ছাত্রদের ফুটবলে যুবভারতীর দফারফা

মাঠ খারাপ হয়ে যাবে বলে সূচিতে রেখেও দু’টি ম্যাচ তুলে নিতে বাধ্য হয়েছিল আইএফএ। কলকাতা ডার্বি ছাড়া কোনও ম্যাচ হয়নি যুবভারতীতে। মাঠ খারাপ হয়ে যাবে বলে, আটলেটিকো দে কলকাতাকে অনুশীলন করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। বাধ্য হয়ে পোস্তিগা-রহিম নবিদের প্র্যাক্টিসের জন্য বিধাননগর স্পোর্টস কমপ্লেক্সের মাঠ ভাড়া করেছেন কলকাতার কর্তারা। এরিয়ানের সঙ্গে রবিবারের অনুশীলন ম্যাচ কোথায় করবেন তা নিয়েও ধন্দে তাঁরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০৩:১১
Share:

মাঠ নিয়ে ছেলেখেলা।—নিজস্ব চিত্র

মাঠ খারাপ হয়ে যাবে বলে সূচিতে রেখেও দু’টি ম্যাচ তুলে নিতে বাধ্য হয়েছিল আইএফএ। কলকাতা ডার্বি ছাড়া কোনও ম্যাচ হয়নি যুবভারতীতে।
মাঠ খারাপ হয়ে যাবে বলে, আটলেটিকো দে কলকাতাকে অনুশীলন করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। বাধ্য হয়ে পোস্তিগা-রহিম নবিদের প্র্যাক্টিসের জন্য বিধাননগর স্পোর্টস কমপ্লেক্সের মাঠ ভাড়া করেছেন কলকাতার কর্তারা। এরিয়ানের সঙ্গে রবিবারের অনুশীলন ম্যাচ কোথায় করবেন তা নিয়েও ধন্দে তাঁরা।
মাঠ খারাপ হয়ে যাবে বলে ডার্বির আগে অনুশীলন করতে দেওয়া হয়নি ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানকেও। যা এর আগে কখনও হয়নি।
আর সেই যুবভারতীর ঘাসের দফারফা হয়ে যাচ্ছে একটি আইন কলেজের আন্তঃক্লাস ফুটবল টুনার্মেন্টের জন্য!
আটলেটিকো কলকাতা, ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানকে স্টেডিয়ামে এক দিনের জন্য ঢুকতে না দিলেও, কোনও এক অ়জ্ঞাত চাপে বাইপাসের ধারের একটি আইন কলেজের টুর্নামেন্টের জন্য ছয় দিনে স্টেডিয়াম ভাড়া দিয়ে দিয়েছেন যুবভারতী কর্তৃপক্ষ। সেখানে হবে বারোটি ম্যাচ। প্রবল বৃষ্টির মধ্যে কলেজের ছাত্রদের স্পাইকওয়ালা বুটে এলোপাথাড়ি খেলার কল্যাণে মাঠের অন্তত সাত-আট জায়গায় উঠে গিয়েছে নতুন ঘাস। বেরিয়ে পড়েছে বালি। সোমবার বিকেলে সেখানে গিয়ে দেখা গেল মাঠ-কর্মীরা ক্ষত মেরামতের চেষ্টা করছেন। কিন্তু তাতে লাভ হচ্ছে না।
কেন এমন হল? স্টেডিয়ামের সিইও জ্যোতিষ্মান চট্টোপাধ্যায় বললেন, ‘‘যারা মাঠ করেছে তাদের অনুমতি নিয়েই ভাড়া দিয়েছি ছয় দিনের জন্য। মাঠ নষ্ট হলে খেলা বন্ধ করে দেব।’’ কিন্তু মাঠের হাল তো দু’দিনেই খারাপ? ‘‘কাল একবার গিয়ে দেখি কী অবস্থা।’’ বলে দায় এড়ানোর চেষ্টা করেছেন তিনি।
জ্যোতিষ্মানের বক্তব্যকে অবশ্য পুরো সম্মতি দিতে নারাজ মাঠ তৈরি করে দেওয়া কোম্পানির প্রধান অমিত মলহোত্র। ‘‘আমি তো আইএসএলের জন্য মাঠ তৈরি করে দিয়ে এসেছি। ক্ষতি হতে পারে, তাই মাঠে কাউকে এখন নামতে দিতে বারণ করেছিলাম। ওরা বলল এঁদের দিতেই হবে। খোঁজ নিয়ে দেখছি,’’ দিল্লি থেকে ফোনে বললেন মাঠ বিশেষজ্ঞ অমিত।

Advertisement

আর কলকাতার কর্তারা কী বলছেন? এটিকে সচিব সুব্রত তালুকদারের অবস্থা আইএফএ কর্তাদের মতো। ম্যাচ করতে হলে নির্ভর করতে হবে স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষের উপরই। তাই সরকারি আমলাদের চটাতে নারাজ। চিন্তিত মুখে সুব্রতবাবু বললেন, ‘‘ভাল খেলার জন্য ভাল মাঠের দরকার। সেটা না হলে কী হবে?’’ সুব্রতবাবুদের কাছে অবশ্য ইতিমধ্যেই আইএসএল কর্তৃপক্ষ মাঠ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন