জুটি: দিল্লির দুই ‘মস্তিষ্ক।’ দ্রাবিড় এবং জাহির। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
আগের দিন রাহুল দ্রাবিড় যখন দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের সুযোগ নিয়ে খুব উৎসাহের সঙ্গে কথা বলছিল, আমি ভাল করে শুনছিলাম। কিন্তু মুম্বই ওদের উড়িয়ে দিল। ওর দলের সিংহশাবকরা ল্যাজ গুটিয়ে পালাতে বাধ্য হল। দ্রাবিড় আবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, পরের ম্যাচে ওর তরুণ ব্রিগেড বিপক্ষের টুঁটি লক্ষ করে ঝাঁপাবে।
দ্রাবিড় কিন্তু খুব সিরিয়াস। আমাদেরও তাই ব্যাপারটাকে গুরুত্ব দিতে হবে। ও আশা করছে, প্লে-অফে যাওয়ার জন্য ওর টিম ঝাঁপাবে। তার মানে হল, পরের আটটা ম্যাচের মধ্যে ছ’টা জিততে হবে ওদের। যদি সেটা ওর ছেলেরা সম্ভব করতে পারে, তা হলে নদী পাহাড়ের ওপর উঠতে পারে আর সূর্য পশ্চিম দিকে উদয় হতে পারে।
দিল্লির একটা সুবিধে হল, ওদের ব্যাটসম্যানদের বিশাল বড় স্কোর করার প্রয়োজন হয় না ম্যাচ বার করতে। কারণ দিল্লির বোলিং শক্তি। ওদের বোলাররা বিপক্ষকে ১৬০ রানের আশেপাশে আটকে রাখতে পারে। সে ক্ষেত্রে দিল্লির ব্যাটসম্যানদের প্রতি বলে বড় শট না খেললেও চলে। ওদের উচিত হবে, প্রথম দিকে উইকেট বাঁচিয়ে রেখে পরের দিকে আক্রমণে যাওয়া।
এই আইপিএলে দিল্লি কিন্তু মোটেও নিজেদের শক্তি অনুযায়ী খেলতে পারছে না। কাগজে-কলমে ওদের টিমটা বেশ ভাল। ভারতীয় ক্রিকেটের বেশ কিছু তরুণ প্রতিভা ওদের টিমটাকে ধরে রেখেছে। যাদের হাতে থাকছে টিমের স্টিয়ারিং। গাড়ির ইঞ্জিনটা যদি ভাল মতো চলে, তা হলে এই টিমটার কিন্তু হাইওয়েতে ছোটার ক্ষমতা আছে।
কলকাতার বিরুদ্ধে ম্যাচটা দু’ভাবে দেখা যেতে পারে। কেকেআর এই আইপিএলে কাউকে বিশেষ গ্রাহ্য করছে না। দিল্লি যদি কলকাতার ঘরের মাঠে কলকাতাকে হারিয়ে যেতে পারে, তা হলে ছন্দটা ফিরে পাবে। ওদের মনোবলের জন্য সেটা দারুণ একটা ইতিবাচক ব্যাপার হবে। এই জয় পাওয়াটা দিল্লির জন্য খুব জরুরি। কারণ, টেবলে বেশ নীচের দিকে রয়েছে ওরা। দিল্লির দরকার নিজেদের ওপর আত্মবিশ্বাসটা ফিরে পাওয়া। উল্টো দিকে যখন সুনীল নারাইন, কুলদীপ যাদব বা নেথান কুল্টার নাইল বোলিং লাইনে গিয়ে দাঁড়াবে, তখন ভয় নয়, বিশ্বাসটা থাকতে হবে দিল্লির ব্যাটসম্যানদের মধ্যে।সবাই জানে লিগ টেবলে যা দেখাচ্ছে, তার থেকে এই দিল্লি দলটা অনেক ভাল। ওদের একটা সুবিধে হল, ওরা সবচেয়ে কম ম্যাচ খেলেছে। সময় এসেছে, দমকা হাওয়াকে ঝড়ে বদলে ফেলার।