রাবাডা রকেটে বিধ্বস্ত স্মিথরা

ডারবানে ওয়ার্নার বনাম কুইন্টন ডি’কক দ্বন্দ্বের উত্তাপ যে পোর্ট এলিজাবেথেও রয়েছে, তা দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন দুই দলের ক্রিকেটারদের শরীরি ভাষা দেখেই বোঝা যাচ্ছিল।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০১৮ ০৫:১৭
Share:

হুঙ্কার: স্টিভ স্মিথকে ফিরিয়ে উচ্ছ্বাস দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার কাগিসো রাবাডার। ৯৬ রানে ৫ উইকেট তুলে নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে প্রথম ইনিংসে আড়াইশোও পেরতে দিলেন না তিনি। ছবি: রয়টার্স

শুক্রবার সেন্ট জর্জে’স পার্কে স্যাঁতসেঁতে ঘাসের উইকেট দেখেও স্টিভ স্মিথের টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্তে যাঁরা অবাক হয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে তাঁর বিপক্ষের অধিনায়ক ফ্যাফ ডুপ্লেসিও ছিলেন। কারণ, তিনি টস জিতলে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাট করতে পাঠাবেন বলেই ভেবে রেখেছিলেন। স্মিথ নিজেই তাঁর কাজটা সোজা করে দেওয়ায় একটু অবাকই হন।

Advertisement

কিন্তু ক্যামেরন ব্যানক্রফ্ট ও ডেভিড ওয়ার্নারের ওপেনিং জুটির ৯৮ রানের পার্টনারশিপ স্মিথের সিদ্ধান্তেই যেন সিলমোহর লাগিয়ে দেয়। স্মিথ নিজেও শন মার্শকে সঙ্গে নিয়ে যেন বলতে চাইছিলেন, ‘যা করেছি, বেশ করেছি’। কিন্তু চায়ের বিরতির আগে-পরে যে ভাবে পাঁচ উইকেট নিয়ে পুরো ছবিটাই বদলে দিলেন কাগিসো রাবাডা, তা মনে রাখার মতো। সাত বলে চার উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিংয়ের শিরদাঁড়াই ভেঙে দেন তিনি। ২৪৩ রানে শেষ স্মিথরা।

ডারবানে ওয়ার্নার বনাম কুইন্টন ডি’কক দ্বন্দ্বের উত্তাপ যে পোর্ট এলিজাবেথেও রয়েছে, তা দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন দুই দলের ক্রিকেটারদের শরীরি ভাষা দেখেই বোঝা যাচ্ছিল। স্টিভ স্মিথকে আউট করার পরে আপাত শান্ত রাবাডাকেও যে ভাবে হুঙ্কার দিতে দেখা গেল, তাতে আগ্রাসনটা আর চাপা থাকেনি। শুধু তাই নয়, উৎসব করার সময় তাঁর সঙ্গে স্মিথের কাঁধও ছুঁয়ে যায়। যার জেরে ম্যাচ রেফারি ডাকতে পারেন দু’জনকে। শুরু হতে পারে নয়া বিতর্ক।

Advertisement

মার্শ আর স্মিথের জুটি ভাঙা দিয়েই রাবাডার এই তাণ্ডব শুরু। প্রথমে স্মিথকে এলবিডব্লিউ-র ফাঁদে ফেলেন ২২ বছর বয়সি পেসার। প্রায় জেদের বশেই রিভিউ চেয়েছিলেন অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক। কিন্তু অবধারিত ভাবেই নাকচ হয়ে যায়। পরের ওভারেই মার্শও এলবিডব্লিউ হন তাঁর হঠাৎ ভিতরে ঢুকে আসা বলেই।

রাবাডার পরপর দু’বলে মিচেল মার্শ ও প্যাট কামিন্স ফিরে যান কট বিহাইন্ড হয়ে। তবে হ্যাটট্রিকের মুখে থেকেও সফল হননি। কিন্তু যে ভাবে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিংয়ে ধস নামান, তাও কম বড় সাফল্য নয়। অস্ট্রেলিয়া ১৬১-৩ থেকে ১৭০-৭-এ চলে আসে। রাবাডা ১৩ রানের মধ্যে পাঁচ উইকেট নেন। শেষে যখন মিচেল স্টার্কের স্টাম্প ছিটকে দেন, তখন অস্ট্রেলিয়া ১৮২-৮। মাত্র ২১ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার যখন দমবন্ধ অবস্থা, তখন টিম পেন (৩৬) ক্রিজে থেকে টেল এন্ডারদের নিয়ে ৭৩ রান যোগ না করলে স্মিথরা বোধহয় দুশোর গণ্ডীও পেরতে পারতেন না। দক্ষিণ আফ্রিকা দিনের শেষে ৩৯-১।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন