Sports News

দিল্লির বিরুদ্ধে হারের সব দায় নিলেন মনোজ তিওয়ারি

শুক্রবার পুণের হারের সব দায় নিজের কাঁধে নিলেন মনোজ তিওয়ারি। দিল্লির কাছে ৭ রানে হেরে যেতে হয়েছে। ম্যাচ শেষ করার দায়িত্ব ছিল তাঁরই উপর। কিন্তু তিনি পারেননি। পুণের সামনে ১৬৯ রানের টার্গেট রেখেছিল দিল্লি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০১৭ ১৬:৩৫
Share:

মনেজ তিওয়ারি। ছবি: এএফপি।

শুক্রবার পুণের হারের সব দায় নিজের কাঁধে নিলেন মনোজ তিওয়ারি। দিল্লির কাছে ৭ রানে হেরে যেতে হয়েছে। ম্যাচ শেষ করার দায়িত্ব ছিল তাঁরই উপর। কিন্তু তিনি পারেননি। পুণের সামনে ১৬৯ রানের টার্গেট রেখেছিল দিল্লি। কিন্তু সেই লক্ষ্যের কাছে গিয়েও হারটা যেন কিছুতেই মানতে পারছেন না মনোজ। নিজেকেই দুষছেন তিনি। কারণ শেষটা ছিল তাঁরই হাতে। একটা সময় পরিস্থিতি ছিল ২৪ বলে ৪৩ রানের। সেই সময় ক্রিজে ছিলেন মনোজ তিওয়ারি ও এমএস ধোনি। কিন্তু মাত্র ৫ রান করে রান আউট হয়ে ফিরে যান ধোনি। শেষ ২২ বলে একটাও বাউন্ডারি মারতে পারেনি পুণে ব্যাটসম্যানরা। মনোজ বলেন, ‘‘এই হারের জন্য পুরো দায় আমার। কারণ আমি সেট ব্যাটসম্যান ছিলাম। তখন। শেষ ওভারের আগে আমরা কোনও বাউন্ডারি পাইনি। আমিই স্ট্রাইকে ছিলাম। আমি কানেক্ট করতে পারিনি। একটা সময় পর্যন্ত ম্যাচ আমাদের হাতেই ছিল।’’

Advertisement

আরও খবর: সত্তর রানে না হারলে প্লে-অফ খেলছি

যদিও পুণের সামনে এখনও সুযোগ রয়েছে। শেষ ম্যাচ জিতে প্লে অফে চলে যেতেই পারেন পুণে। কিন্তু দিল্লির বিরুদ্ধে জিতে গেলে আগেই প্লে অফ নিশ্চিত হয়ে যেতে পার পুণের। যেটা মানতে পারছেন না মনোজ। ৪৫ বলে ৬০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। এক বল বাকি থাকতে আউট হন মনোজ। মহম্মদ শামি রান আউট করে প্যাভেলিয়নে পাঠিয়েছিলেন ধোনিকে। মনোজ বলছেন ধোনি বুঝতে পারেননি বল কোন দিকে গিয়েছে। মনোজ বলেন, ‘‘ধোনি বলেছিল ও দেখতে পায়নি বল কোন দিকে গিয়েছে। কারণ বল পিছন দিকে চলে গিয়েছিল।’’ ধোনির রানিং বিটউইন দ্য উইকেট এত ভাল যে তাঁর তৃরান আউট হওয়াটা প্রায় অস্বাভাবিক। কিন্তু এদিন সেটাই হয়েছে। মনোজ বলেন, ‘‘এমনটাও হয় যখন কিছুই তোমার পক্ষে থাকে না। কিন্তু কৃতিত্ব দিতে হবে মহম্মদ শামিকেও। কারণ যদি ওই থ্রো স্টাম্পে না লাগত তা হলে বাড়তি এক রান হয়ে যেত।’’

Advertisement

মহম্মদ শামি পরে অবশ্য বলেন, তিনি শুধু একটা চেষ্টা করেছিলেন। একটা সুযোগ নিয়েছিলেন। যেটা কাজে লেগে যায়। তিনি বলেন, ‘‘এটাকে গেম চেঞ্জার বলা যেতে পারে। মাহিভাই দ্রুত রানার। আমি শুধু চেষ্টা করেছিলাম। ৫০-৫০ সুযোগ ছিল উইকেটে লাগার। এখান থেকেই ম্যাচ ঘুরে গেল।’’ সকলেই মনে করছেন এটাই ছিল ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। সঙ্গে মনোজের শেষ বেলায় রান করতে না পারা। সব মিলে ম্যাচে হার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন