Kolkata Metro

হাওড়া ময়দানের শৈলেন মান্না স্টেডিয়াম পুনর্নির্মাণ করে দেওয়া হবে, প্রতিশ্রুতি মেট্রোর

হাওড়া ময়দানের শৈলেন মান্না স্টেডিয়ামের কিছু জমি ২০১৪ সালে অধিগ্রহণ করেছিল মেট্রো। পরিষেবা শুরু হয়ে গেলেও এখনও সেই স্টেডিয়াম পুনর্নির্মাণ করে দেয়নি মেট্রো। বৃহস্পতিবার মেট্রোর তরফে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় সেই কাজ করে দেওয়ার।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০২৪ ২২:০১
Share:

হাওড়ার শৈলেন মান্না স্টেডিয়াম। —ফাইল চিত্র।

কলকাতা মেট্রোর হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত পরিষেবা শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সেই লাইন তৈরির জন্য হাওড়া ময়দানের শৈলেন মান্না স্টেডিয়ামের কিছু জমি ২০১৪ সালে অধিগ্রহণ করেছিল মেট্রো। পরিষেবা শুরু হয়ে গেলেও এখনও সেই স্টেডিয়াম পুনর্নির্মাণ করে দেয়নি মেট্রো। বৃহস্পতিবার মেট্রোর তরফে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় সেই কাজ করে দেওয়ার।

Advertisement

স্টেডিয়ামের যে অংশ ২০১৪ সালে মেট্রো অধিগ্রহণ করেছিল, সেখানে কাজ হয়ে গেলে সেই জমি পুনরায় ব্যবহারযোগ্য করে স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলে কলকাতা মেট্রো রেলওয়ে কর্পোরেশন লিমিটেড প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু এখন গ্রীন লাইনের ওই অংশে মেট্রো পরিষেবা শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও জমি স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি।

মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, “এখনও পর্যন্ত কাজ শুরুর জন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদন কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন লিমিটেড কর্তৃপক্ষ পায়নি। এই বছর ২৩ জানুয়ারি হাওড়া জেলাশাসককে এই অনুমোদন দ্রুত প্রদানের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছিল। গ্যালারি নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ হলে মেট্রো রেল স্টেডিয়ামের প্রাচীরও নির্মাণ করে দেবে। তার পর এই অংশটি স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হবে। প্রশাসনিক শ্লথতার কারণে এই কাজটি সম্পূর্ণ করা যাচ্ছে না।”

Advertisement

হাওড়ার পুরপ্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী বললেন, “আমাদের দিক থেকে কোনও অনুমোদন আটকে নেই। এটি হাওড়ার খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা স্টেডিয়াম। মেট্রোর কথা ছিল এই স্টেডিয়াম পুনর্নির্মাণ করে দেওয়ার। সেই কাজ দ্রুত করার আবেদন জানাচ্ছি। তাহলে জাতীয় স্তরের অনেক খেলা এখানে আয়োজন করা সম্ভব হবে।”

মেট্রোর তরফে জানানো হয়েছে যে, তারা শৈলেন মান্না স্টেডিয়ামের গ্যালারি পুনর্নির্মাণে উদ্যোগী। প্রস্তাবিত এই গ্যালারির নকশা হাওড়া ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট ও কালেক্টরকে গত বছর ৫ ডিসেম্বর অনুমোদনের জন্য দেওয়া হয়েছিল। তার আগে এই নকশার অনুমোদন হাওড়া মিউনিসিপাল কর্পোরেশন ও পূর্ত বিভাগ (সড়ক) থেকেও নেওয়া হয়েছিল। এই দুই সরকারি সংস্থার আধিকারিকেরা এই নকশায় স্বাক্ষর করার পরেই তা অনুমোদনের জন্য হাওড়ার জেলাশাসকের কাছে পাঠানো হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন