ট্রফি জিততে তুরুপের তাস সেই কুলদীপ-নারাইনরা

১৩ ম্যাচের পরে তিন নম্বরে থাকা কলকাতার পয়েন্ট ১৪। দীনেশ কার্তিকের দল যে ছন্দে ক্রিকেটটা খেলছে, তাতে কেকেআর প্লে-অফে যাবে বলেই আমার ধারণা।

Advertisement

অশোক মলহোত্র

শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০১৮ ০৪:৫১
Share:

নায়ক: চার উইকেট নিয়ে দুরন্ত জয় এনে দেওয়ার পরে টিম হোটেলে কেক কাটছেন কুলদীপ।

আইপিএলের প্লে-অফে ইতিমধ্যেই চলে গিয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এবং চেন্নাই সুপার কিংস। কিন্তু পরের দুই দল কারা হবে, তা নিয়ে লড়াই এখন তুঙ্গে। যার মধ্যে রয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্সও।

Advertisement

১৩ ম্যাচের পরে তিন নম্বরে থাকা কলকাতার পয়েন্ট ১৪। দীনেশ কার্তিকের দল যে ছন্দে ক্রিকেটটা খেলছে, তাতে কেকেআর প্লে-অফে যাবে বলেই আমার ধারণা। এই কেকেআর টিমের নিউক্লিয়াস দুই অলরাউন্ডার। সুনীল নারাইন, আন্দ্রে রাসেল। ওঁরা ছন্দে থাকলে প্লে-অফ নয়, ট্রফিও আসতে পারে কলকাতায়।

কেকেআরের বড় চিন্তা বিদেশি পেসার মিচেল জনসন বা টম কারেন ঠিক সফল না হওয়া। ছয় ম্যাচ খেলে মিচেল জনসনের শিকার মাত্র দুই উইকেট। দিয়েছেন ২১৬ রান। টম কারেন পাঁচ ম্যাচে ১১৮ রান দিয়ে নিয়েছেন ছয় উইকেট। ভারতীয় তরুণদের মধ্যে শিবম মাভি ও প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ প্রশংসিত হলেও সেই অভিজ্ঞতা নেই ওঁদের। শিবম আট ম্যাচে ২৩৭ রান দিয়ে নিয়েছেন চার উইকেট। চার ম্যাচে ১৪৬ রান দিয়ে প্রসিদ্ধের শিকার পাঁচ। ম্যাচ বার করার জন্য তাই কলকাতার হাতে রয়েছে এই আইপিএলের সেরা তিন স্পিনার। পীষূষ চাওলা, কুলদীপ যাদব এবং সুনীল নারাইন। এই তিন স্পিনার মিলে তেরো ম্যাচে তুলে নিয়েছেন বিপক্ষের ৩৯ উইকেট। ওঁদের এই মিলিত বারো ওভার খেলাটা বিপক্ষ দলের কাছে একটা ত্রাস। পীযূষ এই মুহূর্তে চোটে কাবু। আশা করছি, শনিবারের সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে গ্রুপের শেষ ম্যাচ না খেলতে পারলেও প্লে-অফ ম্যাচের আগে সুস্থ হয়ে যাবেন।

Advertisement

কলকাতার এই স্পিন ত্রিভূজের মধ্যে কুলদীপ এবং সুনীল আবার রহস্য স্পিনার। চায়নাম্যান কুলদীপের গুগলি বোঝা কঠিন। ধোনি এ বারের আইপিএল ব্যাট হাতে দাপালেও কুলদীপের বল বুঝতে না পেরে আউট হয়েছেন।

কুলদীপকে নিয়ে উচ্ছ্বাসে মাতলেন রাসেলরা।

আর নারাইনের বল মাটিতে পড়ার আগে বোঝা যায় না। তাই এগিয়ে গিয়ে সুনীলকে মারা যায় না। সুনীল আর কুলদীপ উইকেট নেওয়ার সঙ্গে বিপক্ষের রানের গতিটাও চেপে দিচ্ছেন। ফলে প্লে-অফ বা তার পরের ধাপে এই তিন স্পিনার ১২ ওভারে যে চাপটা তৈরি করবেন বিপক্ষের উপর, তা ধরে রাখতে হবে পেসারদের। এ ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিতে পারেন ক্যারিবিয়ান আন্দ্রে রাসেল। সুস্থ থাকলে ওঁকে দিয়ে পুরো চার ওভার করানো হোক। বাকি থাকে আর চার ওভার। সেটা অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক বুদ্ধি করে ব্যবহার করুন শিবম মাভিকে দিয়ে। তবে শেষ ওভারে যেন কখনও কুলদীপ বা পীযূষকে বল না দেওয়া হয়।

ব্যাটিংয়ে দীনেশ কার্তিক যেন কোনও মতেই সুনীল নারাইনকে ওপেনিং থেকে না সরান। স্পিনারদের পিটিয়ে সুনীল দ্রুত বড় রান করতে পারেন। আর ক্রিস লিন পেসারদের ত্রাস। শুরুতে ডান হাতি-বাঁ হাতি জুটি বিপক্ষ বোলারের নিশানা এলোমেলো করবেন। এর পরে রবিন উথাপ্পা দ্রুত রান তোলায় দক্ষ ও কার্যকরী ব্যাটসম্যান। দলকে সাফল্য দিতে অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক চার নম্বরে যান। তাঁর পরে আসুন রাসেল, নীতীশ রানা আর শুভমন গিল। এটাই কলকাতার সেরা একাদশ।

ছবি: টুইটার

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন