ভারত ১ (জেজে)
লাওস ০
চেন্নাইয়ান এফসি, মোহনবাগান থেকে জাতীয় দল— জেজে লালপেখলুয়ার সোনার দৌড় চলছেই!
গোলের নেশায় যেন বুঁদ হয়ে রয়েছেন মিজোরামের এই স্ট্রাইকার। যে কোনও ধারার ফুটবলেই টিমের খারাপ সময়ে বারবার ত্রাতা হয়ে উঠছেন জেজে। এ দিন যেমন ভারতের পাশাপাশি স্টিভন কনস্ট্যান্টাইনকেও সাময়িক অক্সিজেন দিলেন তিনি-ই।
বৃহস্পতিবার ২০১৯ এএফসি এশিয়ান কাপে যোগ্যতা নির্ণায়ক পর্বের ম্যাচে জেজের একমাত্র গোলেই মান রক্ষা হল ভারতের। মেন ইন ব্লু জিতলেও তাদের পারফরম্যান্স নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। ভারতের চেয়ে এই মুহূর্তে এগারো ধাপ পিছিয়ে লাওস। নতুন যে ফিফা র্যাঙ্কিং বেরিয়েছে তাতে এক ধাপ নেমে ভারত রয়েছে ১৬৩-তে। সেখানে এ দিন ভারতের কাছে হারলেও দু ধাপ উপরে উঠে এসেছে লাওস। তাদের র্যাঙ্কিং এখন ১৭৪। সেই টিমের বিরুদ্ধে জিততে রীতিমতো মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হল সুনীল-লিংডোদের। সুনীলদের কোচ অবশ্য ম্যাচের পর স্বীকার করে নিয়েছেন, ‘‘এ দিনের পারফরম্যান্সে আমি পুরোপুরি খুশি নই।’’
সাফ কাপ ছাড়া ব্রিটিশ কোচের কোচিংয়ে কার্যত কোনও সাফল্যই নেই ভারতের। সমালোচনার ঝ়ড় বইছে তাঁকে ঘিরে। এখন এশিয়ান কাপের যোগ্যতানির্ণয় পর্বই শেষ ভরসা কনস্ট্যান্টাইনের। তবে সুনীলদের খেলা দেখে এ দিন জাতীয় দলের কোচ যে রীতিমতো হতাশ তা সাংবাদিক সম্মেলনে এসে ভাল মতোই বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, ‘‘লাওস, আমাদের এ দিন দৌড়তেই দেয়নি। এর চেয়ে অনেক ভাল খেলতে পারতাম।’’ এর সঙ্গেই অবশ্য যোগ করেছেন, ‘‘সবে প্রথম পর্বের ম্যাচ জিতেছি। পরের পর্ব এখনও বাকি রয়েছে। তবে এটা ঘটনা ঘরের মাঠে আমরা কিছুটা সুবিধেজনক পরিস্থিতিতে থাকব। এবং ফিরতি লেগের ম্যাচ জিতে তবেই পরের পর্বে যেতে চাই।’’
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে উদান্তার পাস থেকে হেডে গোল করে ভারতকে এগিয়ে দেন জেজে। ভারত এ দিন জেতায় ৭ জুন গুয়াহাটিতে ফিরতি লেগের ম্যাচ ড্র করলেই পরের পর্বে পৌঁছে যাবে।
সুনীলরা এ দিন খারাপ খেললেও একটা রেকর্ড ভাঙলেন তাঁরা। সেটা হল ২০০১ সাল থেকে যোগ্যতা নির্ণায়ক পর্বের কোনও অ্যাওয়ে ম্যাচে জিততে পারেনি ভারত। পনেরো বছর পর সেই অভিশাপ থেকে মুক্তি দিল কনস্ট্যানটাইনের ছেলেরাই। যা বেশ আশ্চর্যের এবং লজ্জারও।