সচিন, লারাদের গ্রহে ঢুকে পড়েছে কোহালি

একই রকম দাপট দেখাচ্ছে যুজবেন্দ্র চহাল এবং কুলদীপ যাদবের বোলিংও। তিন ম্যাচে ৩০টা উইকেটের মধ্যে ২১টা তুলে নেওয়া দেখে অনেক কিছুই বোঝা যাচ্ছে।

Advertisement

সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৪:০৮
Share:

ক্লাসিক: কেপ টাউনে বুধবার দুরন্ত সেঞ্চুরির পরে কোহালি। —ফাইল চিত্র।

দুরন্ত পারফরম্যান্স ভারতের। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ওয়ান ডে-তে ছ’ম্যাচের সিরিজে ৩-০ এগিয়ে যাওয়া, তাও টেস্ট সিরিজ হারের পরে, এতেই বোঝা যায় বিরাট কোহালি ও তাঁর দলের মানসিকতা কোন পর্যায়ের।

Advertisement

বিরাটকে নিয়ে আর কী বলব? আমি ভাগ্যবান সচিন তেন্ডুলকর, রাহুল দ্রাবিড়, ভিভিএস লক্ষ্মণ, বীরেন্দ্র সহবাগ, রিকি পন্টিং, ব্রায়ান লারার মতো ক্রিকেটারদের সঙ্গে বা বিরুদ্ধে খেলার সুযোগ পেয়েছি। কোহালি এদের সঙ্গে একাসনে বসার জায়গা করে নিয়েছে। আমার সবচেয়ে যেটা ভাল লাগে সেটা হল শুধু ওর অসাধারণ নিয়ন্ত্রণ এবং পরিবেশ-পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতাই নয়, প্রত্যেকটা ইনিংসে ও ব্যাটিংয়ে ও একই রকম টগবগে থাকতে পারে।

যে ভাবে ও কেরিয়ারে এত দ্রুত ৩৪ নম্বর ওয়ান ডে সেঞ্চুরিতে পৌঁছে গেল, সত্যিই অনবদ্য। সিরিজে এখনও পর্যন্ত আর কোনও ভারতীয় ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরি পায়নি, দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের মধ্যেও সেঞ্চুরি করেছেন মাত্র একজন, এতেই বোঝা যায় কোহালি চলতি সফরে কোন মাত্রার ব্যাটিংটা দেখাতে পেরেছে। তাও সিরিজের তিনটে ওয়ান ডে এখনও বাকি।

Advertisement

আরও পড়ুন: কোহালিতে আপ্লুত সচিন, ওয়ার্নারেরা

একই রকম দাপট দেখাচ্ছে যুজবেন্দ্র চহাল এবং কুলদীপ যাদবের বোলিংও। তিন ম্যাচে ৩০টা উইকেটের মধ্যে ২১টা তুলে নেওয়া দেখে অনেক কিছুই বোঝা যাচ্ছে। শুধু পরিসংখ্যান নয়, ভারতীয় স্পিন জুটি দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের কতটা চাপে ফেলে দিতে পারছে সেটাও স্পষ্ট। আরও তৃপ্তি দিচ্ছে এটা দেখে, যে পিচে ওরা সাফল্য পাচ্ছে সেটা স্পিন সহায়ক নয়।

দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক এইডেন মার্করামের উইকেটটাই আদর্শ উদাহরণ, ভারতীয় স্পিনাররা বলটা ছাড়ার পরে কোন দিকে ঘুরবে সেটা দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানরা বুঝতে পারছে না এবং দুই স্পিনারের বিরুদ্ধে মানসিক যুদ্ধটাও হেরে যাচ্ছে ওরা। অ্যান্ডিল ফেলুকায়োর ব্যাট বিট করার পরে কুলদীপের হাসিটা হয়তো অনেকে লক্ষ করে থাকবেন।

এখনও তিনটে ম্যাচ বাকি সিরিজে। দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য ভাল খবর, এ বি ডিভিলিয়ার্স দলে ফিরতে চলেছে। তবে শুধু ও দলে থাকলেই চলবে না দক্ষিণ আফ্রিকার। ওকে দলের জন্য কোহালির মতো ভূমিকা নিতে হবে সিরিজে ফিরতে গেলে। দক্ষিণ আফ্রিকার দল নির্বাচন অনেককেই অবাক করেছে। বুধবারের ম্যাচে মর্নি মর্কেলকে দলের বাইরে রাখায় অনেকেই বিস্মিত। আমার মনে হয় এর পরের তিন ম্যাচে ওকে দলে রাখতেই হবে। পাশাপাশি খায়া জন্ডো এবং ফেলুকায়োকে দলে থাকতে হলে আরও ভাল পারফর্ম করতে হবে। আন্তর্জাতিক দলে থাকার জন্য সেই পর্যায়ের দক্ষতা দেখানো প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে কিন্তু সেটা দেখা যাচ্ছে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন