ছবি সংগৃহীত।
দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের বিরুদ্ধে ম্যাচটা একেবারে ক্লাসিক দমবন্ধ করা একটা খেলা ছিল। একটা ম্যাচ বড় ব্যবধানে বা সহজে জেতার চেয়ে এই ধরনের ম্যাচ জেতার তৃপ্তিটাই আলাদা। এ রকম একটা ম্যাচ জেতা মানে আপনার টিমের নার্ভ এবং ক্রিকেটীয় দক্ষতা কোন জায়গায় আছে, তার একটা পরীক্ষা হয়ে যাওয়া। এই রকম ম্যাচ জিতলে টিমের আত্মবিশ্বাসও অনেক বেড়ে যায়।
আমাদের টিমের খবর হল, ক্রিস লিন-কে সুস্থ করার সব রকম চেষ্টা হচ্ছে। টুর্নামেন্টের শেষ দিকে এসেও যদি আমরা ওকে দলে পাই, তা হলেও কিন্তু লিন বিশাল প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে আমরা যদি প্লে অফে পৌঁছে যাই।
লিন না থাকায় আমরা ওপেনিং জুটি নিয়ে কিছু পরীক্ষা চালিয়েছি। গৌতম গম্ভীরের সঙ্গী হিসেবে দু’এক জনকে তুলে আনা হয়েছে। রবিন উথাপ্পা যতই ওপেনার হিসেবে সফল হোক না কেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি উথাপ্পার অভিজ্ঞতা আমরা তিন নম্বরে কাজে লাগাব। রবিনও এই সিদ্ধান্তে খুশি।
সানি নারাইনকে শুরুতে নেমে রান পেতে দেখে বেশ ভাল লাগল। তাও আবার বেশ দ্রুতই রান তুলেছে ও। নেটেও আমরা দেখেছিলাম বেশ ভাল টাইমিং করছিল নারাইন। কিন্তু নেটে নেমে ভাল ব্যাট করা এক ব্যাপার আর ম্যাচে ওপেন করতে নেমে রান করা অন্য ব্যাপার। যতই প্ল্যানটা ভাল দেখাক, শুরুতে ওকে নামানোর সিদ্ধান্ত নিতে বেশ সাহস লেগেছিল। নারাইনকে ওপেন করানোর সিদ্ধান্তটা পুরো কোচিং টিম মিলে নিয়েছিল!
কলকাতা নাইট রাইডার্সের স্কোয়াডটা কিন্তু খুব শক্তিশালী। তাই আমি চাই, ঘুরিয়ে ফিরিয়ে যত জনকে পারা যায় সুযোগ দিতে। তুমি যদি কেকেআরের স্কোয়াডে ঢুকতে পার, তা হলে তুমি প্রথম একাদশেও খেলার যোগ্য— এই হল আমাদের মনোভাব। আমাদের কোচিং টিম এবং অধিনায়ক মিলে প্রতি ম্যাচের আগে বিপক্ষের শক্তি-দুর্বলতা খুটিয়ে দেখে। পরিবেশ, পরিস্থিতি খুটিয়ে দেখে। তার পর প্রথম একাদশ ঠিক করা হয়। আমার মনে হয়, আমরা এখন পর্যন্ত ভালই কাজ করেছি।
একটা জিনিস পরিষ্কার বুঝতে হবে। কোনও টিম কিন্তু দু’তিন জন ক্রিকেটারের ওপর নির্ভর করে আইপিএল জিততে পারে না। দু’- একটা ম্যাচ ঠিক আছে, কিন্তু ট্রফি জিততে গেলে অনেক প্লেয়ারকে ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্স করতে হবে।
আমাদের এখন দু’টো দিন পুরোপুরি ছুটি। শুক্রবার ম্যাচ। বৃহস্পতিবার তাই প্রস্তুতি শুরু হবে। প্লেয়াররাও একটা সুযোগ পাবে ক্রিকেট থেকে ‘সুইচ অফ’ করার। কয়েক ঘণ্টার জন্য অন্তত মনটা সরিয়ে নেওয়ার। আমিও হয়তো কয়েক ঘণ্টা গল্ফ কোর্সে সময় দিতে পারি। তবে প্লেয়ার হিসেবে যত সহজে ক্রিকেট থেকে ‘সুইচ অফ’ করতে পারতাম, কোচ হিসেবে কিন্তু পারছি না।