মারকাটারি এবি।
৫৯ বলে ১৩৩ নট আউট। স্ট্রাইক রেট ২২৫.৪২। অন্য ব্যাটসম্যান হলে বলতাম, অবিশ্বাস্য। কিন্তু নামটা এবি ডে’ভিলিয়ার্স তো, তাই বিশ্বাস করতে একটুও অসুবিধে হচ্ছে না।
টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে এবিই সেরা। ও যে ভাবে ইম্প্রোভাইজ করতে পারে বা যে ভাবে একাই ম্যাচ একশো আশি ডিগ্রি ঘুরিয়ে দিতে পারে, সে রকম ক্ষমতা আর ক’জনের আছে? ও এমন ব্যাটসম্যান, যে সব রকম বলে বাউন্ডারি মারতে পারে। একটা দুর্দান্ত বলকেও খারাপ বল করে দিতে পারে। আর সবচেয়ে যেটা চোখে পড়ার মতো সেটা হল, ক্রিজে ওর মুভমেন্ট। এবি ক্রিজে এত বেশি নড়াচড়া করে যে, ওর বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কোনও স্ট্র্যাটেজি তৈরি করা সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। মাথাটা সোজা রেখে ও বাকিটা যত খুশি মুভ করে। অ্যাথলিট বলতে যা বোঝায়, এবি হল তাই।
এবি ডে’ভিলিয়ার্স খুব স্পেশ্যাল একজন ক্রিকেটার। যার সঙ্গে সত্যি সত্যিই কারও তুলনা করা যায় না। ওর তুলনা ও নিজেই। এই যে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর প্রধান তিন ব্যাটসম্যান ফর্মে রয়েছে, ওদের জন্য এটা দারুণ খবর। মিচেল স্টার্ক এসে ওদের বোলিংটা একদম ঘুরিয়ে দিয়েছে। তরুণ হর্ষল পটেলও বেশ ভাল বল করছে। সব মিলিয়ে ওদের টিমটা একদম ঠিক সময় ‘পিক’ করে যাচ্ছে। ওদের এখনও তিনটে ম্যাচ বাকি আছে। তবে আরসিবি প্লে-অফে যাবে, এখনই অনেকটা নিশ্চিত।
ও দিকে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স আজ হেরে যাওয়ায় রোহিত শর্মাদের প্লে-অফে ওঠার স্বপ্ন কিছুটা হলেও ধাক্কা খেল। যারা বিরাট কোহলির ক্যাচ ফেলে দেয়, তারা আর কী ভাবে জিতবে? শেষ পর্যন্ত হারের ব্যবধান খুব বেশি না হলেও বিরাটের ক্যাচ ফস্কানোটা ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। তখন বিরাট আউট হয়ে গেলে হয়তো এবি অতটা স্বচ্ছন্দ ভাবে খেলতে পারত না।
এখন যা অবস্থা, তাতে ১৪ মে কেকেআরের বিরুদ্ধে ম্যাচটা মুম্বইয়ের কাছে মরণবাঁচন হয়ে গিয়েছে। গৌতম গম্ভীরদেরও প্লে-অফ নিশ্চিত করতে হলে ওই ম্যাচটা জিততে হবে। আমি বলব, ওই ম্যাচে কেকেআরই অনেক এগিয়ে। জানি ম্যাচটা মুম্বইয়ের ঘরের মাঠ ওয়াংখেড়েতে। যে মাঠটাকে দুর্গ হিসেবে দেখেন মুম্বই সমর্থকেরা।
কিন্তু ঘটনা হল, কেকেআর যথেষ্ট কঠিন প্রতিপক্ষ। ওদের স্পিনার বলুন বা পেস আক্রমণ— দুটোই সমান বিষাক্ত। আর ব্যাটিং এত গভীর যে, ন’নম্বরে নেমেও বোলাররা ম্যাচ বের করে নিচ্ছে। কেকেআর আসলে দারুণ অলরাউন্ড টিম। এই মুহূর্তে ওরাই আইপিএলের সেরা টিম। তাই যে মাঠেই খেলা হোক না কেন, ওদের হারানো খুব কঠিন।