অনুশীলনে ইস্টবেঙ্গল দল। —ফাইল চিত্র।
আট মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়ার মতো ঠিক কী হয়েছিল? মনে করা গেল না। তবুও দিয়েছিলেন রেফারি। ড্র ম্যাচে এখন সেটাই আলোচনার তুঙ্গে। প্রথম ম্যাচ পরিত্যক্ত, দ্বিতীয় ম্যাচে জয়, তৃতীয় ম্যাচে কাস্টমসের কাছে আটকে গেল ইস্টবেঙ্গল। প্রচুর গোল নষ্ট আর ছন্নছাড়া ফুটবলের সাক্ষী থাকল শুক্রবারের ইস্টবেঙ্গল ম্যাচ। শেষ বেলায় গোল লাইন সেভও হল ইস্টবেঙ্গলের গোলমুখি শট। দিনটি আসলে ইস্টবেঙ্গলের ছিল না। যে কারণে ম্যাচের সেরা হলেন কাস্টমসের গোলকিপার শুভম সেন।
ইস্টবেঙ্গলে অভিজ্ঞ ফুটবলার কেউ নেই। একঝাঁক নতুন মুখ নিয়ে দল গড়েছেন সুভাষ ভৌমিক। সঙ্গে আমনা-ডিকাদের মতো বিদেশি। সব থেকে বেশি প্রশ্ন উঠছে বালি গগনদীপকে নিয়ে। এমন স্ট্রাইকার যিনি বার বার গোলের সামনে গিয়ে খেই হারালেন। নিশ্চিত গোলের সুযোগ নষ্ট করলেন। না হলে এ দিন জিততেই পারত দল। সেই গগনদীপ সিংহতেই ভরসা রেখেছিলেন সুভাষ। কিন্তু কোচের মান রাখতে ব্যর্থ এই স্ট্রাইকার।
ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলাররা যে ভাবে গোলের সুযোগ নষ্ট করলেন তার সঙ্গে যুক্ত হল কাস্টমস গোলকিপার শুভমের গোলের নিচে অনবদ্য কিছু সেভ। ৯০+৭ মিনিট পর্যন্ত গোলের সুযোগ নষ্ট করল ইস্টবেঙ্গল। রেফারি বিপ্লব পোদ্দার আট মিনিট অতিরিক্ত সময় দিলেন। কিন্তু গোলের মুখ খুলতে পারল না সুভাষ ব্রিগেড। এর মধ্যেই কম হলেও সুযোগ তৈরি হল কাস্টমসের পক্ষ থেকেও। কিন্তু তারাও গোলের মুখ খুলতে ব্যর্থ। ম্যাচ শেষ হল ১-১ গোলে।