ডেথ ওভারে অধিনায়ক কোহালিকে রবিবারও ভরসা দিয়েছিলেন বুমরা। ছবি টুইটারের সৌজন্যে।
বিশাখাপত্তনমে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে পরাজয়ের পর প্রবল সমালোচিত উমেশ যাদবকে আড়াল করলেন জশপ্রীত বুমরা। ডেথ ওভারে সবসময় সাফল্য আসে না, বলেছেন তিনি।
রবিবার শেষ ওভারে ১৪ রান দরকার ছিল অস্ট্রেলিয়ার। উমেশ যাদবের সেই ওভার ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের হতাশায় ডুবিয়ে দেয়। শেষ বলে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় অস্ট্রেলিয়া। স্বভাবতই সোশ্যাল মিডিয়ায় খলনায়কে পরিণত হন বিদর্ভের পেসার।
এই আবহেই উমেশের পাশে দাঁড়িয়ে জশপ্রীত বুমরা বলেন, “ডেথ ওভারে কী করতে চাইছি, সেটা নিয়ে পরিষ্কার ভাবনা থাকতে হয়। এ বার কখনও কখনও তা কাজে আসে, কখনও আসে না। এটা নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। আমরা নিজেদের পক্ষে ম্যাচ শেষ করে আসতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তা হয়নি।” বুমরা নিজে অসাধারণ বল করেছেন। চার ওভারে ১৬ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন তিনি। ১৯তম ওভারে মাত্র দুই রান দিয়ে দুই উইকেট নেন বুমরা। অন্যদিকে, উমেশ চার ওভারে দেন ৩৫ রান। কোনও উইকেট পাননি তিনি।
ভারত-অস্ট্রেলিয়া টি-২০ সিরিজ নিয়ে খেলুন কুইজ
আরও পড়ুন: বিশাখাপত্তনমে শেষ ওভারের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় উমেশ এখন ভিলেন
আরও পড়ুন: মন্থর ইনিংসের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলড ধোনি
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে কত রান ‘পার স্কোর’ হতে চলেছে, তা বুঝতে সমস্যায় পড়েছিল ভারত বলে জানিয়েছেন বুমরা। তিনি বলেছেন, “একবার টার্গেট জেনে যাওয়ার পর ব্যাপারটা অন্যরকম হয়ে য়ায়। অস্ট্রেলিয়া অল্প রান তাড়া করছিল। তাই একবার বাউন্ডারি মারলে ঝুঁকি নেওয়ার প্রয়োজন কমে যাচ্ছিল। আমরা শুরুতে নিরাপদ রান কত হতে পারে, তা বোঝার চেষ্টা করছিলাম। এটাই তফাত হয়ে ওঠে। বাউন্ডারি মারার পর অজিরা তাই খুচরো রান নিতে পারছিল।”
এই ম্যাচে বুমরার ডট বলের সংখ্যা ১৮! যা চোখ কপালে তোলার মতোই। তিনি বলেছেন, “আমরা ম্যাচ প্রায় জিতেই ফেলেছিলাম। কিন্তু এই ধরনের উইকেটে ১৪০-১৫০ রান খুব ভাল স্কোর। উইকেটে বল পড়ে নীচু হচ্ছিল। বড় শট নেওয়া মুশকিল হচ্ছিল। এই ধরনের উইকেটে রান তাড়া করা সবসময়ই কঠিন।” প্রথমে ব্যাট করে সাত উইকেটে ১২৬ তুলেছিল ভারত। জবাবে শেষ বলে সাত উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছয় অস্ট্রেলিয়া।
(আইসিসি বিশ্বকাপ হোক বা আইপিএল, টেস্ট ক্রিকেট, ওয়ান ডে কিংবা টি-টোয়েন্টি। ক্রিকেট খেলার সব আপডেট আমাদের খেলা বিভাগে।)