রঞ্জি ট্রফির প্রথম দিনে দেশের দুই প্রান্তে চাপের মুখে দু’টি সেঞ্চুরি লড়াইয়ে রাখল জম্মু-কাশ্মীর এবং গুজরাতকে।
অন্য দিকে, দিল্লি দলে ফিরে এসেই নিজের ছন্দের প্রমাণ দিলেন ইশান্ত শর্মা। ভারতের সাম্প্রতিক শ্রীলঙ্কা সফরে ফর্মের পাশাপাশি মাঠে বাড়তি শরীরী ভাষা দেখিয়ে ‘বিপদে’ পড়া দিল্লি পেসার তার পরে নিজের আজ নিজের প্রথম প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ম্যাচে ফিরে বিদর্ভের তিন উইকেট তুলে নেন মাত্র ২৬ রান খরচ করে। যার ধাক্কায় দিনের শেষে বিদর্ভ ২২২ রান তুলেছে ছয় ব্যাটসম্যান হারিয়ে।
ধর্মশালায় অধিনায়ক পরভেজ রসুলের অপরাজিত ১০১ রানে ভর দিয়ে হিমাচল প্রদেশের বিরুদ্ধে ২৭৪-৮ তুলল জম্মু-কাশ্মীর। অন্য দিকে, ভিজিয়ানগরমে পার্থিব পটেলের ১৭৬ বলে ১২২ রানের জমাট ইনিংস অন্ধ্রপ্রদেশের বিরুদ্ধে পায়ের তলায় শক্ত জমি দিল গুজরাতকে। পার্থিবের টিম প্রথম দিন শেষ করল ২৫০-৫ তুলে। নিজেদের ঘরের মাঠে একটা সময় মাত্র ৬৯ রানে গুজরাতের প্রথম তিন ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে প্রবল চাপ তৈরি করেছিলেন অন্ধ্রের বোলাররা। কিন্তু পার্থিব নামতে পাল্টায় ছবিটা। বেণুগোপাল রাওকে (৩৯) সঙ্গে নিয়ে ১০৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ গড়েন পার্থিব। তাঁর ১২২ রানে ছিল ১৮টি বাউন্ডারি। অন্ধ্রের হয়ে ৬১ রানে ৩ উইকেট নেন ডিপি বিজয়কুমার।
ধর্মশালায় টস জিতে জম্মু-কাশ্মীরকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল হিমাচল। ঋষি ধবন (৩-৯৮)-দের আঁটোসাঁটো বোলিংয়ের সামনে পরপর তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল জম্মু-কাশ্মীর। এই সময় রসুল এবং আয়ানদেব সিংহ (৪৭) হাল না ধরলে দুশো তোলাও কঠিন হত। অন্য ম্যাচে ওয়াংখেড়েতে মাত্র ৫৭ ওভারে পঞ্জাবের প্রথম ইনিংস ১৫৪ রানে মুড়িয়ে দিলেন মুম্বইয়ের দুই মিডিয়াম পেসার শার্দুল ঠাকুর (৪-৪৭) ও বলবিন্দর সিংহ সাঁধু (৪-৩১)। মনন ভোরা (৩৪) বাদে পঞ্জাবের কোনও ব্যাটসম্যানই দাঁড়াতে পারেননি। জবাবে দিনের শেষে মুম্বই ১০৩-২। মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে প্রথম দিন ২২৫-৫ তুলল তামিলনাড়ু।