ভবিষ্যৎ নিয়ে রীতিমতো চিন্তিত ম্যান ইউয়ের পর্তুগিজ ম্যানেজার।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে শেষ তিন ম্যাচে কোনও জয় নেই ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের। তার উপরে গত শনিবার ওয়েস্ট হ্যামের কাছে হারের পরে বেশ চাপেই রয়েছেন ম্যান ইউ ম্যানেজার জোসে মোরিনহো। দল বিদায় নিয়েছে কারাবাও কাপ থেকেও। ইতিমধ্যেই এপিএলে সাত ম্যাচের তিনটিতেই হেরে বসে রয়েছে মোরিনহোর দল।
ফলে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে নিজের কোচিং ভবিষ্যৎ নিয়ে রীতিমতো চিন্তিত ম্যান ইউয়ের এই পর্তুগিজ ম্যানেজার। যদিও মুখে এ ব্যাপারে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি ‘দ্য স্পেশ্যাল ওয়ান’ ম্যানেজার। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার রাতে ঘরের মাঠ ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গ্রুপ ‘এইচ’-এর ম্যাচে ভ্যালেন্সিয়ার মুখোমুখি ম্যান ইউ। যে ম্যাচ খেলতে নামার আগে ম্যান ইউ শিবিরে আলোচনা শুরু হয়েছে অ্যালেক্সিস স্যাঞ্চেসকে নিয়ে। এমনিতেই মোরিনহো-পল পোগবা মতবিরোধ নিয়ে সরগরম ম্যান ইউ। তার উপরে বছরের শুরুতেই আর্সেনাল থেকে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডে আসার পরে ২৩ ম্যাচে স্যাঞ্চেসের গোল মাত্র তিন। ফলে চিলের এই ফুটবলারকে নিয়ে মোহভঙ্গ হয়েছে মোরিনহোর। শোনা গিয়েছে সপ্তাহখানেক আগে তিনি নাকি তীব্র ভর্ৎসনাও করেন এই লাতিন আমেরিকান ফুটবলারটিকে। মজার ব্যাপার এটাই যে স্যাঞ্চেসের এই দুঃসময়ে তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে বিবৃতিও দিয়েছেন পোগবা। ফরাসি এই ফুটবলারের কথায়, ‘‘নতুন ক্লাবে খেলতে এলে যে কোনও ফুটবলারকে আগের ক্লাবের খেলার পদ্ধতি বদল করতে হয়। নতুন পদ্ধতির সঙ্গে মানাতে অনেকটাই সময় লাগে। অ্যালেক্সিস অন্যতম সেরা ফুটবলার। দ্রুতই এই সমস্যা কাটিয়ে উঠবে ও।’’
চাকরি ধরে রাখতে গেলে এই ম্যাচ জিততেই হবে মোরিনহোকে। এমনই ধারণা অনেকের। মোরিনহো অবশ্য বলছেন, ‘‘সব ফুটবলার সমান হয় না। যেমন কোনও ম্যাচে খারাপ ফলের পরে কিছু ফুটবলার মুষড়ে পড়ে। কেউ আবার এমন হাবভাব করে ঘুরে বেড়ায়, যেন কিছুই হয়নি।’’ সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কথা মাথায় রেখে বলে দেন, ‘‘চ্যাম্পিয়ন্স লিগ তো খেলতে চায় সব দলই কিন্তু সবার সুযোগ হয় না। দলের ভুলত্রুটি শোধরানোর জন্য যা যা করা দরকার তা করেছি। দলের প্রত্যেকেরই একটা কাজ রয়েছে। সেটা কিট-বয় থেকে পুষ্টিবিদ সকলের জন্য প্রযোজ্য। জিতলে আমরা প্রত্যেকেই জিতি। হারলে সেটা সকলের হার হিসেবেই দাঁড়ায়। সুতরাং ভ্যালেন্সিয়ার বিরুদ্ধে জিততে হবেই আমাদের।’’
ইংল্যান্ডের সংবাদমাধ্যমে এর আগে জল্পনা চলছিল জিনেদিন জিদান ফোন করেছিলেন মোরিনহোকে। তিনি নাকি ফোন করে তাঁকে আশ্বস্ত করেন, মোরিনহোকে সরিয়ে ম্যানেজার হওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই তাঁর। কিন্তু মোরিনহো তাঁর ফোন করার কথা হেসে উড়িয়ে দিয়েছেন। ঘটনা হল, মোরিনহো সরলে জিদানকেই অনেকে ম্যান ইউ ম্যানেজারের পদে বসার সেরা প্রার্থী মনে করছেন।