Andre Russell

Andre Russell: আরও ছয় মারব, হুঙ্কার দিয়ে রাখলেন রাসেল

পরে অবশ্য টুপির মালিক হলেন ঈশান কিশান। শুক্রবার ম্যাচের শেষে কেকেআরের দুই তারকা ক্রিকেটার একে অন্যের সাক্ষাৎকার নিলেন। এই দু’জন হলেন— ওয়েস্ট ইন্ডিজের আন্দ্রে রাসেল এবং নিউজ়িল্যান্ডের পেস বোলার টিম সাউদি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০২২ ০৮:২০
Share:

অলৌকিক: শুক্রবার এ ভাবেই ব্যাট হাতে সংহারকের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল আন্দ্রে রাসেলকে। ফাইল চিত্র

তাঁর বিধ্বংসী ইনিংসের জোরে শুধু কলকাতা নাইট রাইডার্সকে জয়ই এনে দেননি আন্দ্রে রাসেল, কিছুটা সময়ের জন্য নিজের দখলে নিয়েছিলেন কমলা টুপিও (সর্বাধিক রান সংগ্রকারী)। যদিও শনিবার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে অসাধারণ সেঞ্চুরি করে সেই টুপি নিজের দখলে নিয়ে নেন রাজস্থান রয়্যালসের জস বাটলার। পরে অবশ্য টুপির মালিক হলেন ঈশান কিশান। শুক্রবার ম্যাচের শেষে কেকেআরের দুই তারকা ক্রিকেটার একে অন্যের সাক্ষাৎকার নিলেন। এই দু’জন হলেন— ওয়েস্ট ইন্ডিজের আন্দ্রে রাসেল এবং নিউজ়িল্যান্ডের পেস বোলার টিম সাউদি।

Advertisement

আইপিএলের ওয়েবসাইটে তুলে দেওয়া ভিডিয়োয় এই ভাবে চলল দুই ক্রিকেটারের কথোপকথন:

সাউদি: কমলা টুপিতে ভালই মানিয়েছে তো!

Advertisement

রাসেল: হ্যাঁ, টুপিটা পরে ভালই লাগছে। চেষ্টা করব, যতটা বেশি সময় পারি পরে থাকার।

সাউদি: আর তুমি যখন মারতে থাকো, তখন তো কোনও মাঠই বড় বলে মনে হয় না। বেবি ড্রে (ওডিয়ান স্মিথ)-র চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে গিয়ে নিশ্চয়ই ভাল লাগছে (ওডিয়ান স্মিথের এক ওভারে তিনটে ছয় মারেন রাসেল)।

রাসেল (হেসে): ওডিয়ান বেশ জোরেই বল করে। আমার লক্ষ্য ছিল সামনের পা-টা সরিয়ে নিয়ে বড় শট খেলা। সেই সুযোগ পেয়েছিলাম। হ্যাঁ, ভালই লাগছে। এই ম্যাচে ওর থেকে এগিয়ে রইলাম।

সাউদি: পঞ্জাবের বিরুদ্ধে আটটা ছয় মারলে। এই কি সবে শুরু?

রাসেল: হ্যাঁ, ইনিংসে ছয় মারার সংখ্যাটা আমি আরও বাড়াতে চাই। এর আগে আমি একটা ইনিংসে ১৪টা ছয় মেরেছিলাম। তবে এটাও দেখতে হবে, কতটা সময় ব্যাট করার সুযোগ পাব পরবর্তী সময়ে। এই ম্যাচটাকে শেষ করে আসতে পেরে বেশ ভাল লাগছে। আর আটটা ছয় মারাও একটা কৃতিত্বের ব্যাপার। কোনও কোনও ম্যাচে গোটা দল মিলে সাতটা-আটটা ছয়ের বেশি মারতে পারে না। তাই ইনিংসে আটটা ছয় মারতে পেরে অবশ্যই ভাল লাগছে। নেটে আমি এই রকম বড় শট খেলাই অনুশীলন করছি। তাই মাঠে এসে বড় শটগুলো খেলতে পেরে বেশ ভাল লাগল।

এর পরে ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডারের প্রশ্নের পালা।

রাসেল: একটা অবিশ্বাস্য ক্যাচ নিয়ে (প্রায় ৩২ মিটার দৌড়ে) কাগিসো রাবাডাকে ফিরিয়ে দিয়েছিলে। এত লম্বা হয়েও কী ভাবে অতটা ক্ষিপ্রতার সঙ্গে ওই ক্যাচটা নিতে পারলে? একটু বল অভিজ্ঞতাটা।

সাউদি: আমার ভাগ্যটা ভাল ছিল। বলটা অনেক উঁচুতে উঠেছিল। এর আগে রাবাডা আমার বলে রান তুলছিল। তাই ওকে ফিরিয়ে দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছিলাম।

রাসেল: নতুন বলে তুমি এক জন দারুণ সঙ্গী পেয়েছ। উমেশ যাদব। ও কি তোমার কাজটা সহজ করে দিচ্ছে? এক দিকে তুমি নতুন বলটা সুইং করাচ্ছো। অন্য দিকে উমেশ নিখুঁত লেংথে বল করে যাচ্ছে।

সাউদি: উমেশ অসাধারণ বল করছে। দারুণ শুরু করেছে আইপিএলটা। ওর সঙ্গে বোলিং আক্রমণের দায়িত্ব ভাগ করে নিতে পেরে ভাল লাগছে। আশা করব, এই ছন্দটা ও ধরে রাখতে পারবে।

রাসেল: অবশ্যই। তোমরা দু’জনে নতুন বলে উইকেট তুলে নিতে পারলে কাজটা সহজ হয়ে যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন