ISL 2020-21

লিগ টেবিল নিয়ে চিন্তিত নয় এসসি ইস্টবেঙ্গল

মাত্তি স্টেনম্যানের সেই গোলকে পুঁজি করেই মরিয়া লড়াই করল লাল-হলুদ বাহিনী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০২১ ২৩:২৭
Share:

ছবি আইএসএল।

অধিনায়ক ড্যানি ফক্সকে ফিরিয়ে সকালে মাঠের বাইরের যুদ্ধটা জেতা হয়ে গিয়েছিল। সেই লড়াকু ও নাছোড়বান্দা মনোভাব ৯০ মিনিটের যুদ্ধেও দেখা গেল। শনিবার ফতোরদা স্টেডিয়ামে বেঙ্গালুরু এফসিকে ১-০ গোলে হারিয়ে দিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। আর গ্যালারিতে বসে এই জয় তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করলেন নির্বাসিত হেড কোচ রবি ফাওলার। সৌজন্যে টিম স্পিরিট।

Advertisement

ফুটবলে ১ গোলের ব্যবধান মোটেও সুরক্ষিত নয়। তবুও মাত্তি স্টেনম্যানের সেই গোলকে পুঁজি করেই মরিয়া লড়াই করল লাল-হলুদ বাহিনী। ফলে হার মানল সুনীল ছেত্রীর বেঙ্গালুরু এফসি। হারের হ্যাটট্রিক করে চাকরি খুইয়েছিলেন ২০১৮ সালের আইএসএল জয়ী কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাট। তবে নৌশাদ মুসাও দলকে জয়ের সরণিতে ফেরাতে পারলেন না। লাগাতার চারটে ম্যাচ হারল এই হাই প্রোফাইল দলটি। একইসঙ্গে এটিকে মোহনবাগানের পর এবার ইস্টবেঙ্গলের কাছেও হার মানল ভারত অধিনায়কের ক্লাব।

ম্যাচের শেষে টেকনিক্যাল ডিরেক্টর টনি গ্রান্ট বলেন, ‘‘আমরা আইএসএলে নতুন দল। তাই আমরা লিগ টেবিলের অবস্থান নিয়ে মোটেও চিন্তিত নই। গত ৬ দিনে ৩টি ম্যাচ খেলেছি। একটাও হারিনি। বরং প্রতিটা ম্যাচেই ছেলেরা লড়াকু মানসিকতা দেখাল। ভারতীয় ফুটবলাররা অসাধারণ। তাই এই জয় টিম স্পিরিটের জয়। এটাই ইস্টবেঙ্গলের বৈশিষ্ট্য। এটাই রবি ফাওলারের বৈশিষ্ট্য। কারণ, আমরা সবাই লড়াকু।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: সুনীলদের হারিয়ে আইএসএলে দ্বিতীয় জয় এসসি ইস্টবেঙ্গলের

তবে একজনের আগমন দলের বডিল্যাঙ্গুয়েজ বদলে দিয়েছে। তিনি এক ও অদ্বিতীয় ব্রাইট এনোবাখারে। স্কোরবোর্ডে গোলদাতা স্টেনম্যানের নাম থাকলেও সুনীল ছেত্রী, ফ্রান গঞ্জালেজদের বিরুদ্ধে ম্যাচে জয়ের কারিগর ২৩ বছরের এই নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার। ২০ মিনিটেই গোল পেয়ে যায় লাল–হলুদ। আক্রমণের শুরুটা হয়েছিল ব্রাইটের পা থেকেই। এরপর অঙ্কিত মুখোপাধ্যায়ের সেন্টার থেকে নারায়ন দাসের পায়ে বল যায়। তাঁর পাস থেকেই ছোট্ট টোকায় গোল করেন জার্মান স্টেনম্যান।

ব্রাইট সম্পর্কে প্রশ্ন করতেই আপ্লুত টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের প্রতিক্রিয়া, ‘‘ব্রাইট অনবদ্য। ওর ভাবনাচিন্তা এবং ওয়ার্ক এথিক্স শিক্ষণীয়। পরিস্থিতি যাই হোক, ও সবসময় মাথা ঠান্ডা রাখে। ও দলে যোগ দেওয়ার পর থেকে বাকিদের আত্মবিশ্বাস অনেকটা বেড়েছে। সেটা অস্বীকার করার উপায় নেই।’’

আরও পড়ুন: আমরাই চ্যাম্পিয়ন দল, ‘বড়’ ম্যাচের আগে হুঙ্কার প্রীতম কোটালের

যদিও এদিন ফের দেবজিত মজুমদার একাধিকবার দলের পতন রোধ করেন। না হলে যেকোনও মুহূর্তে গোল হজম করতে পারত লাল-হলুদ। তাই তো ম্যাচের সেরা হলেন এই বঙ্গ তনয়। আপাতত কয়েকদিন বিশ্রাম। তারপর ১৫ জানুয়ারি কিবু ভিকুনার কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে এসসি ইস্টবেঙ্গল। বেঞ্চে ফিরবেন রবি ফাওলার। টনি শেষে যোগ করলেন, ‘‘এই বিশ্রাম প্রয়োজন ছিল। তবে খেই হারালে চলবে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন