কোহালির সঙ্গে ভিভের মিল পাচ্ছেন হোল্ডিং

টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সফল হওয়া টিমগুলিকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরে হোল্ডিং বলেছেন, ‘‘সেই সেরা টিমগুলোও মাঝে মাঝে দু’একটা পরিবর্তন করত ঠিকই, কিন্তু প্রতিটা টেস্ট ম্যাচে নয়।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০১৮ ০৪:১৮
Share:

কিংবদন্তি: এক ফ্রেমে ভিভিয়ান রিচার্ডস এবং বিরাট কোহালি।

দু’জনের মধ্যে একটা অদ্ভুত মিল এখনই দেখতে পাচ্ছেন তিনি। শুধু তাই নয়, ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি ফাস্ট বোলার মাইকেল হোল্ডিং মনে করছেন, ভিভ রিচার্ডসও যখন সবে দলের নেতৃত্ব দিতে শুরু করেছিলেন, বিরাট কোহালির মতোই আগ্রাসী আর আক্রমণাত্মক মেজাজের ছিলেন। কিন্তু অভিজ্ঞতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শান্ত হয়ে যান। হোল্ডিং মনে করছেন, কোহালিও আস্তে আস্তে ভবিষ্যতে সে রকমই হয়ে উঠবেন।

Advertisement

সোমবার জোহানেসবার্গে সংবাদ সংস্থাকে হোল্ডিং বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে বিরাট কোহালি একজন তরুণ অধিনায়ক। ও এখন সবে শিখছে। বুঝতে শিখছে কী ভাবে একজন অধিনায়ক নিজেকে গড়ে তোলে। মাঝে মাঝে বিরাট খুব আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ে। কোনও কোনও সময় এতটাই হয়ে পড়ে, তখন শুধু বিপক্ষের কাছেই নয়, নিজের দলের কাছেও ও ভীতিজনক হয়ে পড়ে। আমি যখন স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডসের সঙ্গে বিরাটের তুলনা করি, তখন শুধু ব্যাটসম্যানশিপেরই তুলনা করি না। আমি দু’জনের অধিনায়কত্বেরও তুলনা করি।’’

ভিভ রিচার্ডস প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে হোল্ডিংয়ের উপলব্ধি, ‘‘ভিভের ক্ষেত্রেও আমি একই ব্যাপার দেখেছি। ও যখন প্রথম অধিনায়ক হয়েছিল, তখন ভিভের মধ্যেও একই ব্যাপার ছিল। তার পর আস্তে আস্তে অভিজ্ঞ হতে থাকে। নিজে একটু শান্ত হয়। আর ওর টিমও ধীরে ধীরে শান্ত হয়ে যায়। আর তার পরেই ক্রিকেট মাঠে ফল পাওয়া শুরু হয়। আমার মনে হয় বিরাটের ক্ষেত্রেও সে রকমটাই হবে।’’

Advertisement

তিন টেস্টের সিরিজে দু’দলের মধ্যে সব চেয়ে বেশি রান করেছেন বিরাটই। তিন টেস্টে ২৮৬ রান। যা নিয়ে হোল্ডিং বলছেন, ‘‘কোনও সন্দেহ নেই, বিরাট সর্বোচ্চ পর্যায়ের ব্যাটসম্যান। বাকি ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের চেয়ে ও অনেক এগিয়ে। আমি যখন অতীতের ভারতীয় দলগুলোর দিকে ফিরে তাকাই, তখন বলি যে সচিন তেন্ডুলকরই ওর টিমের মধ্যে সেরা ব্যাটসম্যান ছিল। কিন্তু সচিনও ওর সতীর্থ, যেমন রাহুল দ্রাবিড় বা ভিভিএস লক্ষ্মণের চেয়ে এতটা এগিয়ে ছিল না।’’

হোল্ডিং আরও বলছেন, ‘‘বিরাট বাকিদের চেয়ে অনেক এগিয়ে থাকলেও সেটা ওর অধিনায়কত্বে কোনও প্রভাব ফেলে না। তবে আমি এ বার দেখতে চাই, বিরাট ইংল্যান্ডেও রান করছে। সেটা হলেই আমি ওকে ‘গ্রেট’ বলা শুরু করব। আমি শুধু সেই সময়টার জন্য অপেক্ষা করছি।’’ ইংল্যান্ড সফরে যশপ্রীত বুমরা-র বদলে ভুবনেশ্বর কুমার অনেক বেশি কার্যকর হবে বলে মনে
করেন হোল্ডিং।

তবে হোল্ডিং মনে করছেন, দল নির্বাচন নিয়ে বিরাটকে আরও ধারাবাহিকতা দেখাতে হবে। প্রাক্তন ক্যারিবিয়ান ফাস্ট বোলারের বক্তব্য, ‘‘গোটা বিশ্বে বিভিন্ন পরিবেশে, বিভিন্ন পিচে খেলা হয়। তাই কারও মনে হতেই পারে, এক-এক রকম পিচ-পরিবেশের জন্য এক-এক রকম ক্রিকেটার দরকার। আবার এখন এত খেলা হয় যে, ক্রিকেটারদের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে, বিশ্রাম দিয়ে খেলানো হচ্ছে। বিশেষ করে বোলারদের। সে জন্য যদি বিরাট টিমে পরিবর্তন করে, তা হলে একটা কথা। কিন্তু ঘটনা হচ্ছে, এত ঘনঘন রদবদল টিমের পক্ষে খুব একটা স্বাস্থ্যকর হয় না।’’

টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সফল হওয়া টিমগুলিকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরে হোল্ডিং বলেছেন, ‘‘সেই সেরা টিমগুলোও মাঝে মাঝে দু’একটা পরিবর্তন করত ঠিকই, কিন্তু প্রতিটা টেস্ট ম্যাচে নয়। খুব ঘনঘন বদল করলে কিন্তু ক্রিকেটারেরা একটু অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়ে যায়। তখন তাদের মনে হতেই পারে, একটা ম্যাচ খারাপ খেললে আমাকে হয়তো বাদ পড়ে যেতে হবে। এই ব্যাপারটা মাথায় রাখা দরকার।’’

দু’জনের মধ্যে একটা অদ্ভুত মিল এখনই দেখতে পাচ্ছেন তিনি। শুধু তাই নয়, ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি ফাস্ট বোলার মাইকেল হোল্ডিং মনে করছেন, ভিভ রিচার্ডসও যখন সবে দলের নেতৃত্ব দিতে শুরু করেছিলেন, বিরাট কোহালির মতোই আগ্রাসী আর আক্রমণাত্মক মেজাজের ছিলেন। কিন্তু অভিজ্ঞতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শান্ত হয়ে যান। হোল্ডিং মনে করছেন, কোহালিও আস্তে আস্তে ভবিষ্যতে সে রকমই হয়ে উঠবেন।

সোমবার জোহানেসবার্গে সংবাদ সংস্থাকে হোল্ডিং বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে বিরাট কোহালি একজন তরুণ অধিনায়ক। ও এখন সবে শিখছে। বুঝতে শিখছে কী ভাবে একজন অধিনায়ক নিজেকে গড়ে তোলে। মাঝে মাঝে বিরাট খুব আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ে। কোনও কোনও সময় এতটাই হয়ে পড়ে, তখন শুধু বিপক্ষের কাছেই নয়, নিজের দলের কাছেও ও ভীতিজনক হয়ে পড়ে। আমি যখন স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডসের সঙ্গে বিরাটের তুলনা করি, তখন শুধু ব্যাটসম্যানশিপেরই তুলনা করি না। আমি দু’জনের অধিনায়কত্বেরও তুলনা করি।’’

