সঞ্জু স্যামসনের অপরাজিত ১০২-র পরেও জয় আসেনি রাজস্থানের। ছবি এএফপি।
ডেভিড ওয়ার্নার নিজের ছন্দে ব্যাট করলে বোলারদের কিছু করার থাকে না। তা সে যতই কম ভুল করুক। ওয়ার্নার মেজাজে ব্যাট করলে যে কোনও বিপক্ষ বোলিং বিভাগের কাছে নিজেদের রান বাঁচানো কষ্টকর। বলছেন, রাজস্থান রয়্যালসের অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানে।
রাজস্থান রয়্যালস অধিনায়কের এ কথা বলার কারণ একটিই। তা হল, শুক্রবার হায়দরাবাদের সঞ্জু স্যামসনের অপরাজিত ১০২ রান-সহ ১৯৮ রানে রাজস্থানের ইনিংস শেষ হলেও, জয় আসেনি রাহানের দলের। উল্টে ডেভিড ওয়ার্নারের ব্যাটিং-বিক্রমে পাঁচ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
ম্যাচের শেষ দিকে রশিদ খান ঝটিকা ইনিংস খেলে হায়দরাবাদের জয় আনলেও এই খেলার নেপথ্য নায়ক ডেভিড ওয়ার্নারই। জয়ের জন্য ১৯৯ রান তাড়া করতে নেমে ৩৭ বলে ৬৯ রান করেন ওয়ার্নার। ২৮ বলে ৪৫ রান করে যান উইকেটকিপার জনি বেয়ারস্টো। যার সুবাদে এক ওভার বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে নেয় হায়দরাবাদ।
ম্যাচ শেষে রাহানে বলে যান, ‘‘প্রথমে ভেবেছিলাম স্কোরবোর্ডে ১৯০-এর উপর রান উঠেছে। তাই বিশেষ চিন্তার কিছু নেই। উইকেটে প্রথম দিকে বল থামকে আসছিল। তাই ভেবেছিলাম এই উইকেটে ১৫০-এর উপর করতে পারলে তা লড়ার মতো রান। কিন্তু সেই জায়গা থেকে ম্যাচ বার করে নিয়ে যাওয়ার কৃতিত্ব হায়দরাবাদের ব্যাটসম্যানদের।’’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘পাওয়ার প্লে-তে ৬৯ রান তুলে খেলার ছন্দটাই পরিবর্তন করে দেয় ওরা। আর ওয়ার্নারের মতো কেউ যখন ব্যাট করে তখন বোলারদের কিছু করার থাকে না।’’
রাহানে এর পরেই সঞ্জু স্যামসনের শতরানের প্রসঙ্গ টেনে এনে বলেন, ‘‘সানরাইজার্স ব্যাট করার সময় ছন্দ হারায়নি। ওয়ার্নার আউট হতেই সেই ছন্দটা ধরে নেয় বিজয় শঙ্কর। তবে সঞ্জুর ইনিংসটা দুর্দান্ত। আমরা সকলেই ওর প্রতিভা সম্পর্কে জানি। দলের সকলের মতোই ম্যাচ হেরে সঞ্জুরও দুঃখ হচ্ছে। ওকে এখন অনেকটা পথ এগিয়ে যেতে হবে। ধারাবাহিকতাই ওর সাফল্যের রাস্তা হতে পারে।’’
অন্য দিকে সানরাইজার্স অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন জয়ের জন্য কৃতিত্ব দিচ্ছেন সেই ডেভিড ওয়ার্নার ও জনি বেয়ারস্টোকে। তাঁর কথায়, ‘‘ম্যাচটা খুব সহজ ছিল না।’’