নায়ক: বিশ্বকাপ জয়ের ঐতিহাসিক ওয়াংখেড়েতেই ফের উঠল ধোনি-ঝড়। করলেন ২৬ বলে ৪০। ছবি: পিটিআই
বেন স্টোকস নেই তো কী হয়েছে, মহেন্দ্র সিংহ ধোনি তো আছেন। মঙ্গলবার ওয়াংখেড়ের স্লো পিচে একটা সময় মনে হচ্ছিল, রাইজিং পুণে সুপারজায়ান্ট দেড়শো রানও তুলতে পারবে না। কিন্তু ছবিটা বদলে দিলেন ধোনি। বাংলার মনোজ তিওয়ারিকে সঙ্গে নিয়ে। একই সঙ্গে আইপিএল ফাইনালে তুলে দিলেন পুণেকে।
ধোনি-মনোজের দাপটে পুণে করেছিল ১৬২-৪। জবাবে মুম্বই থেমে গেল ১৪২-৯।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমেছিল পুণে। প্রথম ১৭ ওভারে দাপট ছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স বোলারদের। কিন্তু শেষ দিকে দেখা গেল সেই পরিচিত ছবি। ওয়াংখেড়েতে ধোনির শাসন। যে মাঠে তিনি বিশ্বকাপ দিয়েছিলেন দেশকে, সেই মাঠেই ফাইনালে তুললেন তাঁর আইপিএল টিমকে। শোনা গেল সেই পরিচিত আওয়াজও— ‘মাহি মার রাহা হ্যায়’। মিচেল ম্যাকক্লেনাঘান আর জসপ্রীত বুমরার করা শেষ দু’ ওভারে উঠল ৪১ রান। ধোনি করে গেলেন ২৬ বলে ৪০। একটাও বাউন্ডারি মারেননি, কিন্তু ইনিংসে ছিল পাঁচটা ছয়। সঙ্গী মনোজ করলেন ৪৮ বলে ৫৮। চারটে বাউন্ডারি, দু’টো ওভারবাউন্ডারি।
রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই সমস্যায় পড়ে যায় মুম্বই। প্রথম ৬ ওভারের মধ্যেই তিন উইকেট পড়ে যায়। ফিরে যান লেন্ডল সিমন্স, রোহিত শর্মা এবং অম্বাতি রায়ডু। ওয়াশিংটন সুন্দরের অফস্পিনের সামনে আটকে যায় মুম্বই। ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে তিন উইকেট নিয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ সুন্দরই। অশ্বিনের জায়গায় ট্রায়াল দিয়ে দলে আসা সুন্দর ক্রমে এই আইপিএলের চমক হয়ে উঠছেন।
আরও খবর: নতুন মাইলস্টোনে ধোনি
টিম ফাইনালে উঠে যাওয়ার পরে পুণে অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ বলছিলেন, ‘‘ধোনি আর মনোজ যা ব্যাটিং করল, অসাধারণ। বল ভাল ব্যাটে আসছিল না। কিন্তু তাতেও শেষ দিকে বড় শট খেলল ওরা।’’ আর তরুণ অফস্পিনারকে নিয়ে অধিনায়কের বক্তব্য, ‘‘পাওয়ার প্লে-তে সুন্দরকে দিয়ে বল করাচ্ছি। ও দারুণ ভাবে ওর কাজটা সামলাচ্ছে।’’ সুন্দর বলে গেলেন, ‘‘এই পুরস্কার আমার বাবা-মার জন্য। ওদের জন্যই আজ এখানে পৌঁছতে পেরেছি।’’
রোহিত শর্মা মনে করেছিলেন, শিশির একটা বড় ফ্যাক্টর হবে। প্রথম ইনিংসে খেলে উঠে মনোজের বক্তব্য ছিল, ‘‘উইকেটে বল ঠিক মতো ব্যাটে আসছে না। স্ট্রোক খেলা অত সোজা নয়।’’ দেখা গেল, মনোজের ভবিষ্যদ্বাণীই শেষ পর্যন্ত ঠিক হল।