Kapil Dev

কুসংস্কারাচ্ছন্ন ছিলাম কেরিয়ারের প্রথম দিকে: কপিল

শুধু এটাই নয়, খেলোয়াড় জীবনের সর্বাধিক আলোচিত গলার চেন ও লকেটের রহস্যও এ দিন ফাঁস করেন তিনি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০১৭ ১৮:২৭
Share:

বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক কপিল দেব। ছবি: সংগৃহীত

কুসংস্কার অথবা অন্ধবিশ্বাস মানুষের জীবনের নিত্য দিনের সঙ্গী। সাধারণ মানুষ থেকে বহুজাতিক কোম্পানির মালিক, এর শিকার প্রায় সকলেই। আর এই তালিকার একেবারে উপরের দিকেই থাকবেন খেলোয়াড়রা।

Advertisement

কপিল দেব থেকে সচিন তেন্ডুলকার নিজেদের খেলোয়াড় জীবনে সকলেই কুসংস্কার বশত অনেক কিছুই করেছেন। কিছু জানা, আবার কিছুটা অজানা। সেই অজনা কথাগুলিই শনিবার তুলে ধরলেন ভারতের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক কপিল দেব।

শনিবার কপিল বলেন, “কেরিয়ারের প্রথম দিকে আমি অত্যন্ত কুসংস্কারগ্রস্থ ছিলাম। আমি ব্যাট করতে নামার সময় প্রথমে বাঁ পায়ের প্যাড পরতাম এবং ডান পা প্রথম মাঠে রাখতাম।”

Advertisement

শুধু এটাই নয়, খেলোয়াড় জীবনের সর্বাধিক আলোচিত গলার চেন ও লকেটের রহস্যও এ দিন ফাঁস করেন তিনি।

ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার কপিল দেব বলেন, “প্রথম দিন থেকেই আমি একটা সরু চেন এবং মহাদেবের একটা লকেট পরতাম। আমার বিশ্বাস ছিল, এই লকেট আমায় মাঠে নেমে রান পেতে সাহায্য করবে। আমি চাইতাম ইশ্বরকে নিজের বুকের সঙ্গে লাগিয়ে রাখতে।”

আরও পড়ুন: সিরিজ শেষ হতেই কোচের পর্ব শুরু

কিন্তু তাঁর এই লকেটই যে তাঁকে অনেক সময় বিড়ম্বনায় ফেলেছে, তাও এ দিন বললেন হরিয়ানা হ্যারিকেন। তিনি বলেন, “আমার চেনটা অনেকটা লম্বা ছিল। বল মারার সময় প্রত্যেক বার সেটা ব্যাটে ঠেকত। একটা ম্যাচে বল ব্যাটে না লাগলেও চেনটা ব্যাটে ঠেকে আওয়াজ তৈরি করে। প্রতিপক্ষ বোলার কট-বিহাইন্ডের আবেদন করে। তবে, আমি ভাগ্যবান যে আম্পায়ার আমায় আউট দেননি।”

এই ঘটনার পরই সেই চেন ত্যাগ করেন কপিল। কপিল বলেন, “এর পরই আমি বুঝতে শুরু করি, এই ভাবে রান পাওয়া বা ভাল খেলা সম্ভব নয়। উপরওয়ালা অবশ্যই আছেন, তবে তিনি আমার হয়ে মাঠে নেমে রান করবেন না। আমাকেই রান করতে হবে।” আর এর পরই ধীরে ধীরে তিনি নিজের জীবন থেকে অন্ধবিশ্বাসকে দূরে সরাতে থাকেন।

তিনি বলেন, “এর পর মাঠে নেমে কোনও কিছুর উপর ভরসা ছাড়াই আমি নিজের খেলা খেলতে থাকি। এবং রানও পাই।”

প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক আরও বলেন, “এখনকার ক্রিকেটে যখন দেখি এক জন ব্যাটসম্যান কোনও বল মারার পর নিজের চেন ঠিক করছে তখন আমার খুব হাসি পায়। আসলে তাঁদের মনে কী চলছে সেটা আমি ভাল মতোই বুঝতে পারি। এখনও তাঁরা নিজেদের বিশ্বাস করতে পারে না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন