রাজস্থানকে হারিয়ে নাইটদের উল্লাস। ছবি: আইপিএল
রাজকীয় জয় নাইটদের, ফাইনাল থেকে আর মাত্র এক ম্যাচ দূরে কলকাতা নাইট রাইডার্স। ইডেনের ৬৬ হাজারের গ্যালারির মুখে এখন শুধু কেকেআর... কেকেআর...
রাজস্থান রয়্যালসকে ২৫ রানে দুরমুশ করে ফাইনালের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল দীনেশ কার্তিক ব্রিগেড। নাইটদের দেওয়া ১৭০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৪৪ রানেই থেমে গেল রাহানেদের ইনিংস।
আজ কলকাতায় সারাদিন ধরেই বৃষ্টির ভ্রুকুটি ছিল। সেই কারণেই ১৭০ রানের টার্গেট নিয়ে মাঠে নেমে ঝোড়ো ব্যাটিং শুরু করেন রয়্যালসদের দুই ওপেনার অজিঙ্ক রাহানে এবং রাহুল ত্রিপাঠি। ব্যক্তিগত ২০ রানের মাথায় রাহুল আউট হওয়ার পর ক্রিজে আসেন সঞ্জু স্যামসন। অধিনায়ক রাহানের সঙ্গে ৬২ রানের মূল্যবান পার্টনারশিপ গড়েন সঞ্জু। একটা সময় তামাম নাইট সমর্থকদের মনে আশঙ্কা হয়েছিল, এই জুটি হয়ত ম্যাচ রাজস্থানের পক্ষে নিয়ে যাবে। কিন্তু রাহানে(৪৬) ডাগ আউটে ফিরতেই আশা ফিরে আসে নাইট শিবিরে। সঞ্জু(৫০) খানিকটা লড়াই করলেও নারিন, রাসেল, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণাদের আঁটোসাটো বোলিংয়ের দাপটে তা আর জয়ের আশা দেখাতে পারেনি রাহানেদের। চার নম্বর দল হিসেবেই আইপিএল অভিযান শেষ করল রাজস্থান। আরও একবার সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন কেকেআর অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক।
আরও পড়ুন: অনুষ্কা শর্মা নাকি খুবই ধার্মিক, বদলে দিয়েছেন বিরাটকে
ইডেন গার্ডেনে এ দিন প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রাজস্থান অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানে। প্রথমে ব্যাট করে নাইটরা করে ৭ উইকেটে ১৬৯ রান। ব্যাট হাতে অধিনায়ক কার্তিক আর আন্দ্রে রাসেল ছাড়া আর কেউই সফল হতে পারেননি। শুরুটাই হয়েছিল খুব নড়বড়ে। ওপেন করতে নেমে সুনীল নারিন ৪ ও ক্রিস লিন ১৮ রানে প্যাভেলিয়নে ফিরে যান। এর পর হাল ধরার কথা ছিল যাঁদের তাঁরাও চূড়ান্ত ব্যর্থ এ দিন। তিন নম্বর আর চার নম্বরে নামা রবিন উথাপ্পা ও নীতিশ রানা দু’জনেই ফেরেন ৩ রান করে।
আরও পড়ুন: ‘এ বার সময় এসেছে অন্য কারও হাল ধরার, তাই বিদায়’
সেই আবার দীনেশ কার্তিকের নেতৃত্বেই ম্যাচে ফেরার জন্য একটা মরিয়া লড়াই দেয় কলকাতা। অধিনায়কের ৩৮ বলে ৫২ রানের দুরন্ত ইনিংসকে সাময়িক সঙ্গ দেন শুভমন গিল। তিনি করেন ২৮। বাকি কাজটি করে যান রাসেল। ওভার শেষ হয়ে যাওয়ায় মাত্র ১ রানের জন্য হাফ সেঞ্চুরিটি করা হল না রাসেলের। ২৫ বলে রাসেলের ৪৯ রানের দামি ইনিংস সাজানো ছিল ৫টি ছক্কা ও ৩টি বাউন্ডারিতে। ৪৯ রানে অপরাজিত থাকলেন তিনি। এ দিন ম্যাচের সেরাও নির্বাচিত হয়েছেন রাসেল।
ঘরের মাঠে এলিমিনেটর ম্যাচ জিতে ফাইনালের হাতছানি কেকেআর-এর সামনে। আগামী শুক্রবার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারাতে পারলেই ২৭শে মে-র ওয়াংখেড়ের টিকিট হাতের মুঠোয় চলে আসবে নাইটদের। তৃতীয় আইপিএল ট্রফির গন্ধ ইতিমধ্যেই ঢুকে গিয়েছে নাইট সমর্থকদের মধ্যে।