নায়ক: ৬০ বলে অপরাজিত ৯৫ রান করে জেতালেন বাটলার। ছবি: পিটিআই
ইংল্যান্ডের উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান জস বাটলারের ব্যাটে ঝড় ওঠার সঙ্গে সঙ্গে উত্তেজনার পারদও চড়তে থাকে জয়পুরের সোয়াই মান সিংহ স্টেডিয়ামে। শেষে তাঁর ব্যাট শুধু রাজস্থান রয়্যালসকেই জেতাল না, আইপিএল ১১-র ছবিটাও বদলে দিল।
হিসাব বলছে, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ছাড়া প্লে-অফে কারও জায়গাই এখনও পাকা নয়। বাকি তিনটি জায়গার জন্য লড়াইয়ে চেন্নাই, পঞ্জাব, মুম্বই, কলকাতা ও রাজস্থান তো আছেই। এমনকি, শেষ দুইয়ে থাকা রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ও দিল্লি ডেয়ারডেভিলসকেও লড়াই থেকে বার করে দেওয়া যাচ্ছে না। সবচেয়ে বড় কথা প্লে-অফের দৌড়ে আরও চাপ বেড়ে গেল নাইটদের। যে রাজস্থানকে প্লে-অফ অঙ্কের হিসেবের বাইরে ধরছিলেন অনেকে, তাঁরাই এখন নাইটদের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে। দুই দলেরই এখন এগারো ম্যাচে ১০ পয়েন্ট। নেট রানরেটে পিছিয়ে থাকায় রাজস্থান ছ’নম্বরে। পাঁচে নাইট রাইডার্স।
শুক্রবার জিতলে প্লে-অফের বৃত্তে ঢুকে পড়তেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনিরা। কিন্তু ৬০ বলে ৯৫ রান করে বাটলার সেই পরিকল্পনায় জল ঢেলে দেন। ১১টি চার ও দু’টি ছয় মারেন ২৭ বছর বয়সি ইংরেজ তারকা।
আগে ব্যাট করে ধোনিরা তোলেন ১৭৬ রান। রায়না ৩৫ বলে ৫২ রান করেন। কিন্তু বাটলারের ইনিংস শুধু রায়না নন, ম্লান করে দিল চেন্নাইয়ের ইনিংসও। তেমন যোগ্য সঙ্গ না পেলেও ১৯তম ওভারে কৃষ্ণাপ্পা গৌতম দু’টি ছয় হাঁকানোয় তাঁর কাজ কিছুটা সোজা হয়ে যায়। শেষ ওভারে জেতার জন্য ১২ রান দরকার ছিল রাজস্থানের। ডোয়েন ব্র্যাভো আসেন বল করতে। তিন বলে চার রান তোলার পরে চতুর্থ বলে মিড উইকেটের উপর দিয়ে সোজা গ্যালারিতে বল পাঠান বাটলার। আর পঞ্চম বলে দুই রান নিতেই জয় এসে যায় তাঁদের হাতে।
ম্যাচের পরে বাটলার বলেন, ‘‘আমার সেরা আইপিএল ইনিংস এটা। বাবা, মা, স্ত্রীর সামনে এমন একটা ইনিংস খেলার আনন্দই আলাদা।’’