ভিভ রিচার্ডস প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে হোল্ডিংয়ের উপলব্ধি, ‘‘ভিভের ক্ষেত্রেও আমি একই ব্যাপার দেখেছি। ও যখন প্রথম অধিনায়ক হয়েছিল, তখন ভিভের মধ্যেও একই ব্যাপার ছিল। তার পর আস্তে আস্তে অভিজ্ঞ হতে থাকে। নিজে একটু শান্ত হয়। আর ওর টিমও ধীরে ধীরে শান্ত হয়ে যায়। আর তার পরেই ক্রিকেট মাঠে ফল পাওয়া শুরু হয়। আমার মনে হয় বিরাটের ক্ষেত্রেও সে রকমটাই হবে।’’

তিন টেস্টের সিরিজে দু’দলের মধ্যে সব চেয়ে বেশি রান করেছেন বিরাটই। তিন টেস্টে ২৮৬ রান। যা নিয়ে হোল্ডিং বলছেন, ‘‘কোনও সন্দেহ নেই, বিরাট সর্বোচ্চ পর্যায়ের ব্যাটসম্যান। বাকি ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের চেয়ে ও অনেক এগিয়ে। আমি যখন অতীতের ভারতীয় দলগুলোর দিকে ফিরে তাকাই, তখন বলি যে সচিন তেন্ডুলকরই ওর টিমের মধ্যে সেরা ব্যাটসম্যান ছিল। কিন্তু সচিনও ওর সতীর্থ, যেমন রাহুল দ্রাবিড় বা ভিভিএস লক্ষ্মণের চেয়ে এতটা এগিয়ে ছিল না।’’

হোল্ডিং আরও বলছেন, ‘‘বিরাট বাকিদের চেয়ে অনেক এগিয়ে থাকলেও সেটা ওর অধিনায়কত্বে কোনও প্রভাব ফেলে না। তবে আমি এ বার দেখতে চাই, বিরাট ইংল্যান্ডেও রান করছে। সেটা হলেই আমি ওকে ‘গ্রেট’ বলা শুরু করব। আমি শুধু সেই সময়টার জন্য অপেক্ষা করছি।’’ ইংল্যান্ড সফরে যশপ্রীত বুমরা-র বদলে ভুবনেশ্বর কুমার অনেক বেশি কার্যকর হবে বলে মনে
করেন হোল্ডিং।

তবে হোল্ডিং মনে করছেন, দল নির্বাচন নিয়ে বিরাটকে আরও ধারাবাহিকতা দেখাতে হবে। প্রাক্তন ক্যারিবিয়ান ফাস্ট বোলারের বক্তব্য, ‘‘গোটা বিশ্বে বিভিন্ন পরিবেশে, বিভিন্ন পিচে খেলা হয়। তাই কারও মনে হতেই পারে, এক-এক রকম পিচ-পরিবেশের জন্য এক-এক রকম ক্রিকেটার দরকার। আবার এখন এত খেলা হয় যে, ক্রিকেটারদের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে, বিশ্রাম দিয়ে খেলানো হচ্ছে। বিশেষ করে বোলারদের। সে জন্য যদি বিরাট টিমে পরিবর্তন করে, তা হলে একটা কথা। কিন্তু ঘটনা হচ্ছে, এত ঘনঘন রদবদল টিমের পক্ষে খুব একটা স্বাস্থ্যকর হয় না।’’

টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সফল হওয়া টিমগুলিকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরে হোল্ডিং বলেছেন, ‘‘সেই সেরা টিমগুলোও মাঝে মাঝে দু’একটা পরিবর্তন করত ঠিকই, কিন্তু প্রতিটা টেস্ট ম্যাচে নয়। খুব ঘনঘন বদল করলে কিন্তু ক্রিকেটারেরা একটু অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়ে যায়। তখন তাদের মনে হতেই পারে, একটা ম্যাচ খারাপ খেললে আমাকে হয়তো বাদ পড়ে যেতে হবে। এই ব্যাপারটা মাথায় রাখা দরকার।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন