Cricket

ঝুলন আশাবাদী হলেও হতাশ পুনম

ঝুলন গোস্বামী মনে করেন, প্রস্তুতির পর্যাপ্ত সময় পাওয়া গেল। তরুণ লেগস্পিনার পুনম যাদব আবার হতাশ।

Advertisement

ইন্দ্রজিৎ সেনগুপ্ত

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০২০ ০৫:৩৬
Share:

ইতিবাচক: প্রস্তুতির জন্য আরও সময় পাবেন ঝুলনরা। ফাইল চিত্র

মেয়েদের পঞ্চাশ ওভারের বিশ্বকাপ হওয়ার কথা ছিল ২০২১-এর ফেব্রুয়ারি-মার্চে। শুক্রবার যে প্রতিযোগিতা ১২ মাসের জন্য পিছিয়ে দিল আইসিসি। ২০২২ সালে হবে সেই বিশ্বকাপ। যদিও নিউজ়িল্যান্ডেই বিশ্বকাপ হবে কি না, সে বিষয়ে নিশ্চয়তা দেয়নি আইসিসি।

Advertisement

ঝুলন গোস্বামী মনে করেন, প্রস্তুতির পর্যাপ্ত সময় পাওয়া গেল। তরুণ লেগস্পিনার পুনম যাদব আবার হতাশ। শেষ চার মাস বাড়িতে যতটা সম্ভব ট্রেনিং করছেন ঝুলন। বাইরে বেরোচ্ছেন না। পুনম আগরায় নেট করছেন। দু’টি করে বল কিনে রাখছেন। তা দিয়েই চলছে অনুশীলন। বিশ্বকাপ হলেও মানিয়ে নিতে সমস্যা হত না তাঁর।

আনন্দবাজারকে ঝুলন বলছিলেন, ‘‘লকডাউনের মধ্যে বাড়িতে যতটা সম্ভব ট্রেনিং করেছি। মাঠে গিয়ে ট্রেনিং করার ঝুঁকি নিতে পারিনি। নেট প্র্যাক্টিসও করা হচ্ছে না বহু দিন। এই পরিস্থিতির মধ্যে বিশ্বকাপ পিছিয়ে যাওয়ায় অবশ্যই ভাল হয়েছে। প্রায় এক বছর ট্রেনিং করার সুযোগ পাচ্ছি।’’

Advertisement

বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল গত মাসে। যা আগেই পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিশ্বকাপ হওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ছিল। ঝুলনের কথায়, ‘‘একমাত্র নিউজ়িল্যান্ড ভাল প্রস্তুতি নিতে পারছে। ইংল্যান্ডেও স্থানীয় ক্রিকেট শুরু হবে। দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে একটি সিরিজও খেলবে ইংল্যান্ড। তাতে হয়তো ওদের প্রস্তুতি হয়ে যেত।’’ যোগ করছেন, ‘‘কিন্তু এখানে করোনার যা পরিস্থিতি, আদৌ কত সময় লাগবে সব স্বাভাবিক হতে, জানি না। এত দিন বাড়িতে বসে থাকার পরে অন্তত দুই থেকে তিন মাস তো সময় লাগবেই আগের ছন্দে ফিরতে। ভারতীয় দলের শিবিরও হবে আশা করি।’’ ঝুলন আরও বলছেন, ‘‘টি-টোয়েন্টি চ্যালেঞ্জ অবশ্যই প্রস্তুতির ভাল জায়গা ছিল। বিশ্বকাপ পিছিয়ে যাওয়ায় এই প্রতিযোগিতা আকর্ষণ হারাবে না। কারণ, মাঠে ফেরার এটাই একমাত্র সুযোগ। প্রত্যেকে চাইবে নিজেদের সেরাটা দিতে।’’

পুনম যদিও বিশ্বকাপ পিছিয়ে যাওয়ায় হতাশ। বিকেলে প্র্যাক্টিস করে বাড়ি ফিরেছেন সন্ধ্যা সাতটায়। তার পরেই তাঁকে পাওয়া গেল ফোনে। বলছিলেন, ‘‘বিশ্বকাপ পিছিয়ে যাওয়ায় খুবই খারাপ লাগছে। এত দিন পরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার একটা সুযোগ পেয়েছিলাম। বিশ্বকাপের মতো মঞ্চ প্রত্যেক ক্রিকেটারের কাছে বড় ব্যাপার। এক বছর সেই প্রতিযোগিতা পিছিয়ে যাওয়ায় আমি খুবই হতাশ।’’

২০২০-র টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৯ উইকেট পেয়েছেন পুনম। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এক ম্যাচে চার উইকেট নিয়ে চমকে দেন তিনি। সেখান থেকেই ক্রিকেটবিশ্বে পরিচিতি পান। পুনমের কথায়, ‘‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সাফল্য আমার মধ্যে বাড়তি আত্মবিশ্বাস তৈরি করে দিয়েছে। সময় মতো পঞ্চাশ ওভারের বিশ্বকাপ হলে সেই আত্মবিশ্বাস কাজে লাগত। অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেছি বলে নিউজ়িল্যান্ডে সমস্যা হত না। দু’দেশের পরিবেশ, পিচের চরিত্র অনেকটা এক রকম।’’

পুনমের পাখির চোখ এখন মেয়েদের আইপিএল। বললেন, ‘‘মেয়েদের টি-টোয়েন্টি চ্যালেঞ্জই একমাত্র রাস্তা নিজেকে ছন্দে ফেরানোর। লকডাউনের মধ্যে যতটা সম্ভব অনুশীলন করেছি। কোনও দিন একা, কোনও দিন বন্ধুর সঙ্গে। আশা করি সেই প্রস্তুতি এ বার কাজে লাগবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন