ISL 2020

ঘরের মাঠে শেষ ম্যাচেও ভরসা কৃষ্ণ

আসলে দুই দলের এই চোখে-চোখ রেখে লড়ার মানসিকতার কারণ পয়েন্ট টেবল। এফসি গোয়া (১৭ ম্যাচে ৩৬ পয়েন্ট), এটিকে (১৬ ম্যাচে ৩৩ পয়েন্ট) ও বেঙ্গালুরু এফসি (১৬ ম্যাচে ২৯ পয়েন্ট) ইতিমধ্যেই সেমিফাইনালে চলে গিয়েছে।

Advertisement

দেবাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৩:৪৮
Share:

ত্রয়ী: চেন্নাইয়িন ম্যাচের মহড়ায় (বাঁ দিক থেকে) ডেভিড ও কৃষ্ণের সঙ্গে প্রীতম। শনিবার। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক

প্রতিপক্ষকে নিয়ে সমীহের বাতাবরণ রয়েছে। কিন্তু তার মধ্যেও আইএসএলে দুই যুযুধান প্রতিপক্ষ এটিকে ও চেন্নাইয়িন এফসি রবিবার মুখোমুখি হওয়ার আগে একে অপরকে হুঙ্কার দিতেও ছাড়ছে না। দু’দলই মুখিয়ে তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ার জন্য।

Advertisement

আসলে দুই দলের এই চোখে-চোখ রেখে লড়ার মানসিকতার কারণ পয়েন্ট টেবল। এফসি গোয়া (১৭ ম্যাচে ৩৬ পয়েন্ট), এটিকে (১৬ ম্যাচে ৩৩ পয়েন্ট) ও বেঙ্গালুরু এফসি (১৬ ম্যাচে ২৯ পয়েন্ট) ইতিমধ্যেই সেমিফাইনালে চলে গিয়েছে। যার মধ্যে প্রথম দুই দলের লক্ষ্য লিগে এক নম্বর হয়ে আগামী মরসুমে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলা। এটিকে-কে এক নম্বর হয়ে লিগ শেষ করতে গেলে রবিবার চেন্নাইকে হারানোর পাশাপাশি শেষ ম্যাচে বেঙ্গালুরু এফসিকেও হারাতেই হবে।

অন্য দিকে, সেমিফাইনালে চতুর্থ দল হওয়ার জন্য হাড্ডাহাড্ডি লড়াই মুম্বই (১৭ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট), চেন্নাইয়িন (১৫ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট) ও ওড়িশার (১৭ ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট) মধ্যে। তবে চেন্নাইয়িনের সুবিধা, তাদের ম্যাচ বাকি তিনটি। যার মধ্যে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে তাদের জিততেই হবে। আর এটিকে ও নর্থইস্টের মধ্যে একটি ম্যাচ জিতলেই সেমিফাইনালে চলে যাবে অভিষেক বচ্চনের দল।

Advertisement

এই পরিস্থিতিতে হাবাসের হুঙ্কার, ‘‘রবিবার আমাদের জিততে হবেই।’’ আর চেন্নাইয়ের ব্রিটিশ কোচ আওয়েন কোয়িলও পাল্টা বলে দেন, ‘‘সেমিফাইনালে খেলার জন্য আমরা কলকাতায় জিততে এসেছি। রবিবার লড়াইটা দুই দলের তারকা ফরোয়ার্ডদের। এটিকে যেমন শেষ পাঁচ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট পেয়েছে, তেমন আমরাও শেষ পাঁচ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট পেয়েছি। রবিবার ভাল লড়াই হবে।’’

আইএসএলের ইতিহাসে দু’বার করে চ্যাম্পিয়ন এটিকে ও চেন্নাইয়িন। এ পর্যন্ত দু’দলই ১৩ বার মুখোমুখি হয়েছে একে অপরের। যে মহারণে এটিকে এগিয়ে ৬-৩ ফলে। বাকি চার বার খেলা শেষ হয়েছে অমীমাংসিত ভাবে। রবিবার যুবভারতীতে ফের মুখোমুখি হচ্ছে এই দু’দল। তার আগে জয়ের জন্য ফুটছেন এটিকে ও চেন্নাইয়িনের এদু গার্সিয়া, অনিরুদ্ধ থাপারা।

প্রতিযোগিতায় এ পর্যন্ত ১৩ গোল করা এটিকের ‘গোলমেশিন’ রয় কৃষ্ণের কথা উঠতেই চেন্নাইয়িন মিডফিল্ডার অনিরুদ্ধ বলে দেন, ‘‘ও ভাল ফুটবলার। সোনার বুটের দাবিদার। কিন্তু ওকে নিয়ে ভেবে চিন্তা বাড়ালে তো চলবে না। আমাদের রাফায়েল ক্রিভেয়ারো ভাল খেলছে। ১২ গোল করা নেরিয়াস ভাল্সকিসও ছন্দে রয়েছে। তাই নিজেদের নিখুঁত করার দিকে মনোনিবেশ করছি। পরিকল্পনা ঠিক মতো প্রয়োগ করতে পারলে তিন পয়েন্ট পাব আমরাই।’’

যা শুনে আবার এটিকে ফরোয়ার্ড এদু গার্সিয়া বলে দেন, ‘‘আমাদের ফরোয়ার্ডরা সবাই গোলের মধ্যে রয়েছে। আক্রমণে ঝাঁঝ আমাদের বেশি। মনে হচ্ছে নব্বই মিনিট পরে হাসি মুখে মাঠ ছাড়বে এটিকেই।’’

চেন্নাইয়িন আগের ম্যাচে বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ড্র করেছিল। তাদের ভাল্সকিস, ক্রিভেয়ারো ছাড়াও লালিয়ানজুয়ালা ছাঙতে ও আন্দ্রে শেম্বরি দুরন্ত ফর্মে রয়েছে। এই ম্যাচে তারা পাবে কার্ড সমস্যায় বাইরে থাকা অনিরুদ্ধ থাপা ও জার্মানপ্রীত সিংহকেও। চেন্নাইয়িন কোচ তাই বলে দেন, ‘‘ঘরের মাঠ চেন্নাইয়ে আমরা এটিকের কাছে হেরেছিলাম। এ বার পুরো শক্তি নিয়ে নিজেদের সেরা ফুটবলটা খেলব।’’

অন্য দিকে, হাবাসের চিন্তা প্রথম দল গড়া। চোট সারিয়ে দলে ফিরেছেন ডিফেন্ডার আনাস এডাথোডিকা ও মিডফিল্ডার প্রণয় হালদার। আক্রমণ ভাগে শেষ দুই ম্যাচে রয় কৃষ্ণের সঙ্গে এদু গার্সিয়াকে প্রথম দলে রেখে শেষ ১৫ মিনিট ডেভিড উইলিয়ামসকে মাঠে এনে বিপক্ষকে চাপে ফেলেছেন হাবাস। চোট সারিয়ে দলে ফেরা এদুও রয়েছেন দুরন্ত ছন্দে। তাই রয় কৃষ্ণর সঙ্গে এদু না উইলিয়ামস কে শুরু করবেন তা বড় প্রশ্ন। হাবাস অবশ্য এ সবের তোয়াক্কা না করেই বলছেন, ‘‘ভালই তো। এই সমস্যা উপভোগ করতে মন্দ লাগে না। বরং এটা প্রকৃত সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে তখন, যখন হাতে প্রকৃত বিকল্প থাকবে না। আক্রমণ জোরদার করেই ঘরের মাঠ যুবভারতীতে লিগের শেষ ম্যাচটা জিততে চাই আমরা।’’

রবিবার আইএসএলে: এটিকে বনাম চেন্নাইয়িন (যুবভারতী, ৭.৩০), সরাসরি স্টার স্পোর্টস টু চ্যানেলে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন