চার পেসার চান পন্টিং, কিন্তু ভয় রাসেলকে নিয়ে

ফিরোজ শাহ কোটলায় রাবাডার ইয়র্কারেই সুপার ওভারে শেষ হয়ে গিয়েছিল কেকেআরের জয়ের স্বপ্ন। সেই রাবাডার সামনে তুলে দেওয়া হচ্ছে ঘাসে ভরা উইকেট। টানা ১৪৭ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার গতিতে বল করে যাওয়ার ক্ষমতা রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার পেসারের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০১৯ ০৩:৩৮
Share:

পরামর্শ: ইডেনে আলেচনায় মগ্ন পন্টিং এবং সৌরভ। নিজস্ব চিত্র।

ইডেনের সবুজ উইকেটে চার পেসার নিয়ে নামতে পারে দিল্লি ক্যাপিটালস। এমনই ইঙ্গিত কোচ রিকি পন্টিংয়ের। বৃহস্পতিবার ম্যাচের আগের দিন মাঠে এসেই উইকেট দেখেন পন্টিং। উইকেটে ঘাসের পরিমাণ এতটাই যে, দূর থেকেও সবুজ স্তর বেশ স্পষ্ট।

Advertisement

উইকেট দেখেই সাংবাদিক বৈঠকে এসে পন্টিং বলেন, ‘‘উইকেটে যা ঘাস রয়েছে তা কালও যদি থাকে তা হলে চার পেসার নিয়েই নামতে পারি। শেষ দু’বছরে পিচের চরিত্রই পাল্টে গিয়েছে। যে কোনও ফর্ম্যাটের জন্য আদর্শ। বাতাসে আর্দ্রতা থাকায় (কাগিসো) রাবাডা, (ক্রিস) মরিস, ইশান্ত (শর্মা) ও (ট্রেন্ট) বোল্টদের বল সুইং করার সম্ভাবনাও রয়েছে। বোলিং নিয়ে আমাদের কোনও চিন্তা নেই। ব্যাটিংই কিছুটা সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’’

ফিরোজ শাহ কোটলায় রাবাডার ইয়র্কারেই সুপার ওভারে শেষ হয়ে গিয়েছিল কেকেআরের জয়ের স্বপ্ন। সেই রাবাডার সামনে তুলে দেওয়া হচ্ছে ঘাসে ভরা উইকেট। টানা ১৪৭ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার গতিতে বল করে যাওয়ার ক্ষমতা রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার পেসারের।

Advertisement

ইডেনে আজ সবুজ পিচ? দলে দুটি পরিবর্তন? দেখে নিন নাইটদের সম্ভাব্য একাদশ

পন্টিং নিজেও তরুণ পেসারকে দেখে মুগ্ধ। বলছিলেন, ‘‘রাবাডার অসাধারণ প্রতিভা। কখনও, কখনও ওর গতি ১৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার বেশিও ছাড়িয়ে যাচ্ছে। তাই তো এখনও পার্পেল ক্যাপ ধরে রেখেছে। দলে ওর মতো একজন পেসার প্রয়োজন ছিল। এমনিতে খুব শান্ত। কিন্তু হাতে বল চলে এলেই ওর আক্রমণাত্মক রূপটি বেরিয়ে আসে।’’

তবে পন্টিং মানছেন, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে উপদেষ্টা হিসেবে পেয়ে তাঁরা সত্যি সুবিধাজনক জায়গায় রয়েছে। পন্টিংয়ের কথায়, ‘‘মাঠের পরিবেশ ও পিচ সম্পর্কে সৌরভ পুরোটাই জানে। ও ডাগআউটে থাকা মানে বাড়তি সুবিধা তো রয়েইছে।’’

বোলিং নিয়ে কোনও দুশ্চিন্তা না থাকলেও ব্যাটিং নিয়ে কিছুটা উদ্বেগে পন্টিং। দুশ্চিন্তার কারণ অবশ্যই ঋষভ পন্থের ছন্দ। শুরুটা ভাল করলেও শেষ পর্যন্ত ক্রিজে থাকতে পারছেন না। ডেথ ওভারে তাঁর সব চেয়ে বেশি অনুপস্থিত অনুভব করছেন পন্টিং। ‘‘ঋষভের মতো ব্যাটসম্যান পাওয়া কঠিন। কিন্তু সীমিত ওভারের ক্রিকেটে দ্রুত ম্যাচ শেষ করতে চায়। ওর মধ্যে সেই দক্ষতা আছে বলেই ও চেষ্টা করে। কিন্তু আমরা শেষ চার ওভারে ওকে ক্রিজে চাই। তার মানে এটা নয় যে ওকে মারতে বারণ করা হচ্ছে। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে মাত্র ২৭ বল খেলে ৭৮ রান করে গিয়েছিল। এ ধরনের ইনিংস খেললে আমরা এগিয়ে থাকবই। কিন্তু ব্যাটসম্যানদের বুঝতে হবে ডেথ ওভারেও রান তোলা প্রয়োজন, সাফ বার্তা পন্টিংয়ের।’’

ঋষভের সমালোচনা করে গেলেও প্রশংসা করে গেলেন পৃথ্বী শয়ের। বলছিলেন, ‘‘কলকাতার বিরুদ্ধে ওর সেঞ্চুরি হাতছাড়া হওয়ার পরে আমি খুব দুঃখ পেয়েছিলাম। গত বছর থেকে এ বছরে আমূল পরিবর্তন হয়েছে পৃথ্বীর। প্রত্যেক দিন উন্নতি করছে।’’

পন্টিংদের শিবিরে একটিই চিন্তা। যেন রাসেলের ব্যাট আবার না চলে। পন্টিং বলে গেলেন, ‘‘দু’তিনজন তারকার উপরেই নির্ভর করে কেকেআর। তার মধ্যে অন্যতম আন্দ্রে রাসেল। গত ম্যাচে আমাদের বিরুদ্ধে দুরন্ত খেলেছে। আমাদের মাথায় রাখতে হবে যে, রাসেল যেন একেবারেই রান না পায়। যে ভাবেই হোক ওকে আটকাতেই হবে।’’

দিল্লির অনুশীলনে আরও একটি চমক দেখা গেল। নেটে ট্রায়াল দিতে এসেছিলেন বাংলার অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি ও পঞ্জাবের অলরাউন্ডার মনপ্রীত গোনি। নেটে দীর্ঘক্ষণ ব্যাট করিয়ে দেখে নেওয়া হল মনোজকে। বলও করলেন বঙ্গ অধিনায়ক। উপদেষ্টা সৌরভ বলে গেলেন, ‘‘ট্রায়াল ভালই হয়েছে। পরের ম্যাচে দলের সঙ্গেই যাবে মনোজ। তবে ওকে নেওয়ার বিষয়ে এখনও নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।’’

মনোজদের ট্রায়ালে ডাকার কারণ অবশ্য দিল্লির চোট সমস্যা। কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের বিরুদ্ধে ডান হাতে বড় চোট পান হর্ষল পটেল। তাই আইপিএল থেকে ছিটকে গেলেন তিনি। অন্য দিকে ওপেনার মনজ্যোৎ কলরারও চোট রয়েছে। তাই নতুনদের দেখে নেওয়া হল বৃহস্পতিবার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন