কেপলার বলে দিচ্ছেন, মরিয়া থাকবে ভারত

ভুবনেশ্বর কুমারের প্রথম একাদশে না থাকা নিয়ে সকাল থেকে উত্তাল ভারতীয় ক্রিকেট মহল। ওয়েসেলস সেই তালিকায় নাম লেখাতে চান না। তাঁর বক্তব্য, ‘‘সেঞ্চুরিয়নের এই পিচটা একদম অন্য রকম। ওরা নিশ্চয়ই ভেবেচিন্তেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি মোটেও অবাক হচ্ছি না।’’

Advertisement

সুমিত ঘোষ

সেঞ্চুরিয়ন শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০১৮ ০৪:৩২
Share:

ভারতকে হাল্কা ভাবে না নেওয়ার পরামর্শ ওয়েসেলসের।

নির্বাসনমুক্ত হয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে ফেরা দক্ষিণ আফ্রিকাকে ফের শক্তিশালী ক্রিকেট দল করে তোলা অধিনায়ক। তিনি— কেপলার ওয়েসেলস চলতি সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকাকে এগিয়ে রাখলেও সতর্কবার্তাও দিয়ে রাখছেন ফ্যাফ ডুপ্লেসি-দের জন্য। ‘‘ভারত কিন্তু যে কোনও সময় প্রত্যাঘাত করতে পারে। ক্রিকেটে কে না জানে, খেলা ঘুরতে লাগে কয়েকটা মাত্র বল,’’ যখন বললেন ওয়েসেলস, তার কিছুক্ষণের মধ্যেই নাটকীয় পট-পরিবর্তন ঘটা শুরু হয়ে গেল। দারুণ ভাবেই ম্যাচে ফিরে এল ভারত।

Advertisement

দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন অধিনায়ক তাঁর দলকে সতর্ক করে দিতে চান বিরাট কোহালি নিয়েও। ‘‘বিরাট খুবই বড় ব্যাটসম্যান। দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ মনোভাব নিয়ে খেলতে নামে। সহজে হার মেনে নেয় না। আমি নিশ্চিত, বড় একটা স্কোর থেকে খুব বেশি দূরে নেই বিরাট। সেটা এখানে ঘটতে পারে বা পরের টেস্টে। কিন্তু আমি নিশ্চিত, ও চাইবে বিদেশের মাঠে নিজেকে প্রমাণ করতে। কেপ টাউনে রান না পাওয়াটা ওকে আঘাত করবে,’’ বলছেন তিনি।

বর্ণবৈষম্যের দায়ে দীর্ঘ একুশ বছর ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। নির্বাসন মুক্তি ঘটার পরে ১৯৯১ সালের নভেম্বরে ইডেনে প্রথম ম্যাচ খেলেছিল তারা। ক্লাইভ রাইসের নেতৃত্বে খেলতে আসা সেই দক্ষিণ আফ্রিকা দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন ওয়েসেলস। তিন নম্বরে তিনিই সর্বোচ্চ রান (৫০) করেছিলেন তাঁর দলের হয়ে। এখনও ইডেনের সেই স্মৃতি ভুলতে পারেননি তিনি। ‘‘আমার ক্রিকেট জীবনের অবিস্মরণীয় এক মুহূর্ত। ইডেনে সে দিন যে রকম আবহ ছিল, আমি খুব কম জায়গাতেই দেখেছি। কলকাতার মানুষ এত আন্তরিক ভাবে আমাদের বরণ করে নিয়েছিলেন। এখনও যেন চোখের সামনে ভাসে সেই সফরটা। ঐতিহাসিক, অভাবনীয়,’’ ইডেন নিয়ে বলতে গিয়েই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন তিনি।

Advertisement

ভুবনেশ্বর কুমারের প্রথম একাদশে না থাকা নিয়ে সকাল থেকে উত্তাল ভারতীয় ক্রিকেট মহল। ওয়েসেলস সেই তালিকায় নাম লেখাতে চান না। তাঁর বক্তব্য, ‘‘সেঞ্চুরিয়নের এই পিচটা একদম অন্য রকম। আগের মতো গতি, বাউন্স কিছুই নেই। এই পিচে ভারতীয় দলের মনে হয়ে থাকতে পারে যে, সুইং বোলার ততটা কাজে আসবে না। ওরা নিশ্চয়ই ভেবেচিন্তেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি মোটেও অবাক হচ্ছি না।’’ সেঞ্চুরিয়নের শুকনো পিচ দেখে অনেকেই অবাক হয়েছেন। এমন প্রশ্নও উঠেছে যে, ভারতের কি দ্বিতীয় স্পিনার হিসেবে রবীন্দ্র জাডেজাকে খেলানো উচিত ছিল? ওয়েসেলসের সায় নেই সে রকম প্রস্তাবে। ‘‘দক্ষিণ আফ্রিকায় দুই স্পিনার কী ভাবে খেলানো যাবে? এখানে পরিবেশ পাল্টেও যেতে পারে খুব তাড়াতাড়ি। আজকের এই গরম দিনটা এবং অশ্বিনের সাফল্য দেখে হয়তো মনে হচ্ছে, আর এক স্পিনার খেলালে ভাল হতো। কিন্তু আমি কিছুতেই ভাবতে পারছি না যে, দক্ষিণ আফ্রিকায় দুই স্পিনার নিয়ে প্রথম একাদশ কী করে সাজানো সম্ভব?’’

ম্যাচ কোন দিকে যেতে পারে বলে আপনার মনে হচ্ছে? প্রশ্ন করায় ওয়েসেলস বললেন, ‘‘আগেই বললাম, পিচটা অন্য রকম। এখানে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদেরও রান করার সম্ভাবনা ভালই থাকবে। আশা করছি, বিরাট-রা এখানে অনমনীয় মনোভাবই দেখাবে। আমার মনে হয় দারুণ উপভোগ্য একটা টেস্ট ম্যাচ আমরা দেখতে পাব সেঞ্চুরিয়নে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন