মুখোমুখি: সতীর্থ নয়, রবিবার কুলদীপ এবং চহাল প্রতিদ্বন্দ্বী। —নিজস্ব চিত্র।
প্রশ্ন: আইপিএল ফাইনালে দু’বার পৌঁছেও ট্রফি জেতা হয়নি। সেটা কোনও ভাবে কি বাড়তি চাপ তৈরি করছে?
যুজবেন্দ্র চহাল: একদমই নয়। অতীত নিয়ে ভাবছি না। এ মরসুমে আমাদের দল সম্পূর্ণ নতুন। সবার সঙ্গে বোঝাপড়া গড়ে তোলাই এখন প্রধান লক্ষ্য। গত বার আমরা অষ্টম স্থানে শেষ করেছি ঠিকই। তবে তা নিয়ে ভেবে নিজের উপর বাড়তি চাপ তৈরি করতে চাই না।
প্র: আপনাদের দলে ওয়াশিংটন সুন্দর থাকায় কি বাড়তি সুবিধে হতে পারে?
চহাল: অবশ্যই। ওয়াশিংটন নিঃসন্দেহে প্রতিশ্রুতিমান বোলার। অনেক পরিণত হয়ে উঠেছে। শ্রীলঙ্কায় নিদাহাস ট্রফিতে আমরা যে ভাবে খেলেছি, এখানেও সেই চেষ্টা করব। পাওয়ার প্লে-তে দু’তিন ওভার ওয়াশিংটন রান আটকে রাখতে পারলে, আমিও চাপমুক্ত হয়ে বোলিং করতে পারব।
প্র: আপনাকে পাওয়ার প্লে-তে বল করতে দেখা যাবে না?
চহাল: ম্যাচের পরিস্থিতির উপর নির্ভর করছে। আমাকে পাওয়ার প্লে-তে বল করতে হলে অবশ্যই এগিয়ে যাব। সে ক্ষেত্রে কোন দলের বিরুদ্ধে খেলছি সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্র: সীমিত ওভারের ক্রিকেটে রিস্টস্পিনার-দের চমকপ্রদ উত্থানের কারণ কী?
চহাল: উত্থান ঠিক নয়। গত পাঁচ থেকে ছ’টা সিরিজ হয়তো আমি আর কুলদীপ একসঙ্গে খেলছি। তার আগে অশ্বিন ও জাড্ডু ভাই (রবীন্দ্র জাডেজা) ভারতকে প্রচুর ম্যাচ জিতিয়েছে। তবে পাটা পিচে ফিঙ্গার স্পিনারদের (আঙুলের সাহায্যে বল ঘোরানো) চেয়ে আমরা একটু বেশিই বল ঘোরাতে পারি। সেটাও একটা কারণ হতে পারে।
প্র: আপনার জীবনে বিরাট কোহালির প্রভাব কতটা?
চহাল: বিরাটই আমাকে সাহসী করে তুলেছে। আগে আমি কথা বলতে খুবই লজ্জা পেতাম। ক্যামেরা দেখলে দৌড়ে পালিয়ে যেতাম। মাঠে একটা ওভার খারাপ করলেই চাপে পড়ে যেতাম। বিরাটের জন্যেই ভীতি কাটিয়ে উঠেছি।
প্র: সে জন্যই কি টি-টোয়েন্টিতে বলকে ফ্লাইট করাতে ভয় পান না?
চহাল: ফ্লাইট দিয়ে বল করা আমার শক্তি। উইকেট তোলার ক্ষেত্রে এই ধরনের বোলিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই যে কোনও উইকেটেই বল ফ্লাইট করানোটা উপভোগ করি। তবে পাওয়ার প্লে-তে বল এতটা ফ্লাইট করানো যাবে না।
প্র: ব্যাটসম্যানদের স্বর্গ হিসেবে পরিচিত চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বল করার অভিজ্ঞতা কতটা আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে আপনাকে?
চহাল: চিন্নাস্বামীর উইকেটে বোলার হিসেবে সফল হতে পারলে পৃথিবীর যে কোনও মাঠে বল করার আত্মবিশ্বাস পাওয়া যায়।
প্র: ভারতের টেস্ট দলে কবে আপনাকে দেখা যাবে?
চহাল: ভারতের হয়ে টেস্ট খেলাই আমার স্বপ্ন। তার জন্যেই এত পরিশ্রম। কিন্তু আমাকে আরও পরিণত হয়ে উঠতে হবে। টেস্ট খেলতে গেলে ধৈর্য আরও বাড়াতে হবে।
প্র: আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ইতিমধ্যেই ভারতের ‘কুল-চা’ (কুলদীপ যাদব-যুজবেন্দ্র চহাল) জুটি চমকে দিয়েছে। অথচ আইপিএলে প্রথম ম্যাচেই কুলদীপ আপনার প্রতিপক্ষ। অনুভূতিটা কেমন?
চহাল: কুলদীপ আমার ছোট ভাইয়ের মতো। প্রত্যেক দিনই আমাদের মধ্যে কথা হয়। এমনকী আইপিএলের সময়েও একে অপরের ভুল শুধরে দিই। আমাদের বোঝাপড়া দুর্দান্ত। তবে বিপক্ষে থাকলে ওকে হারানোর চেষ্টা তো করতেই হবে।