উদ্বেগ: নেথান কুল্টার নাইলকে নিয়ে চিন্তা কেকেআরে। ফাইল চিত্র
দু’টো ম্যাচ টানা হারের পরে আমাদের দরকার ছিল একটা বড় জয়। যাতে টিমের মধ্যে কোনও টেনশন না থাকে। ঠিক সেটাই হল। দুর্দান্ত একটা জয় পেলাম রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে।
টুর্নামেন্টের প্রথম দিন থেকে আমি বলে আসছি, বিশ্রাম পাওয়া ক্রিকেটারদের পক্ষে কতটা জরুরি। কারণ এ বারের সূচিটা একেবারে ঠাসা। কয়েক দিনের বিশ্রামের প্রভাব আমাদের পারফরম্যান্সে কী রকম পড়ল, দেখলেন তো।
একটা ভাল পিচে আরসিবি ব্যাটিংকে ১৫৮ রানে আটকে রাখাটা দারুণ কৃতিত্বের। সেই কাজটাই করল আমাদের বোলাররা। আমার মনে হয়, আরসিবি-র ব্যাটসম্যানরা অহেতুক পিচে জুজু খুঁজতে গিয়েছিল। আসলে চিন্নাস্বামীতে আগের ম্যাচগুলোয় ব্যাটসম্যানরা সমস্যায় পড়ায় এই ভাবনাটা ঢুকে পড়েছিল।
ক্রিস লিন এবং সানি নারাইনের পুরো স্বাধীনতা ছিল শট খেলার ব্যাপারে। তবে সত্যি কথা বলতে কী, ওই সময় স্কোরবোর্ডের দিকে তাকিয়ে বিশ্বাস হচ্ছিল না কী দেখছি। ৬ ওভারে ১০৫! এ তো স্রেফ পাগলামি। যখন মনে হচ্ছিল, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সব রকম বিস্ময় দেখা হয়ে গিয়েছে, তখনই এ রকম কাণ্ড ঘটল। আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্যটা অবশ্যই ম্যাচ জেতা ছিল, কিন্তু পাশাপাশি আমরা নেট রান রেটের দিকেও নজর রেখেছিলাম। বলা তো যায় না, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থান ঠিক করার ক্ষেত্রে হয়তো নেট রান রেটই কাজে লাগবে। তাই ভাল একটা শুরু পাওয়ার জন্য আমরা সানিকে ওপেনে রেখে দিই। আর ও সমস্ত প্রত্যাশাকে ছাপিয়ে গেল ১৫ বলে আইপিএলে নিজের প্রথম হাফসেঞ্চুরি করে!
ও রকম একটা ওপেনিং জুটির পরে তিন নম্বরে কলিন গ্র্যান্ডহোমকে নামানোটা খুবই যুক্তিযুক্ত ছিল। ওর কাজ ছিল রান রেটটা ঠিক রাখা। আমাদের এই স্ট্র্যাটেজিটাও খেটে যায়। কলিনকে পাওয়ায় আমাদের খুব লাভ হয়েছে। ষষ্ঠ বোলারের কাজটা ও করে দিচ্ছে। আবার প্রয়োজনে ব্যাট করতে নেমে বিগ হিটও নিচ্ছে।
আরও পড়ুন: নতুন জুটির চাপে উঠছে গম্ভীর প্রশ্ন
ম্যাচের মাঝে যতটা পারছি বিশ্রাম নেওয়ার চেষ্টা করছি। ঘুমই কিন্তু এক জনের এনার্জি বাড়াতে পারে। আশা করছি, নেথান কুল্টার নাইলের ক্ষেত্রেও সেটা হবে। ইডেনে ওই বলটা হেলমেটে লাগার পর থেকে কুল্টার নাইল একটু সমস্যায় আছে। আশা করব, ওর ঝিমঝিম ভাবটা এ বার কেটে যাবে।
আমাদের সামনে এখন একটাই লক্ষ্য। প্রথম দুই টিমের মধ্যে থাকা। গোটা দু’য়েক ম্যাচ বাকি থাকতে প্লে-অফে উঠে যাওয়াটা একটা ভাল ব্যাপার। তবে এতে ঢিলেমি আসার বদলে ক্রিকেটাররা আরও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়ে উঠছে।
আজ, মঙ্গলবার আমাদের প্রতিপক্ষ কিংগস ইলেভেন পঞ্জাব। গুজরাত লায়ন্সের বিরুদ্ধে হেরে ওরা নিশ্চয়ই আরও মরিয়া হয়ে থাকবে। ওদের মাঠে ওদের হারানোটা সব সময় কঠিন কাজ। তার পর শনিবার ইডেনে মুম্বই ম্যাচ। দারুণ ম্যাচ হবে ওটা। হয়তো বা কোয়ালিফায়ার্সের ড্রেস রিহ্যার্সালও।