গোল করার পর এঞ্জামুল হক। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস।
বড়রা আই লিগ থেকে ছিটকে গেলেও ইস্টবেঙ্গল আই এফ এ শিল্ড জয়ের দোরগোড়ায় এসে গেল। ফাইনালে ইউনাইটেডকে হারাতে পারলেই ট্রফি যাবে লাল-হলুদ তাঁবুতে। যদিও শিল্ডের সেই কৌলিন্যই নেই। শতবর্ষ পেরোনো টুর্নামেন্ট এ বার অনূর্ধ্ব ১৯ এর হয়ে গিয়েছে।
জৌলুস যতই কমুক তাতে অবশ্য উত্তেজনার কমতি নেই। বড়দের ম্যাচে যে উত্তেজনা দেখা যায় তার রেশই যেন দেখা গেল জুনিয়রদের লড়াইয়েও। ইস্টবেঙ্গল বনাম মহমেডান সেমিফাইনালে ঝামেলা থামাতে এ দিন গ্যালারিতে উঠতে হল পুলিশকে। ঘটনাটা কী? প্রথমার্ধের শুরুতে পেনাল্টি থেকে মহমেডানকে ১-০ এগিয়ে দেন সানু হাজরা। কিন্তু বিরতির ঠিক আগেই কর্নার থেকে হেড দিয়ে সমতা ফেরান ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্ডার অঙ্কিত মুখোপাধ্যায়। ইস্টবেঙ্গল মাঠের গ্যালারিতে তখন দুই ক্লাবের সমর্থক শ’খানেক। লাল হলুদ সমতা ফেরাতেই মহমেডান ও ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। একে অপরের দিকে তেড়ে যান। গালাগালি দিতে থাকেন ওঁরা। পরিস্থিতি সামলাতে দুই ক্লাবের সমর্থকদের আলাদা করে মাঝখানে পাহারায় থাকে পুলিশ। তবে বিরতির ঠিক পরেই ইস্টবেঙ্গল ২-১ এগিয়ে যায়। কর্নার থেকে গোল করেন এঞ্জামুল হক। মাত্র চব্বিশ ঘণ্টায় তাদের খেলতে বাধ্য করায় বিরক্ত মহমেডান কোচ অনন্ত ঘোষ। যাঁকে ঘিরে আবার মহমেডান সমর্থকরা বলতে থাকেন কেন তিনি এক দিনের মধ্যে সেমিফাইনাল খেলতে রাজি হলেন। এ দিন পুণেকে ৪-০ উড়িয়ে দিয়ে ফাইনালে পৌঁছয় ইউনাইটেড স্পোর্টসও। হ্যাটট্রিক আজহারউদ্দিন মল্লিকের।
যে বিশ্রাম দেওয়া নিয়ে এত নাটক সেটা মাথায় রেখেই ফাইনাল পিছিয়ে দিল আইএফএ। বৃহস্পতিবারের বদলে ফাইনাল হবে ৩১ মে, রবিবার।