কোটলায় গুজরাত লায়ন্স টুর্নামেন্টে নিজেদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটায় নামছে আজ। আইপিএলে আত্মপ্রকাশের প্রথম বছরেই গুজরাত খেতাবের লড়াইয়ে টিকে থাকা তিন টিমের একটা হয়ে উঠেছে। তবে কোটলার পিচে সানরাইজার্স বোলিংয়ের বিরুদ্ধে ওদের কাজটা কিন্তু সহজ হবে না।
সানরাইজার্সের বোলিংটা দুর্দান্ত। এতটাই যে, নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে আশিস নেহরার মতো তারকার অভাব টেরই পাওয়া গেল না। মনে রাখতে হবে লড়াই করার জন্য ওদের হাতে রান ছিল মাত্র ১৬২। কিন্তু সানরাইজার্স বোলাররা এক বারের জন্যও হাল ছাড়েনি। সঙ্গে অসাধারণ ফিল্ডিং ওদের কাজ সহজ করে দিয়েছিল। বিশেষ করে বলতেই হবে যুবরাজ সিংহের কথা। একটা অনবদ্য থ্রো-এ ও শুধু কলিন মানরোকে রান আউট করেনি, আমার মতে নাইট ব্যাটিংকেও একটা বড়সড় মনস্তাত্বিক ধাক্কা দিয়েছিল। যা সামলে উঠতে পারেনি গম্ভীররা।
নাইটদের হারের পিছনে অবশ্য অতি আত্মবিশ্বাস একটা কারণ হতে পারে। হায়দরাবাদ খুব বেশি রান তুলতে না পারায় ওরা সম্ভবত ধরেই নিয়েছিল রান তাড়ার কাজটা কঠিন হবে না। নাইটরা চাপে ছিল ঠিকই। তবে এটাও মানতে হবে, ম্যাচের কয়েকটা গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত ওরা ঠিকঠাক সামলাতে পারেনি।
অনেকে বলবেন নক আউটে আন্দ্রে রাসেলকে না পাওয়াটা ভুগিয়েছে। আমার কিন্তু মনে হয় নাইট রাইডার্স টিমে সেই গভীরতা আছে যা দিয়ে এমন দু’একটা ধাক্কা ওরা সহজে সামলে নেবে। বুধবার টিমটা স্রেফ একটা বড় ম্যাচের চাপ নিতে ব্যর্থ হল। প্রত্যেক ক্রিকেটার ভেবেছে আমি না পারলে অন্য জন পারবে। আসলে এই ফর্ম্যাটে প্রত্যেক ক্যাপ্টেন আশা করে টিমের এক বা দু’জন ক্রিকেটার ভাল খেলে দিলেই কাজ হাসিল হয়ে যাবে।
চিন্তাটা ভুলও নয়। বেঙ্গালুরুকেই দেখুন। গুজরাত ম্যাচে পাঁচ উইকেট পড়ে যাওয়ার পরেও এবি ডে’ভিলিয়ার্স একা অসাধারণ একটা ইনিংস খেলে ম্যাচ বের করে নিল। শেষ পর্যন্ত মাত্র এক জন প্লেয়ারের ভাল খেলাটাই বাকিদের ব্যর্থতা ঢেকে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল।
বেঙ্গালুরুর সে দিনের পারফরম্যান্স নিয়ে আর একটা আলোচনা হল বিরাট কোহালির শূন্য রানে ফেরা। পুরো ৫১ ইনিংস পর শূন্য করল বিরাট। যা আরও একবার বলে দেয় ও ঠিক কতটা অসাধারণ। বেঙ্গালুরু ফাইনালে পৌঁছে গিয়ে প্রতিপক্ষের জন্য অপেক্ষা করে আছে নিজেদের ঘরের মাঠে। প্রথম প্লে-অফের পর পুরো পাঁচ দিনের বিশ্রাম পেয়ে একদম তরতাজা হয়ে পুরো শক্তি নিয়ে রবিবারের ফাইনালে নামবে টিমটা। সেখানে ওদের প্রতিপক্ষ যারাই হোক, তারা কোয়ালিফায়ার খেলার পর বিশ্রাম পাবে মাত্র একটা দিন। এর তাৎপর্য কী হতে পারে, সেটা কিন্তু আমাদের ভুললে চলবে না!