নায়ক: ৫৪ বলে ৮৪ রান করে শাসন অধিনায়ক স্মিথের। ছবি: বিসিসিআই
দু’সপ্তাহ আগেও তিনি এ দেশের ক্রিকেটভক্তদের কাছে ছিলেন খলনায়ক। সেই স্টিভ স্মিথ আইপিএল গ্রহে ঢুকতেই নায়ক বনে গেলেন। এই পুণেয় টেস্টে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার সেই একই মঞ্চে টি টোয়েন্টি দক্ষতার চরমে পৌঁছে গেলেন পুণে অধিনায়ক। প্রায় একাই পুণের ‘সুপারজায়ান্ট’ হয়ে উঠে দলকে সাত উইকেটে জিতিয়ে দিলেন তিনি। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে বধ করে মহারাষ্ট্র ডার্বি জিতল পুণে।
মুম্বইয়ের ১৮৪ রান তাড়া করতে নেমেছিলেন। শুরুতে অজিঙ্ক রাহানের সঙ্গে ৫৮ ও মাঝে বেন স্টোকসের সঙ্গে ৫০ রানের পার্টনারশিপ করে স্মিথ শেষে এমএস ধোনির সঙ্গে জুটি বাঁধেন। তখন পাঁচ ওভারে ৪৬ রান দরকার পুণের। শেষ দুই ওভারে ২০। শেষ ওভারে ১৩। ‘ফিনিশার’ ধোনি ও সুপার স্মিথ তখন মরিয়া। কায়রন পোলার্ডকে পরপর দুটো ছয় মেরে খেলা শেষ করেন অধিনায়ক। স্মিথের একটা ক্যাচ ফেলার মাশুল মুম্বইকে দিতে হল ম্যাচ হেরে। বারো বলে বারো রান করে ক্রিজে থেকে যান ধোনি।
‘‘এটা ভাল ব্যাট করার আদর্শ জায়গা’’, ম্যাচের পর বলেন স্মিথ, ‘‘এই উইকেটে টাইমিং পাওয়া মোটেই সোজা নয়। তবে উইকেট যেমনই হোক, ফর্ম ফর্মই। জানতাম শেষ ওভারে হয় পোলার্ড নয় কোনও স্পিনারকে আনবে ওরা। তাই ওদেরই টার্গেট করেছিলাম।’’
বল হাতে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠলেন দক্ষিণ আফ্রিকার লেগস্পিনার ইমরান তাহির। মুম্বইয়ের টপ অর্ডারকে ধসিয়ে (৩-২৮) দিলেন তিনি। দিল্লি ডেয়ারডেভিলস গত বছর তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার পর এ বারের নিলামে কোনও দল পাননি তাহির। পুণে সুপারজায়ান্ট তাঁকে নিয়ে আসে চোট পেয়ে ছিটকে যাওয়া মিচেল মার্শের জায়গায়। প্রথম ম্যাচেই তার পুরস্কার পেল তারা।
মুম্বইয়ের ইনিংসের পর তাহির বলেন, ‘‘আমার ওপর আস্থা রাখার দাম যে দিতে পারলাম পুণেকে, এটাই আমার কাছে সবচেয়ে বেশি তৃপ্তির।’’