Jannik Sinner and Novak Djokovic

৭ বছর আগেই অবসরের ভাবনা ছিল সিনারের, ইউএস ওপেন শেষে জোকোভিচকেও অবসরের পরামর্শ

রবিবার থেকে শুরু ইউএস ওপেন। তার আগে অবসর নিয়ে মুখ খুলেছেন ইয়ানিক সিনার। এই গ্র্যান্ড স্ল্যাম শেষে নোভাক জোকোভিচকেও অবসরের পরামর্শ দিয়েছেন প্রাক্তন খেলোয়াড়।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০২৫ ২১:০৮
Share:

(বাঁ দিকে) ইয়ানিক সিনার ও নোভাক জোকোভিচ (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

ইউএস ওপেনের পর কি পেশাদার টেনিস থেকে অবসর নেবেন নোভাক জোকোভিচ। তিনি নিজে এখনও অবসরের কথা স্পষ্ট করেননি। তবে গত কয়েকটা গ্র্যান্ড স্ল্যামে তাঁর পারফরম্যান্সের পর অবসরের জল্পনা শুরু হয়েছে। প্রাক্তন ব্রিটিশ টেনিস খেলোয়াড় অ্যান্ড্রু ক্যাসলের মতে, ইউএস ওপেনের পর জোকোভিচের অবসর নেওয়া উচিত। তার মাঝেই হঠাৎ করে নিজের অবসর নিয়ে মুখ খুলেছেন বিশ্বের এক নম্বর পুরুষ টেনিস তারকা ইয়ানিক সিনারও।

Advertisement

ক্যাসলের মতে, সিনার ও কার্লোস আলকারাজ়ের মাঝে জোকোভিচের আর গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, “দেখে মনে হচ্ছে না সিনার ও আলকারাজ়ের জমানায় জোকোভিচ আর গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিততে পারবে। ওর গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের সম্ভাবনা শেষ। আমার মনে হয়, এটাই ওর কেরিয়ারের শেষ অধ্যায়।”

২৪ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছেন জোকোভিচ। তবে ২০২৩ সালের পর থেকে আর গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিততে পারেননি তিনি। এই পরিস্থিতিতে মাত্র একটা উপায়েই জোকোভিচ চ্যাম্পিয়ন হতে পারেন বলে মনে করেন ক্যাসল। তিনি বলেন, “একটা কথা স্পষ্ট করে দিতে চাই। যদি সিনার চোট পায় ও আলকারাজ়ের খারাপ দিন থাকে, তখনই জিততে পারে জোকোভিচ। না হলে কোনও সুযোগ নেই।”

Advertisement

২৫তম গ্র্যান্ড স্ল্যামের লক্ষ্যে লড়ছেন জোকোভিচ। ক্যাসলের মতে, আর কোনও গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিততে না পারলেও জোকোভিচের কৃতিত্ব তাতে কমে না। তিনি বলেন, “আমি জানি জোকোভিচ ২৫তম গ্র্যান্ড স্ল্যামের লক্ষ্যে লড়ছে। সেটা হলে তো ভালই হবে। আমি ব্যক্তিগত ভাবে চাই জোকোভিচ জিতুক। কিন্তু মনে হয় সেটা হবে না। ২৫টা গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিততে না পারলেও ওর কৃতিত্ব কমবে না।”

বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকা সিনার আবার জানিয়েছেন, সাত বছর আগেই অবসরের ভাবনা ছিল তাঁর। সাত বছর আগে ১৮ বছর বয়সে পেশাদার টেনিস শুরু সিনারের। সেই সময় বাবা-মাকে এক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। ইউএস ওপেনের আগে সাংবাদিক বৈঠকে সিনার বলেন, “আমার মনে আছে বাবা-মাকে কী বলেছিলাম। আমাদের আর্থিক অবস্থা ভাল ছিল না। ওই পরিস্থিতিতে টেনিস খেলার স্বপ্ন দেখা সহজ ছিল না। বাবা-মাকে বলেছিলাম, ২৪ বছরের মধ্যে যদি বিশ্বের সেরা ২০০ টেনিস খেলোয়াড়ের মধ্যে ঢুকতে না পারি তা হলে অবসর নিয়ে নেব। কারণ, তার বেশি টেনিসের খরচ চালানো সম্ভব ছিল না।”

১৮ বছর বয়সেই টেনিস খেলে রোজগার শুরু করেছিলেন সিনার। নিজের খরচ নিজেই চালাতেন তিনি। তার পরেও মাঝে মাঝে বিদেশে খেলতে যাওয়ার জন্য পরিবারের কাছে টাকা নিতে হত তাঁকে। তাতে তাঁর জেদ আরও বেড়েছে। সিনারের বয়স এখন ২৪। এই বয়সে ২০০ নয়, বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকা হয়েছেন তিনি। বাবা-মাকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি ছাপিয়ে গিয়েছেন তিনি। ফলে আর অবসরের কথা ভাবতে হয়নি তাঁকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement