চেন্নাইয়ে আজ আসল দ্বৈরথ দুই লেগস্পিনারের

শুক্রবারের ম্যাচটার ফলের উপর দুটো দলের প্লে-অফে যাওয়া-না যাওয়া অতটা নির্ভর না করলেও, এটা বলাই যায়, যেই জিতবে প্লে-অফে প্রচুর আত্মবিশ্বাস পাবে।

Advertisement

কৃষ্ণমাচারী শ্রীকান্ত

শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০১৯ ০৩:৫৭
Share:

রাহুল চাহার।

চেন্নাই সুপার কিংসকে আইপিএলে যদি কোনও একটা দল ক্রমাগত চ্যালেঞ্জ জানিয়ে থাকে, তার নাম মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। দুটো দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে জয়-হারের পরিসংখ্যানে মুম্বই এগিয়ে ১৫-১২। অন্য যে কোনও দল চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে যে পরিসংখ্যানটা থাকলে খুব খুশি হত। যে ভাবেই হোক, মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ক্রিকেটারেরা যেন সেরা খেলাটা তুলে রাখে চেন্নাইয়ের জন্য।

Advertisement

যে পর্যায়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাটা হয়, তাতে এই লড়াইকে অন্যতম সেরা বলা উচিত। শুক্রবারের ম্যাচটার ফলের উপর দুটো দলের প্লে-অফে যাওয়া-না যাওয়া অতটা নির্ভর না করলেও, এটা বলাই যায়, যেই জিতবে প্লে-অফে প্রচুর আত্মবিশ্বাস পাবে। গত মঙ্গলবার হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেখা গিয়েছে সিএসকের ম্যাচ উইনার কম নেই।

যাই হোক, দুই দলের স্পিনাররা কিন্তু সুযোগটা নিতে পারেনি সে দিন। আমার মনে হয়েছিল ধীর গতির বোলারদের জন্য পিচটা আদর্শ ছিল। এই ধরনের মন্থর পিচে জোরে বোলাররা সুইং পাওয়ার জন্য ঠিক কোন গতিতে হাওয়ার বলটা হাওয়ায় রাখতে হবে, অনেক সময় ধরতে পারেনি। পাশাপাশি ফুলটস বলও হয়েছে অনেক। তাতে পিচের সুবিধাটা পুরোপুরি তুলতে পারা যায়নি।

Advertisement

মুম্বই দলের হয়ে প্রচুর অবদান রাখছে রাহুল চাহার। ছেলেটা ভয়ডরহীন ভাবে খেলছে। যেটা এক জন স্পিনারের উন্নতির জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। তা ছাড়া চেন্নাইয়ের হাতেও কিন্তু ইমরান তাহিরের মতো বোলার রয়েছে। তাই এই ম্যাচে বোঝা যেতে পারে দুই লেগস্পিনারের মধ্যে কে বেশি ভাল বল করছে।

সাধারণত, দু’চারটে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো ওভারই চেন্নাই-মুম্বই ম্যাচের ফল ঠিক করে দেয়। সুরেশ রায়না কিন্তু সানরাইজার্সের বিরুদ্ধে দেখিয়ে দিয়েছে কী ভাবে ও ম্যাচ ঘোরাতে পারে। হার্দিক পাণ্ড্য এবং পোলার্ডও শেষ বার চেন্নাইয়ের মুখোমুখি হওয়ার সময় একই

জিনিস দেখিয়েছে। দুটো চ্যাম্পিয়ন দল মুখোমুখি হওয়ার সময় ঝুঁকিহীন বলে কিছু থাকে না। মুম্বই ওদের হারানো ছন্দটা ফিরে পেয়েছে এবং চাপের মুখে খুব ভাল খেলছে দলটা। অন্য দিকে চেন্নাইও ক্রমাগত যুক্তি-তর্কের ঊর্ধ্বে উঠে একটা দুরন্ত বোলিং বা ব্যাটিংয়ে ম্যাচ জিতে তাক

লাগিয়ে দিচ্ছে।

আমার মতে, লিগ পর্যায়ে এটাই সব চেয়ে বড় ম্যাচ। আমি নিশ্চিত এ বারও প্রচণ্ড প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। যে রকম আশা করা হয় এই ম্যাচ ঘিরে। দুটো দলেরই প্রাথমিক সব জায়গাগুলো জমাট। নেতৃত্বেও আছে দুই বিচক্ষণ অধিনায়ক। প্রতি ম্যাচের আগেই একটা উত্তেজনা থাকে। তবে এই উত্তেজনাটা কিন্তু একেবারে খাঁটি। দু’দলেরই বিশ্বমানের ক্রিকেটারেরা জানে মাঠে কী করতে চলেছে এবং কোনও অবস্থাতেই হার স্বীকার করতে চায় না তাঁরা।

সিট বেল্ট বেঁধে ফেলুন, এই ম্যাচ দেখতে বসে কখনও-সখনও হয়তো ঝাঁকুনি লাগতে পারে, তবে সফরটা যে উত্তেজনাপূর্ণ হবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। (টিসিএম)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন