বিচারপতি টিএস ঠাকুর এবং ইব্রাহিম খলিফুল্লার ঘোষণার জেরে বিবৃতি দিলেন প্রয়াত জগমোহন ডালমিয়ার স্ত্রী চন্দ্রলেখা ডালমিয়া।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের পদাধিকারীদের বয়স সত্তরের নীচে হতে হবে, এই প্রস্তাবের সমর্থনে গত শুক্রবার দুই বিচারপতির বেঞ্চ বলে দেয়, বোর্ডের অবস্থা এমন যে তারা ‘‘বিকৃতমস্তিষ্ক’’ প্রেসিডেন্ট নিয়োগ করছে। যার জবাবে এ দিন জগমোহন ডালমিয়ার স্ত্রী এক বিবৃতিতে বলেন, ‘‘খবরের কাগজে প্রকাশিত অযাচিত এই পর্যবেক্ষণে আমি অত্যন্ত আহত এবং দুঃখিত। যে ব্যক্তি তাঁর গোটা জীবন ক্রিকেটের বৃদ্ধি ও উন্নতির প্রতি দায়বদ্ধ ছিলেন, তাঁর মৃত্যুর পর তাঁকে নিয়ে এ ধরনের অপমানজনক এবং হানিকারক পর্যবেক্ষণ করার অধিকার ঈশ্বর কাউকে দেননি।’’
৬৯ বছরের শ্রীমতি চন্দ্রলেখা বিবৃতিতে আরও বলেছেন, ‘‘জগমোহন ডালমিয়ার কারও কাছ থেকে কোনও সার্টিফিকেটের দরকার নেই। উনি যখন বোর্ড প্রেসিডেন্ট হন, তখন বোর্ডের কোষে মাত্র ৮৪ লক্ষ টাকা ছিল। তার পর থেকে উনি যা করেছেন বা ক্রিকেটবিশ্বে ওঁর অবদান যা থেকেছে, তা সবার ধরাছোঁয়ার বাইরে।’’
এ দিন সন্ধ্যায় শ্রীমতি চন্দ্রলেখার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ডালমিয়া পুত্র অভিষেক জানান, তাঁর মা গোটা ঘটনায় অত্যন্ত ভেঙে পড়েছেন। ‘‘সারা দিন প্রচুর ফোন আসছে। এই সময় মায়ের অনুভূতির প্রতি সম্মান দেখানো উচিত। বিবৃতিতে যা বলা হয়েছে, তার বেশি কিছু বলতে চান না উনি,’’ বললেন অভিষেক ডালমিয়া।
১৯৯৭ থেকে ২০০০ সাল এবং তার পরে ২০০১ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত ভারতীয় বোর্ডের প্রেসিডেন্ট ছিলেন জগমোহন ডালমিয়া। আইপিএলের গড়াপেটা কেলেঙ্কারির পর গত মার্চে নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসনের জায়গায় তাঁকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ফেরানো হয়। সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ গত শুক্রবার মন্তব্য করে, ‘‘বোর্ডের প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের কারও সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষমতা ছিল না। যাঁরা ওকে নিয়োগ করেন, তাঁরা কি দেখতে পাননি কাকে নিয়োগ করছেন?’’