জার্সি হাতে রোনাল্ডো। ছবি টুইটারের সৌজন্যে।
ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো সবে পা রেখেছেন তুরিনে। মাঠে নামতে এখনও ঢের দেরি। কিন্তু, এর মধ্যেই ট্রান্সফার ফি-র অর্ধেকই তুলে ফেলেছে জুভেন্তাস। স্রেফ জার্সি বিক্রি করেই।
সাদা জার্সিতে কালো অক্ষরে লেখা ৭। ওপরে লেখা রোনাল্ডো। সিআর সেভেনের এই জার্সিই ঝড় তুলেছে জুভেন্তাস সমর্থকদের মধ্যে। প্রথমদিনেই বিক্রি হয়েছে মোট ৫,২০,০০০ জার্সি। ইতালিয়ান মিডিয়া জানিয়েছে, ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক অ্যাডিডাস নিজের স্টোর থেকে এক ঘণ্টার মধ্যে বিক্রি করেছে ২০,০০০ জার্সি। অনলাইনে বিক্রি হয়েছে প্রায় ৫ লক্ষ জার্সি। যা জুভেন্তাস ক্লাবের আয় বাড়িয়েছে বিপুল ভাবে।
২০১৬ সালে জুভেন্তাস মোট ৮,৫০,০০০ জার্সি বিক্রি করেছিল। মনে করা হচ্ছে, তা খুব তাড়াতাড়ি ছাড়িয়ে যাওয়া যাবে এবার। দুই ধরনের জার্সি বিক্রি হচ্ছে। একটা বিক্রি হচ্ছে ১০৪ ইউরোয়। আর একধরনের জার্সি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ ইউরোয়। সরকারি পোর্টাল থেকে জার্সি বিক্রির প্রথম দিনেই জুভেন্তাস আয় করেছে ৫ কোটি ৪০ লক্ষ ইউরো। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৪৩২ কোটি টাকা। রোনাল্ডোকে নেওয়ার জন্য ১০ কোটি ইউরো ট্রান্সফার ফি দিতে সম্মত হয়েছে জুভেন্তাস। অর্থাত্, এই ট্রান্সফার ফি-র অর্ধেকের বেশিই উঠে গিয়েছে ক্লাবের।
জুভেন্তাসের সমর্থকদের হাতে রোনাল্ডোর জার্সি। ছবি টুইটারের সৌজন্যে।
ট্রান্সফার ফি ছাড়া চার বছর ধরে রোনাল্ডোকে মোট ১২০ কোটি ইউরো দিতে হবে। তাছাড়া ফিফার নিয়ম অনুসারে আরও ১ কোটি ২০ লক্ষ ইউরো খরচা করতে হবে ক্লাবকে। সব মিলিয়ে তাই চার বছরে রোনাল্ডোর জন্য খরচ হবে ২৩ কোটি ২০ লক্ষ ইউরো।
৩০ বছরের বেশি বয়সি কোনও ফুটবলারের জন্য এটা সর্বাধিক। ইতালির কোনও ক্লাব এত বেশি ট্রান্সফার ফি এর আগে দেয়নি। রোনাল্ডো যে অর্থ পাবেন, তা আবার তাঁকে বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবলারের তালিকায় তিনে রাখছে।
আরও পড়ুন: জুভেন্তাসেও প্রমাণ করব, আমিই শ্রেষ্ঠ
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের উপার্জন দান করলেন এমবাপে