ক্রিস গেল, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, ডেভিড মিলার, লোকেশ রাহুলদের রেখে দিয়েছে কিংস ইলেভেন পঞ্জাব।
আইপিএলের প্রথম সংস্করণে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের পারফরমেন্স যথেষ্টই ভাল ছিল। খেতাবি লড়াইয়ে চেন্নাই সুপার কিংস, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু বা রাজস্থান রয়্যালসের সঙ্গে সমান তালেই পাল্লা দিচ্ছিল তারা। কিন্তু, উদ্বোধনী আসরের সেই ধারাবাহিকতা পরের বছরগুলোয় সেভাবে দেখা যায়নি পঞ্চনদের দেশের ক্রিকেট ফ্র্যাঞ্চাইজির ক্রিকেটে।
ব্যতিক্রম অবশ্যই ২০১৪। সে বার ফাইনালে উঠেও কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে হেরে যায় তারা। বলিউড নায়িকা প্রীতি জিন্টার দলের হয়ে সেই ফাইনালে দুরন্ত শতরান করেছিলেন বঙ্গতনয় ঋদ্ধিমান সাহা। শিলিগুড়ির পাপালি-র চোখধাঁধাঁনো সেঞ্চুরি এখনও ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে থাকার কথা। যদিও তা ট্রফি আনতে পারেনি।
আইপিএলে টানা ব্যর্থতার যন্ত্রণা কাটিয়ে এ বার চাকা ঘোরাতে মরিয়া পঞ্জাব। তাদের প্রথম বড় পরীক্ষা মঙ্গলবারের নিলাম পর্বেই। গত বছর ফ্র্যাঞ্চাইজি মালকিন প্রীতি জিন্টার সঙ্গে দলের মেন্টর বীরেন্দ্র সহবাগের ঝামেলা রাতারাতিই সংবাদ শিরোনামে চলে এসেছিল। বাইশ গজে মনমাতানো ক্রিকেট নয়, বরং ক্রিকেট বহির্ভূত নানা ঘটনার জন্যই কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের দলটি হয়ে ওঠে আলোচনার বিষয়বস্তু।
২০১৯ সালের আইপিএলের জন্য যে নিলাম হতে চলেছে তাতে পঞ্জাবের ঝুলিতে মজুত ৩৬ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। মোট ১৫ জন ক্রিকেটারকে তারা কিনতে পারবে। এ বার কাদের নিশানা করে নিলামের সময় ঝাঁপায় কিংস ইলেভেনের থিঙ্কট্যাঙ্ক, সেদিকে নজর রয়েছে ক্রিকেটমহলের। শোনা যাচ্ছে, গত বছর রাজস্থান রয়্যালসের জার্সিতে খেলা জোরে বোলার জয়দেব উনাদকাটকে নেওয়ার জন্য আগ্রহী হবে পঞ্জাব। এমনকী, অন্য ওপেনার লোকেশ রাহুলের ওপর চাপ কমাতে আবারও ঋদ্ধিকে দলে নিতে ঝাঁপাতেই পারে তারা।
যে সব ক্রিকেটারকে ধরে রেখে নিলামে যাচ্ছে কিংস ইলেভেন পঞ্জাব: ক্রিস গেল, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, লোকেশ রাহুল, ডেভিড মিলার, করুণ নায়ার, ময়ঙ্ক অগ্রবাল, অ্যান্ড্রু টাই, মার্কাস স্টোইনিস, মুজিব-উর-রহমান, অঙ্কিত রাজপুত।
(আইসিসি বিশ্বকাপ হোক বা আইপিএল, টেস্ট ক্রিকেট, ওয়ান ডে কিংবা টি-টোয়েন্টি। ক্রিকেট খেলার সব আপডেট আমাদের খেলা বিভাগে।)