ভবিষ্যৎ দেখে নেওয়ার লড়াই আজ

মুম্বই বনাম দিল্লি ম্যাচটাকে দেখা যেতে পারে দু’দলের তরুণ প্রজন্মের ভয়ডরহীন ক্রিকেটের লড়াই হিসেবে। এক দিকে পাণ্ড্য ভাইরা, রানা।

Advertisement

রবি শাস্ত্রী

শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০১৭ ০৪:১০
Share:

আবিষ্কার: এ বারের আইপিএলে উদয় নীতীশ রানার। ছবি: বিসিসিআই।

মুম্বই বনাম দিল্লি ম্যাচটাকে দেখা যেতে পারে দু’দলের তরুণ প্রজন্মের ভয়ডরহীন ক্রিকেটের লড়াই হিসেবে। এক দিকে পাণ্ড্য ভাইরা, রানা। অন্য দিকে আইয়ার, নায়াররা। এরা কেউ উল্টো দিকে কত ভারী নাম খেলছে, তা মাথায় রাখে না। উমেশ যাদব যেমন সেটা টের পেয়েছে ঋষভ পন্থের বিরুদ্ধে বল করতে গিয়ে। তার পরে ধরুন মুম্বইয়ের নীতীশ রানা। এই সব ছেলেরা কিন্তু কারও ধার ধারে না।

Advertisement

বিশেষ করে রানা যে ব্যাটটা এখন করছে, তার জন্য আমরা কেউ প্রস্তুত ছিলাম না। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স থিঙ্ক ট্যাঙ্ক নিশ্চয়ই ওর মধ্যে কিছু দেখেছিল, যাতে ওর হাতে বাড়ির চাবিটা তুলে দিতে দু’বার ভাবেনি। যত বার ও ব্যাট করতে নেমেছে, তত বার বুঝিয়ে দিয়েছে বাইশ গজের বস কে। যে ফর্মে ছেলেটা ব্যাট করছে, তাতে মনে হয় দশম আইপিএলে নিজের ছাপটা ভাল মতো রেখে দিতে চায় রানা।

রানা-কে বল করাটা যে সহজ নয়, তা এখন বোলাররা বুঝতে পারছে। রানার এই সাফল্যের কয়েকটা কারণ আছে। যেমন, ও একটু ঝুঁকে ব্যাটটা করে। ফলে বলের নীচে ব্যাট নিয়ে গিয়ে লিফট করতে সুবিধে হয়। ওর হ্যান্ড-আই কোঅর্ডিনেশন খুব ভাল। খুব দ্রুত নড়াচড়া করতে পারে। কব্জিও খুব নমনীয়। এর সঙ্গে রয়েছে ডাকাবুকো মানসিকতা। যা জলদস্যুদেরও লজ্জায় ফেলে দেবে! এই আইপিএলে এখনও ওর চেয়ে বেশি ছয় কেউ মারেনি। যা বুঝিয়ে দিচ্ছে কতটা নৃশংস ভাবে রানা ব্যাট করছে।

Advertisement

রানা যদি দিল্লি থেকে মুম্বইয়ে আসে, তা হলে শ্রেয়স আইয়ার উল্টো রাস্তাটা নিয়েছিল। মানে মুম্বই থেকে রাজধানী। দু’জনেই মোটামুটি একই বয়সি। এদের ক্রিকেট মন্ত্রও এক। ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলো। এটাই এই তরুণ প্রজন্মের মন্ত্র। আর সেটা বোঝার জন্য প্রচুর উদাহরণ কিন্তু দু’টো টিমেই রয়েছে। তবে ওদের একটা ব্যাপার মাথায় রাখতে হবে। ঝুঁকি নেওয়া মানে এই নয় যে, তুমি চোখ বুজে প্রথম বল থেকে ব্যাট চালাবে। ঋষভ পন্থ নিশ্চয়ই ব্যাপারটা বুঝতে পারছে। আগের দিন সানরাইজার্সের বিরুদ্ধে যুবরাজ সিংহের প্রথম বলেই ওই শটটা মারার ওর কোনও দরকার ছিল না।

পাণ্ড্য ভাই, পন্থ আর ওদের ক্রিকেট নিয়ে যা-ই বলি, শেষ হবে না। সঞ্জু স্যামসন-কেও বা ভুলব কী করে? তেইশ বছরও হয়নি অথচ এ বারের আইপিএলের প্রথম সেঞ্চুরিটা করে দিল। করুণ নায়ার এবং জসপ্রীত বুমরা-কেও কোনও ভাবে ভুললে চলবে না।

দিল্লি এবং মুম্বই কিন্তু নিছকই একটা টি-টোয়েন্টি ম্যাচ নয়। ভারতের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ভবিষ্যৎ কোন দিকে যাচ্ছে, তারও একটা ইঙ্গিত শনিবার পাওয়া যাবে ওয়াংখেড়ে-তে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement