IPL 2023

রাসেলকে আরও দায়িত্ব নিতে হত, বলছেন চন্দ্রকান্ত

ঘরের মাঠে সাত ম্যাচের মধ্যে পাঁচ ম্যাচে হারের কারণ কি? কেকেআর কি তা হলে ঘরের মাঠের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেনি?

Advertisement

ইন্দ্রজিৎ সেনগুপ্ত 

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০২৩ ০৬:১২
Share:

আক্ষেপ: রাসেল-ঝড়ের আশায় ছিলেন কোচ। ফাইল চিত্র।

ঘরোয়া ক্রিকেটের ‘পণ্ডিতমশাই’ তিনি। মুম্বই, বিদর্ভ এমনকি মধ্যপ্রদেশের মতো দলকেও রঞ্জি ট্রফি জিতিয়েছেন। আইপিএলে এ বারই প্রথম কোনও দলের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। তাঁর প্রশিক্ষণে কলকাতা নাইট রাইডার্স প্লে-অফে পৌঁছতে না পারলেও রিঙ্কু সিংহ, সুযশ শর্মা, হর্ষিত রানা, বৈভব অরোরার মতো তরুণরা উঠে এসেছেন। যা ইতিবাচক দিক হিসেবেই দেখছেন। তিনি কেকেআর কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত।

Advertisement

রবিবার রাতেই মুম্বইয়ে নিজের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছেন চন্দ্রকান্ত। সোমবার সকালটা বিশ্রাম নেওয়ার পরে বিকেলে আনন্দবাজারের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হয়ে গেলেন তিনি। ১৪ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট পেয়ে অভিযান শেষ করেছে কেকেআর। ঘরের মাঠে সাতটি ম্যাচের মধ্যে পাঁচটিই হেরেছে তাঁর দল। তাঁর মতো লড়াকু কোচের জমানায় কেন এ ধরনের পারফরম্যান্স? তার উত্তর দিলেন কোচ। শুরুতেই বলেন, ‘‘আন্দ্রে রাসেল ও সুনীল নারাইনের আরও বেশি দায়িত্ব নেওয়া উচিত ছিল। তবে দু’জনেই বেশ কয়েকটি ম্যাচে ভাল খেলেছে। আবার গুরুত্বপূর্ণ পরিস্থিতিতে ব্যর্থ হয়েছে। ধারাবাহিকতার অভাবই আমাদের পিছিয়ে দিয়েছে। রিঙ্কু সিংহ ছাড়া কেউ ধারাবাহিক ক্রিকেট খেলেনি।’’ যোগ করেন, ‘‘আইপিএলের আগে সময় বেশি পাওয়া যায় না। ক্রিকেটারদের চিনতেই অনেকটা সময় চলে যায়।’’

ঘরের মাঠে সাত ম্যাচের মধ্যে পাঁচ ম্যাচে হারের কারণ কি? কেকেআর কি তা হলে ঘরের মাঠের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেনি? কোচের উত্তর, ‘‘ঘরের মাঠের সুবিধে আমরা নিতে পারিনি। কেন পারলাম না, সেটা সত্যি আশ্চর্যজনক। যে মাঠের পিচ, পরিবেশ, দর্শক সব কিছুই আমাদের পক্ষে ছিল, সেখানে আরও ভাল কিছু উপহার দেওয়া উচিত ছিল।’’

Advertisement

নাইটদের কোচ মনে করেন, বেশ কিছু হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচে হেরে গিয়েই বিপদ ঘটেছে দলের। তাঁর কথায়, ‘‘প্রথম ম্যাচে মোহালিতে শেষের দিকে বৃষ্টি না নামলে সেই ম্যাচ আমরা জিততেও পারতাম। তার পরে সানরাইজ়ার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে আমাদের হারা উচিত ছিল না। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধেও জেতা উচিত ছিল। গুজরাত টাইটানসের বিরুদ্ধে ইডেনের সেই ম্যাচ হারার পরে খুবই আফসোস হয়েছিল। আর লখনউ ম্যাচের কথা তো ছেড়েই দিন। এক রানে হার খুবই দুঃখজনক। অন্তত জয় দিয়ে মরসুম শেষ করতে পারতাম।’’

শ্রেয়স আয়ারের মতো একজন নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান দলে থাকলে যে আমূল পরিবর্তন ঘটত, তা মানছেন চন্দ্রকান্ত। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা কিন্তু একপাক্ষিক ম্যাচ খুব কমই হেরেছি। ইডেনে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ম্যাচটা বাদ দিলে আমার দল কিন্তু প্রত্যেক ম্যাচে লড়াই করেছে। রিঙ্কু সিংহের মতো তারকা উঠে এসেছে। রিঙ্কুর অবদান কোনও দিনও ভোলার নয়। যদি শ্রেয়স দলে থাকত, আমাদের সহজে হারানো যেত না। কয়েক ম্যাচ আগেই হয়তো নিশ্চিত হয়ে যেত প্লে-অফের স্থান।’’

কলকাতার সঙ্গে তিন বছরের চুক্তি হয়েছে বলেই জানিয়েছেন চন্দ্রকান্ত। ফলে আগামী বারও কোচ হিসেবে তাঁকে দেখা যাবে বলেই ধরে নেওয়া যায়। শেষে বলেন, ‘‘আগামী বছর নিয়ে এখনই কথা বলতে চাই না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন