সভার পর সভা হচ্ছে। মমতা থেকে বিজেপি, সবাই মাঠে নেমেছে। অথচ আইএসএল এবং আই লিগ নিয়ে জট কিছুতেই খুলছে না। ভারতীয় ফুটবলের এখন এক অদ্ভুত অবস্থা।
দুই নতুন দল নিয়ে দশ ফ্র্যাঞ্চাইজি টিম ঠিক হয়ে গেলেও আইএমজিআর যেমন ভারতীয় ফুটবলারদের নিলাম ডাকতে পারছে না। তেমনই সিদ্ধান্ত হয়ে গেলেও আই লিগের জন্য নতুন দল চেয়ে কাগজে বিজ্ঞাপন দিতে পারছে না ফেডারেশন। বেঙ্গালুরু এবং শিবাজিয়ান্সের জায়গায় নতুন টিম নিতে হবে তাদের। আই লিগ শুরু হওয়ার কথা ১৮ নভেম্বর। এক কর্তা বৃহস্পতিবার দিল্লি থেকে ফোনে বললেন, ‘‘আই লিগ খেললে এ এফ সি-র কোন পর্বে খেলা যাবে সেটা না ঠিক হলে বিজ্ঞাপন দেব কী করে? সবাই তো টাকা ঢালার আগে জানতে চাইবে চ্যাম্পিয়ন হলে কী পাব? সেটাই তো বুঝতে পারছি না। সব জট পাকিয়ে গেছে।’’
সমস্যার সমাধান চেয়ে চিঠির পর চিঠি যাচ্ছে বাংলার দুই ক্লাবের পক্ষ থেকে, কিন্তু স্পনসরদের চাপে প্রফুল্ল পটেল-কুশল দাশদের অবস্থা এতটাই কাহিল যে, তাঁরা কোনও উত্তর দেওয়ার জায়গায় নেই। ফলে যত দিন যাচ্ছে ততই ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান কর্তাদের হতাশা প্রকট হচ্ছে। এখন যা পরিস্থিতি তাতে ফেডারেশনের দেওয়া শর্ত মেনেই শুধু আই লিগ খেলে এ বার সন্তুষ্ট থাকতে হবে দুই প্রধানকে। তাদের কোনও দাবি মানা হচ্ছে না।
বাংলার ফুটবল সংস্থার দুই পদাধিকারী এবং ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান কর্তারা গত শনিবার দিল্লির মহাবৈঠকের পর দাবি করেছিলেন, সমাধান সূত্র বেরিয়ে গিয়েছে। যাতে ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি না দিয়েই কার্যত আইএসএল খেলার মজা উপভোগ করবে দুই প্রধান। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ নামে একটি টুনার্মেন্ট চালু হচ্ছে সে জন্য। সেই সম্ভাবনায় জল ঢেলে দিয়েছে ফেডারেশনের স্পনসর আইএমজি-আর। তারা জানিয়ে দিয়েছে, নতুন টুর্নামেন্ট করতে হলে ৫৪ টি ম্যাচের জন্য ২০ কোটি টাকা খরচ করা সম্ভব নয়।
ফলে নতুন সমস্যা সামাধানে (এএফসির টুনার্মেন্টে কারা খেলবে) ফেডারেশন কর্তারা এএফসি-র সঙ্গে কথা বলছেন। পাশাপাশি সামনের সপ্তাহে ফের আই লিগের ক্লাবগুলির সঙ্গে আলোচনায় বসে নতুন সূত্রের কথা ভাবছেন ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট প্রফুল্ল পটেল।
ফেডারশনের ‘দুয়োরানি’ আই লিগ খেলার জন্য ইস্টবেঙ্গল অবশ্য প্রস্তুত। চুক্তিতে থাকা অর্ণব মণ্ডল, মহম্মদ রফিকদের নিয়ে মোট সতেরো জনকে সই করিয়ে ফেলেছে লাল-হলুদ। মোহনবাগান অবশ্য এখনও কিছুই করেনি। তাদের জনা পাঁচেক ফুটবলারের সঙ্গে চুক্তি রয়েছে শুধু।