ব্রাত্য হেটমায়ার বেঙ্গালুরুর সঙ্গে নাইটদেরও ত্রাতা

কলকাতা নাইট রাইডার্সের আইপিএল প্লে-অফ খেলার স্বপ্নটা বাঁচিয়ে রাখলেন এমন দু’জন ক্রিকেটার, যাঁরা এ বার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের প্রথম একাদশের নিয়মিত ক্রিকেটারই নন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৫ মে ২০১৯ ০২:৪৬
Share:

কলকাতা নাইট রাইডার্সের আইপিএল প্লে-অফ খেলার স্বপ্নটা বাঁচিয়ে রাখলেন এমন দু’জন ক্রিকেটার, যাঁরা এ বার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের প্রথম একাদশের নিয়মিত ক্রিকেটারই নন।

Advertisement

শিমরন হেটমায়ার এবং গুরকিরত সিংহ। দু’জনের দাপটে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে চার উইকেটে হারিয়ে দিল আরসিবি। হায়দরাবাদের এই হারের ফলে কেকেআরের সামনে প্লে-অফে ওঠার অঙ্কটা খুব পরিষ্কার হয়ে গেল।

আজ, রবিবার, মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে হারালেই প্লে-অফে চলে যেতে পারবে শাহরুখ খানের দল। ম্যাচ যদি কোনও ভাবে পরিত্যক্ত হয়ে যায়, তা হলেও ১৩ পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফে উঠে যাবে কেকেআর।

Advertisement

আরও পড়ুন: জিতলেই প্লে অফ, মুম্বই ম্যাচে দলে কি একটি পরিবর্তন করছে কেকেআর?

হায়দরাবাদের ১৭৫ রান তাড়া করতে নেমে একটা সময় আরসিবির স্কোর হয়ে গিয়েছিল ২০ রানে তিন উইকেট। প্যাভিলিয়ানে ফিরে গিয়েছেন পার্থিব পটেল, বিরাট কোহালি এবং এবি ডিভিলিয়ার্স। সেখান থেকে প্রায় বাতিল দুই ক্রিকেটার যে কোহালিদের শেষ ম্যাচে জয় এনে দেবেন, ভাবা যায়নি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হেটমায়ার প্রথম কয়েকটা ম্যাচে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু শোচনীয় ভাবে ব্যর্থ হওয়ার পরে তাঁকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। এখন আর কোনও বিকল্প না থাকায় ফিরিয়ে আনা হয়েছিল হেটমায়ারকে। অন্য দিকে গুরকিরত দলে এসেছেন শেষ কয়েকটা ম্যাচের জন্য। এই দুই ব্রাত্য ক্রিকেটারের ইনিংস স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখল নাইটদের। হেটমায়ার ৪৭ বলে ৭৫ করে আউট হলেন। গুরকিরত ফিরে গেলেন ৪৮ বলে ৬৫ করে। কিন্তু তত ক্ষণে ম্যাচের ভাগ্য ঠিক হয়ে গিয়েছে। শেষ ওভারে দরকার ছিল ছয় রান। মহম্মদ নবির প্রথম দু’বলে দু’টো চার মেরে কোহালিদের জয় এনে দিলেন উমেশ যাদব।

এ বারের আইপিএলটা তাঁর সে রকম ভাল যাচ্ছিল না। প্রথম দিকে চোটের কারণে কয়েকটা ম্যাচে খেলতে পারেননি। মাঝে একবার দেশে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু গ্রুপের সম্ভবত সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দুরন্ত ব্যাটিং করে গেলেন হায়দরাবাদের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। ৪৩ বলে ৭০ রান করে অপরাজিত থাকলেন তিনি। মারলেন পাঁচটি চার, চারটি ছয়। উইলিয়ামসনের বিধ্বংসী ইনিংসের সৌজন্যে প্রথমে ব্যাট করে হায়দরাবাদ তুলেছিল সাত উইকেটে ১৭৫ রান। যা অবশ্য শেষ পর্যন্ত যথেষ্ট হয়নি।

তবে একটা সময় মনে হচ্ছিল চিন্নাস্বামীতে হয়তো ১৬০ রানের বেশি তুলতে পারবে না হায়দরাবাদ। ১৯ ওভারের শেষে তাদের রান ছিল ১৪৭। কিন্তু শেষ ওভারে উমেশ যাদব দিলেন ২৮ রান। যার মধ্যে থেকে ২৩ রানই করেন উইলিয়ামসন। উমেশের দুর্ভাগ্য, তাঁর পঞ্চম বলটি নো ডাকেন আম্পায়ার নাইজেল লং। কিন্তু টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, বলটি নো ছিল না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন