মুম্বই গাঁট জয় করতেই হবে, শপথ লিনের

বুধবার অবশ্য রোহিত শর্মাদের এ ভাবে জায়গা ছেড়ে দিতে রাজি নয় কেকেআর। আইপিএলে মুম্বই তাঁদের বড় গাঁট ঠিকই, তবে এ বার ইতিহাস বদলে দিতে মরিয়া নাইটরা।

Advertisement

রাজীব ঘোষ

শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০১৮ ২১:৩৪
Share:

ইডেনেই ইতিহাস বদলে দিতে মরিয়া লিন।

সারা মাঠে লাল-কালো পোশাকে ক্রিকেটারদের ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ফিল্ডিং করতে দেখে থমকে গেলেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কোচেরা। অন্য দলের যে অনুশীলনে নামার সময় হয়ে গিয়েছে, সে-দিকে হয়তো খেয়ালই ছিল না দীনেশ কার্তিকদের। মিনিট দশেক অপেক্ষা করানোর পরে মাহেলা জয়বর্ধনে, লাসিথ মালিঙ্গাদের জায়গা ছেড়ে দেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের তারকারা।

Advertisement

বুধবার অবশ্য রোহিত শর্মাদের এ ভাবে জায়গা ছেড়ে দিতে রাজি নয় কেকেআর। আইপিএলে মুম্বই তাঁদের বড় গাঁট ঠিকই, তবে এ বার ইতিহাস বদলে দিতে মরিয়া নাইটরা। তাই চলল এক বিশেষ ফিল্ডিং-মহড়া। যাতে একটা রান না গলে, একটা ক্যাচও না পড়ে।

ছোট ছোট দল করে এক দিকে সুনীল নারাইন, অন্য দিকে লিন। আর এক দিকে আন্দ্রে রাসেল, শুভমন গিলরা ফিল্ডিং অনুশীলনে ডুবে ছিলেন। সাধারণত অনুশীলনে নামার পরেই ইডেনের যে নেট গমগম করে রবিন উথাপ্পাদের ব্যাটের শব্দে, মঙ্গলবার শুরুতে সেই নেট ঘণ্টাখানেক ফাঁকাই রইল। ব্যাটিংয়ের মহড়া হল পরে। শেষে রাসেল, কার্তিকরা থ্রো ডাউনও নিলেন। তবে ব্যাট-বলের লড়াইয়ে ফিল্ডিংও যে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে জয়ের খরা কাটানোর অস্ত্র হতে চলেছে নাইটদের, সেটা পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে কার্তিকদের দেখেই।

Advertisement

ঠিক তিন বছর এক মাস আগে আইপিএলে মুম্বইকে শেষ হারিয়েছিল কেকেআর। তার পরে মুম্বই ম্যাচ মানেই ব্যর্থতা। এ বার ঘরের মাঠে সেই বহু আকাঙ্ক্ষিত জয়ে ফিরতে যে মরিয়া তাঁরা, ওপেনার ক্রিস লিনের কথায় সেই ইঙ্গিত স্পষ্ট। বললেন, ‘‘কেন এই খরা, জানি না। তবে এ বার জিতে ওদের কিছু তো শোধ দিতেই হবে। রবিবারেই সেটা হয়ে যেত। অল্পের জন্য হাতছাড়া হয় জয়টা। তবে ছেলেরা ভাল খেলছে। এই ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করতেই হবে। এটাই এখন সব চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।’’

এই ম্যাচে রোহিত শর্মাদের হার মানে প্লে-অফের দৌড় থেকে প্রায় বিদায়। নাইটরা হারলেও প্রবল চাপে পড়বেন। তখন শেষ তিন ম্যাচেই জিততে হবে তাঁদের। হারাতে হবে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও কিংস ইলেভেন পঞ্জাবকে। এই চাপ এড়াতে বুধবার কার্তিকদের জিততেই হবে। লিন বলেন, ‘‘যদিও প্রতি ম্যাচই ফাইনাল ভেবে খেলি, তবু নিজেদের এত চাপে ফেলতে চাই না আমরা। এই বড় বাধাটা পেরোতে পারলে হয়তো ফাইনালের দিকেও এগিয়ে যেতে পারি।’’ দলের তরুণ পেসার শিবম মাভির চোট। মঙ্গলবার নেটে অল্প রান আপে তিন-চারটে বল করলেন। শোনা গেল, বুধবারেও অনিশ্চিত তিনি। আর দু’-একটি পরিবর্তনও হতে পারে বলে জানালেন লিন।

লিগ যত কঠিন জায়গায় যাচ্ছে, দল তত শক্তিশালী হয়ে উঠছে বলে দাবি নাইট ওপেনারের। বললেন, ‘‘ঠিক সময়ে ফর্মের শিখরে উঠছে আমাদের দল। ভারত ও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ১৫-২০ জনের পক্ষে পরস্পরের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া সোজা নয়। তবু আমাদের বোঝাপড়া ভাল। সেটা যখন পেরেছি, তখন সফল হব না কেন?’’

দশটি ম্যাচের তিনটিতে ৭৪, অপরাজিত ৬২ ও ৪৯ রান করেছেন। স্ট্রাইক রেট প্রায় ১৩৪। বড় রান নিয়ে আশাবাদী লিন বলেন, ‘‘পুরো ফিট নই। তবে খেলতে অসুবিধা হচ্ছে না। আমার সমস্যা ব্যাটিংয়ে নয়, ফিল্ডিং নিয়ে।’’ গত দু’ম্যাচে করেছেন ১২ ও ১৭। আগ্রাসী অস্ট্রেলীয়র হুঙ্কার, ‘‘দেখে নেবেন, যে কোনও দিন বড় স্কোর করব।’’ বুধবারই সেই দিন কি না, কে জানে!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন