৩৫ রান ওয়ার্নার করেছেন ৩২ বলে। দলের রান যখন ১১৮, তখন ফেরেন বেয়ারস্টো (৩৯)। ওয়ার্নার ফিরে যাওয়ার পরে দ্রুত লয়ে আর রান তুলতে পারেনি হায়দরাবাদ। শেষ ৪ ওভারে তারা করে ৩৭ রান। বিজয় শঙ্কর ২৪ বলে খেলেন ৪০ রানের ইনিংস।
নাইটদের শুরুটা ভাল হয়নি। ওপেনার ক্রিস লিন ফেরেন মাত্র ৭ রান করে। প্রথম উইকেট দ্রুত যাওয়ার পরে উত্থাপ্পা (৩৫) ও নীতীশ রানা ৮০ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক করলেন মাত্র ২। রানা করেন ৬৮। তিনি ফেরার পরে ইডেন জুড়ে শুধুই রাসেল। হায়দরাবাদের হাতের মুঠো থেকে একাই ম্যাচ ছিনিয়ে নিলেন তিনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: সানরাইজার্স হায়দরাবাদ (২০ ওভার) ১৮১-৩
কেকেআর (১৯.৪ ওভার) ১৮৩-৪
(আইসিসি বিশ্বকাপ হোক বা আইপিএল, টেস্ট ক্রিকেট, ওয়ান ডে কিংবা টি-টোয়েন্টি। ক্রিকেট খেলার সব আপডেট আমাদের খেলা বিভাগে।)